গত বুধবার থেকে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে হোটেল সোনারগাঁওয়ে চলছে চার দিনব্যাপী থাই মেলা। মেলার শুরু থেকেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
চার দিনব্যাপী এ মেলায় প্রদর্শিত প্রধান পণ্য সমূহ ও সেবার মধ্যে রয়েছে— চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবা, প্রসাধনী, গার্মেন্ট ও ফ্যাশন সামগ্রী, স্পা, ইলেকট্রনিক পণ্য, জুয়েলারি, ফলমূল, পানীয়, কনফেকশনারি, সাজসজ্জার উপকরণ, জুতা-মোজা, চামড়াজাত পণ্য ও গৃহস্থালি বিভিন্ন পণ্য।
এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ এবং উদ্যোক্তারা আসল থাই পণ্য ও সেবার সঙ্গে পরিচিত হতে পারছেন।
মেলার পাশাপাশি বাণিজ্য বিষয়ক দফতর এবং প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল আয়োজন করেছে থাই ফুড ফেস্টিভ্যাল। এছাড়াও এ মেলায় প্রতিদিন থাই শিল্পীদের পরিবেশনায় থাই ক্ল্যাসিকাল ডান্স শোর আয়োজন রয়েছে।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মেলায় এসেছেন মেলায় আরিশা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, প্রতি বছর থাই মেলায় আসি। এখানে সাধ্যের মধ্যে গুণগত মানসম্পন্ন নানান ধরনের পণ্য পাওয়া যায়। বিশেষ করে থাই ফলের জুড়ি নেই। অন্য বছরের তুলনায় এবারের মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর আগমন বেশি। তাছাড়া আজ অনেকেই এসেছেন এটাও ভালো লাগার বিষয়।
মেলায় জুয়েলারি পণ্যের বিক্রেতা মো. মাসুম বলেন, আজ ছুটির দিন হওয়ায় সকাল থেকেই দর্শনার্থীর আগমন বেশি। তাদের অধিকাংশ ক্রেতা, বিক্রিও ভালো। মূলত মেলা শেষ দিকে হওয়ায় বিক্রির পরিমাণ বেড়েছে।
থাই মেলায় মোট ৭৬টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ মেলার পর্দা নামবে আগামী ৩০ মার্চ।
বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
ইএআর/এমজেএফ