কী নেই এখানে? বঙ্গবন্ধুর পরিবার পরিচিতি, তার কর্মজীবন- সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে এখানে। স্থান পেয়েছে আর্টিফিশিয়াল বইসহ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা নানা ধরনের বইও।
সরেজমিনে দেখা যায়, মেলার মেই গেট দিয়ে প্রবেশ করে একটু এগোলেই হাতের ডান দিকে চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন ‘বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন। ’ প্যাভিলিয়নের প্রবেশ দ্বারের পাশেই রয়েছে জাতির পিতার ম্যুরাল। তা দেখে মনে হচ্ছে, ডান হাতের আঙুল উঁচু করে আবারও যুদ্ধের ডাক দিচ্ছেন, আর মুখে বলছেন ‘এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম। ’
প্যাভিলিয়নটির ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়বে আর্টিফিশিয়াল (কাঠের তৈরি) বই। যেখানে বঙ্গবন্ধুর নানা কথা তুলে ধরা হয়েছে। এর পাশে রয়েছে, সারিবদ্ধ একাধিক সেলফ, যেখানে সাজানো আছে জাতির পিতার ওপর লেখা নানা বই। মেলায় আগতরা যাতে বই পড়ে বঙ্গবন্ধুকে আরও ভালো করে জানতে পারেন, সেজন্য রাখা হয়েছে টেবিলও।
পুরো প্যাভিলিয়নজুড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর নানা উক্তি এবং তাকে নিয়ে নানা লেখা। প্যাভিলিয়নের পশ্চিম দেয়ালে ঠাঁই পেয়েছে শেখ পরিবার। যেখানে আছে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের পারিবারিক ছবি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছবিসহ নানা ধরনের ছবি।
মেলায় আগতরা প্যাভিলিয়নটিতে প্রবেশ করে ঘুরে ঘুরে দেখছেন। তাদের অনেকেই বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালের সঙ্গে ছবি তুলছেন। অনেকে আবার প্যাভিলিয়নের মধ্যে বই পড়ে সময় পার করছেন।
মেলার দর্শনাথী মেহেদি হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, যার কারণে বাঙালি জাতি একটি দেশ পেলো, স্বাধীনতা পেলো, সেই মহান ব্যক্তি সম্পর্কে জানা দরকার। আমরা যা জানি, প্যাভিলিয়নে এসে তার চেয়ে আরও বেশি সমৃদ্ধ হলাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
ইএআর/টিএ