ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তারার ফুল

বাংলাদেশে এটাই আমার প্রথম অ্যালবাম: জয়িতা

জান্নাতুল মাওয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
বাংলাদেশে এটাই আমার প্রথম অ্যালবাম: জয়িতা ফারহিন খান জয়িতা

রবীন্দ্রসংগীত গাইতে গাইতে বেড়ে উঠেছেন ফারহিন খান জয়িতা। মা মিতা হকের পথেই হেঁটে চলেছেন এই শিল্পী।

ঈদ উপলক্ষে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে বেরিয়েছে জয়িতার কণ্ঠে রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘কত মধুসমীরে’। এর যন্ত্রানুষঙ্গ পরিচালনা করেছেন পার্থ পাল। নতুন অ্যালবাম ও বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন জয়িতা-
 
বাংলানিউজ: ‘কত মধুসমীরে’ আপনার কততম একক অ্যালবাম?
জয়িতা:
এটি আমার চতূর্থ অ্যালবাম। তবে বাংলাদেশে এবারই প্রথম আমার অ্যালবাম প্রকাশ পেলো। এর আগে ‘বাধঁন ছেঁড়ার গান’, ‘দুঃখ জাগানিয়া’ ও ‘শুধু রবীন্দ্রনাথ’ বের হয় কলকাতা থেকে।  

বাংলানিউজ: নতুন অ্যালবামটি কবিগুরুর কোন আঙ্গিকের গান দিয়ে সাজানো? 
জয়িতা:
রবীন্দ্রনাথের এক একটি গানের ধারা বা আঙ্গিক একেক রকমের। আমার এই অ্যালবামের আটটি গানের মধ্যে ধ্রুপদ, টপ্পা, খেয়াল ইত্যাদি তালের সংমিশ্রণ রয়েছে। তাই এই অ্যালবামের প্রতিটি গানের ধারা ভিন্ন।

গানগুলো হলো- মোরে বারে বারে ফিরালে, চরণধ্বনি শুনি তব, প্রচণ্ড গর্জনে আসিল একি দুর্দিন, সুখহীন নিশিদিন পরাধীন, হৃদয়বাসনা পূর্ণ হলো, আমার মন, যখন জাগলি না রে, বাজে বাজে রম্যবীণা বাজে এবং খেলার সাথি, বিদায়দ্বার খোলো।

বাংলানিউজ: ‘কত মধুসমীরে’ অ্যালবামটিতে আপনার বাবার (খালেদ খান) পছন্দের কোনো গান আছে?
জয়িতা:
না। এটাতে বাবার পছন্দের তেমন কোনো গান নেই। মূলত বিভিন্ন তালের ওপর ভিত্তি করে গানগুলো নির্বাচন করা হয়েছে। তবে সবশেষ অ্যালবাম ‘শুধু রবীন্দ্রনাথ’-এর সব গানই আমার বাবার পছন্দ করে দেওয়া। দুঃখের বিষয় হলো, এই অ্যালবামটির রেকর্ডিং চলাকালীন বাবা চলে গেলেন।  

বাংলানিউজ: আপনার অ্যালবামের মুখবন্ধ লিখেছেন আলী যাকের। নিজেকে নিয়ে আলী যাকেরের মন্তব্যগুলো পড়ে কেমন লেগেছে? 
জয়িতা:
আমি আলী যাকেরকে কাকু বলে সম্বোধন করি। তার মতো একজন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমার গায়কী ও কণ্ঠের প্রশংসা করেছেন, এজন্য আমি তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। তিনি চলার পথে বিভিন্ন সময় আমাকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দিয়েছেন।

বাংলানিউজ: রবীন্দ্রসংগীতের বাইরে অন্য ঘরানার গান নিয়ে অ্যালবাম করবেন? 
জয়িতা:
আমার পরিচয় আমি একজন রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। তবে সবরকম গান করতে চাই। আমার সবধরনের গানের প্রতিই আকর্ষণ আছে। শ্রুতিমধুর যেকোনো গানই আমি গাইতে ইচ্ছুক। তবে আপাতত অন্য ঘরানার গান নিয়ে অ্যালবাম প্রকাশের ইচ্ছা নেই। আলাদাভাবে দুই-একটি গান হয়তো করবো। আর আমার গানগুলো নিয়ে মিউজিক ভিডিও করার ইচ্ছা আছে।  

বাংলানিউজ: ‘ইউটার্ন’ ছবির আইটেম গানটি গাওয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিলো?
জয়িতা:
‘ফুল ফুটেছে ওই বনে, ফুল ফুটেছে এই মনে’ একেবারে ভিন্ন ধাঁচের একটি আইটেম গান। এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। অনেক আগে থেকেই চলচ্চিত্রে গান করতে চাইতাম। কারণ এখানে বড় একটা প্ল্যাটফর্ম পাওয়া যায়। কিন্তু আইটেম গান করবো এমন ভাবনা ছিল না। তবে এই গানটি করে বুঝেছি প্রথার বাইরে গিয়ে কিছু করা খুব আনন্দের।  

বাংলানিউজ: ‘ওয়াসফিয়া’ প্রামাণ্যচিত্রে আপনার কণ্ঠে কবিগুরুর ‘আকাশ ভরা সূর‌্য তারা’ গানটি নিয়ে কিছু বলুন।
জয়িতা:
এই প্রামাণ্যচিত্রের জন্য গেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। গানটির রেকর্ডিংয়ের দিন আমার নানী মারা যান। তারপরও আমি মনের জোরে পরদিন এতে কণ্ঠ দিয়েছি। এভারেস্ট জয়ী আমাদের দেশের মেয়ে ওয়াসফিয়া নাজরীনকে নিয়ে এই প্রামাণ্যচিত্রটি সত্যিই গৌরবের বিষয়।

বাংলানিউজ: এখন ব্যস্ততা কী নিয়ে?
জয়িতা:
গত এক বছর গান থেকে একটু দূরে ছিলাম। ‘কত মধুসমীরে’ অ্যালবামের কাজ তার আগেই শেষ করেছিলাম।  নতুন করে কিছু টিভি শো করার কথা চলছে। এ ছাড়া আমার মায়ের সংগীত স্কুল সুরতীর্থে কিছুটা সময় দিচ্ছি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
জেএমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

তারার ফুল এর সর্বশেষ