বেইজিং থেকে ফিরে: এশিয়ার বৃহত্তম থিয়েটার কমপ্লেক্স বেইজিংয়ের ন্যাশনাল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টস (এনসিপিএ )। ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ শিল্প-সংস্কৃতিপ্রেমী পর্যটকের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে এই এনসিপিএ।
চীনের এই আধুনিক স্থাপত্যটির নকশা করেছেন বিশ্ববিখ্যাত ফরাসি স্থপতি পল আন্দ্রেই। ডিমাকৃতির এই ভবনটি দেখতেই যেন প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা ভিড় করেন। এছাড়া এশিয়ার সবচেয়ে বড় থিয়েটার কমপ্লেক্স হিসেবে সুনাম ছড়িয়ে পড়ায় ধীরে ধীরে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
এনসিপিএ ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় করেছেন এখানে। এনসিপিএতে প্রধানত তিনটি প্রধান পারফরম্যান্স হল রয়েছে। এই তিনটি হলো অপেরা হল, মিউজিক হল ও থিয়েটার হল। এছাড়া এনসিপিএতে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টে ও নানা ধরনের স্যুভেনির শপ রয়েছে।
অপেরা হলে প্রধানত অপেরা, নৃত্য, ব্যালে এবং বড় ধরনের পারফরম্যান্স হয়ে থাকে। অপেরা হলের অডিটোরিয়ামে দুই হাজার ২০৭টি আসন রয়েছে। আর থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয়ে থাকে নাটক। এই হলের আসন সংখ্যা এক হাজার ৩৬টি। আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে সাজানো হয়েছে থিয়েটার হলটি।
মিউজিক হলে সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এখানে এক হাজার ৮৫৯টি আসন রয়েছে।
এনসিপিএর মিউজিক হলে মিউজিক সন্ধ্যায় যোগ দিয়ে দেখা যায়, হলটি একেবারে কানায় কানায় ভর্তি। একের পর এক মিউজিক দল চীনা ধ্রুপদী ও আধুনিক মিউজিক পরিবেশন করছে। একেক দলের মিউজিকের পরিবেশনাও ভিন্ন ভিন্ন। তবে হলে ছবি তোলা ও ভিডিও করা পুরোপুরি নিষেধ।
এক লাখ ৬৫ হাজার বর্গমিটার এলাকায় এনসিপিএ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধান ভবনের আয়তন এক লাখ ৫ হাজার বর্গ মিটার।
চায়না ন্যাশনাল অপেরা হাউস
বেইজিংয়ে আরও একটি বিখ্যাত অপেরা হাউস রয়েছে। এটি হলো চায়না ন্যাশনাল অপেরা হাউস (সিএনওএইচ)। এটি দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। অপেরা ট্রুপ, গায়ক দল, অর্কেস্ট্রা দল, অভিনেতা ইত্যাদির সমন্বয়ে পারফর্ম হয়ে থাকে এখানে।
একদিন সন্ধ্যায় এখানে গিয়ে দেখা গেল, চীনের জাতীয় সংগীতের সুরকার নিইয়ের জীবনীভিত্তিক ডকুমেন্টরি নিয়ে নাট্যকাহিনী। তবে এটা শুধু স্রেফ নাটক নয়, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অপেরা ট্রুপ, সঙ্গীত, অর্কেস্ট্রা দল ও অভিনেতাদের সমন্বিত পারফরম্যান্স। জাতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যই এই অসাধারণ নাট্যকাহিনী নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
টিআর/এইচএ/