ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

বাণিজ্যমেলায় ‘বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস’

তামিম মজিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৯
বাণিজ্যমেলায় ‘বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস’ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়ন/ছবি: শাকিল

ঢাকা: কী নেই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায়? মেলায় বাণিজ্য তো থাকবেই। রয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদন ও খাবারের ব্যবস্থা। কিন্তু ইতিহাস জানার সুযোগ? দর্শনার্থীদের ইতিহাস জানারও সুযোগ করে দিয়েছে মেলা কর্তৃপক্ষ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে মেলায় তৈরি করা হয়েছে 'বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়ন'।

মেলার মূলফটক দিয়ে ঢুকে একটু সামনে গেলেই ডান পাশে চোখে পড়বে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়ন’। মেলার অন্যতম আকর্ষণ এ প্যাভিলিয়ন।

এটিও সাজানো হয়েছে বেশ আকর্ষণীয় করে। এর প্রবেশমুখেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য। পায়জামা-পাঞ্জাবি আর চিরচেনা ‘মুজিব কোট’ পরিহিত বঙ্গবন্ধুর এ ভাস্কর্য মনে করিয়ে দেয়, ৭ই মার্চের সেই কালজয়ী ভাষণের কথা। সেই সঙ্গে রয়েছে চিরচেনা হাসি সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাড়ি পরিহিত একটি ভাস্কর্য।  

মেলায় ঘুরতে এসে এ প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখেন না এমন দর্শনার্থী খুবই কম পাওয়া যাবে। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়নে জাতির এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের জীবনের নানা বাঁকের নানা ধরনের ছবি রয়েছে।  

ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো, সংযুক্ত আরব আমিরাতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান, জাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট কেনেথ কাউন্ডা, ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিক ও খ্যাতিমান ব্যক্তিদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রদর্শন করা হচ্ছে প্যাভিলিয়নের দেয়ালে। এছাড়া বঙ্গবন্ধুর পারিবারিক বেশ কিছু ছবি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন অনেক দুর্লভ ছবি রয়েছে প্রদর্শনীতে।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিময় এসব ছবির পাশাপাশি ডিভিডি’তে বঙ্গবন্ধুর নানা ভিডিও ফুটেজ সেখানে বসে দেখার ব্যবস্থাও রয়েছে। যুদ্ধকালীন এবং এর আগে-পরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত বিভিন্ন ভিডিও দেখে যেন ইতিহাসের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারেন দর্শনার্থীরা, সে জন্যই এ ব্যবস্থা।  

বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়ন/ছবি: শাকিলসহপাঠীদের নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাহমুদা আকতার। তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যাগ নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানার সুযোগ করে দিয়েছে। এ প্যাভিলিয়নে এসে অনেক নতুন কিছু জানতে পারলাম।  

উত্তর বাড্ডা থেকে কলেজ পড়ুয়া ছেলে সায়হামকে সঙ্গে নিয়ে মেলায় এসেছেন তানজিলা ইসলাম জিনাত। তিনি জানালেন, মেলায় প্রবেশের পরপরই তারা এ প্যাভিলিয়নে ঢুকেছেন। ছেলেও বেশ আগ্রহ নিয়ে ছবিগুলো দেখেছে।  

মেলায় ঘুরতে আসা সরকারি তিতুমীর কলেজের ছাত্র আহমেদ ফেরদাউস খান জানালেন, বাণিজ্যমেলায় ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ তাদের ভালো লেগেছে। সেখানে তারা নিজেদের কিছু ছবিও তুলছিলেন।  

প্যাভিলিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী শহীদুল্লাহ জানান, মেলায় আগত প্রত্যেক মানুষই একবার হলেও প্যাভিলিয়নে ঘুরতে আসে। প্রতিদিন প্রচুর দর্শনার্থী ব্যাপক আগ্রহ নিয়ে ইতিহাস জানতে আসে।  

৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন। মাসব্যাপী এ মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

তবে উল্লেখিত এসব দেশের স্টল বা প্যাভিলিয়ন বাণিজ্যমেলায় এখনও দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৯
টিএম/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।