ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বাণিজ্যমেলা

সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এবারের বাণিজ্যমেলা সফল: বাণিজ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এবারের বাণিজ্যমেলা সফল: বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: শত সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী আয়োজিত ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে নতুন জায়গায় প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ মেলার সফলতা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় ছিলাম। তবে প্রধানমন্ত্রী আমাকে সাহস দিয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় লাখ খানেক মানুষ মেলায় এসেছে। সবমিলিয়ে এবারের বাণিজ্যমেলা সফল হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজধানী থেকে কিছুটা দূরে হলেও এ মেলা নিয়ে মানুষের আগ্রহ বেশি ছিল, তাই করোনার মধ্যেও মেলা সফল হয়েছে। এবারের বাণিজ্যমেলায় ১৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয়াদেশ পাওয়া গেছে, মোট পণ্য বিক্রি প্রায় ৪০ কোটি টাকার এবং ভ্যাট আদায় দেড় কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, আগামী বছর বাণিজ্যমেলার পরিধি অনেক বড় হবে, রাস্তাও আরও উন্নত হবে। তবে এবছর সার্বিকভাবে আমরা সবার সহযোগিতা পেয়েছি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, মেলার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বঙ্গবন্ধুর। পাকিস্তানিদের জন্য আমরা ব্যবসা করতে পারতাম না। এজন্য তিনি অর্থনৈতিক বৈষম্য কমাতে ছয় দফার ডাক দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনার মধ্যেও গার্মেন্টস শিল্প খোলা রাখার কারণে সারা বিশ্বের অর্ডার এখন বাংলাদেশে এসেছে। প্রণোদনা দিয়ে তিনি বাণিজ্যকে টিকিয়ে রেখেছেন।  

তিনি আরও বলেন, বাণিজ্যমেলা নিয়ে আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, তার চেয়েও ভালো হয়েছে। করোনার পর এটাই মানুষকে ভালো বিনোদন দিয়েছে। বাণিজ্যমেলার পাশাপাশি এখানে আনন্দ মেলাও হচ্ছে। শিশুরা আনন্দ করছে। আরেক পাশে নেচে-গেয়ে আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে। যদিও ভিড়ের কারণে সেটা পরে বন্ধ হয়েছে। আগামী বছর মেলায় অনেক লোক আসবে এজন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। সবাই যখন আসতে চাইবে মেলাতে তখন জায়গা দেবেন কীভাবে, সেটা ভাবতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, এটা সরকারের বড় একটা সাফল্য। আমাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল একটা স্থায়ী অবকাঠামো, সেটা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি এজন্য এই অবকাঠামো আরও বড় করতে হবে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এটাকে সংকুলান করার দাবিও জানান তিনি।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।