ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

বাগান ও গতির শহর বেঙ্গালুরু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৭
বাগান ও গতির শহর বেঙ্গালুরু নারায়না হাসপাতাল। ছবি: ড. মাহফুজ পারভেজ

বেঙ্গালুরু (কর্নাটক) থেকে: স্পাইসজেট এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ আড়াই ঘণ্টার উড়ালে কলকাতা থেকে বেঙ্গালুরু পৌঁছুলো। শহরের ৪০ কিলোমিটার দূরে দেবানাহালি এলাকায় নবনির্মিত-অত্যাধুনিক ক্যাম্পাগোডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি দেখার মতোই বটে।

সরকার নয়, বেসরকারি জিভিকে গ্রুপ ঝকঝকে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। প্লেন ও যাত্রীর আসা-যাওয়ার নিরিখে দিল্লি ও মুম্বাইয়ের পর ভারতের তৃতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর এটি।

তথ্য প্রযুক্তির চলমান যুগে যে শহরটি ‘সিলিকন ভ্যালি’ নামে পরিচিত, সেখানে আধুনিকতা ও ব্যস্ততার ছাপ থাকতে বাধ্য।  

কলকাতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

উড়োজাহাজ অবতরণের আগে আকাশে চক্কর দেয়ার সময় উপর থেকে আলোকোজ্জ্বল বেঙ্গালুরু দেখতে বেশ। বহুতল ভবনের প্রাধান্য আছে। আর আছে শহর ঘেরা অনুচ্চ পাহাড়ের সারি। আবছা আলো-ছায়ায় পুরো এরিয়াল ভিউটিই চমৎকার দেখায়।  

আকাশ পথে প্লেনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা সঞ্চিত হলো। কলকাতায় সারা দিনের (শনিবার ১ জুন) দৌঁড়-ঝাঁপের পর অকস্মাৎ প্লেন ধরার তাড়া নিয়ে রাতে এয়ারপোর্টে আসতে গিয়ে খেয়ে আসা সম্ভব হয় নি। ইচ্ছা ছিলো, উড়োজাহাজের সরবরাহ করা খাবারেই ডিনার সেরে নেবো। আধ ঘণ্টা পরও কোনও খাবারের দেখা পাওয়া গেল না। ঘণ্টা খানেক পর নির্ধারিত কিছু যাত্রীকে খাবার দেওয়া হলো। জানা গেল, টিকেটের সাথে খাবার অর্ডার করেছিলেন তারা। এখন কিছু খেতে হলে কিনে খেতে হবে। অগত্যা কিছু খাবার কিনে নিলাম। মাটি থেকে উচ্চে উড্ডয়নরত আকাশযানে খাবারের দামও যথেষ্ট উচ্চমূল্যে নির্ধারিত হয়েছে।

টিকিটেরও একটি সুযোগ নেওয়া সম্ভব হয় নি। ঢাকা থেকে কলকাতায় এসে আবার বেঙ্গালুরুর টিকিট কাটায় যে টাকা বেরিয়ে গেল, তা দিয়ে আসা-যাওয়ার খরচ হয়ে যেত, যদি কলম্বো যাত্রা বিরতি করে রুট ঠিক করা হয়। এয়ারক্র্যাফটির অধিকাংশ যাত্রীই বাংলাভাষি হওয়ায় পাশ থেকে কথাগুলো কানে আসে।

বাংলাভাষি যাত্রীদের মধ্যে সিংহভাগই আবার বাংলাদেশি। প্রায় সকলেই চিকিৎসার জন্য সেখানে যাচ্ছেন। সঙ্গে এক-দুইজন আত্মীয়। সহযাত্রী ঢাকার উত্তরার তোফায়েল খান বয়সে তরুণ। তিনি যাচ্ছেন ভগ্নিপতিকে নিয়ে। রোগিদের অধিকাংশই হার্টের জটিলতায় ভুগছেন। কারো বাইপাস, কারো বাল্ব বদলের কথা রয়েছে। কেউ কেউ চেকআপ করাবেন বলেও জানালেন। শুধুই ঘুরে-ফিরে ইতিহাসখ্যাত টিপু সুলতানের প্রাচীন মহিশুর বা আজকের কর্নাটক দেখার জন্য কেউ কেউ যাচ্ছেন হয়ত। তবে সেটা ঐতিহ্য। ‘কাজ শেষে সময় পেলে আশেপাশে বেড়াবো’, বললেন তোফায়েল খান।

আমি কোথায় থাকবো, সেটা এখনো ঠিক করি নি জেনে তোফায়েল পরামর্শ দিলেন, ‘শহরের মধ্যে হোটেলের খরচ খুবই বেশি হবে। আমাদের সঙ্গে নারায়ণা হৃদয়ালয়ের কাছাকাছি চলুন। সাশ্রয়ী হোটেল আছে প্রচুর। ওদিক দিয়েই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে আসতে পারবেন। ’

তোফায়েল আগেও বেঙ্গালুরু এসেছেন। ফলে তার অভিজ্ঞতার উপর আস্থা রেখে সহযাত্রী হলাম। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে সামনে ‘ওলা জোন’ পাওয়া গেল। বাসস্ট্যান্ডও সামনেই। মহানগরের মসৃণ ও চওড়া পথে নামতেই বেঙ্গালুরু শহরটি তার ‘গার্ডেন সিটি অব ইন্ডিয়া’র ইমেজ দিয়ে প্রবলভাবে আচ্ছন্ন করলো। রান্নার সামগ্রী ভাড়া হচ্ছে।  ছবি: ড. মাহফুজ পারভেজ

চারপাশ  পুষ্পময় হয়ে আছে। সাজানো ও পরিপাটিভাবে নানা রঙের পাতা ও ফুল দুলছে পথের দু’পাশে, আইল্যান্ডে, সর্বত্র। কোনও পাহারাদার নেই। কোনও নেটিশ বোর্ড নেই। তারপরও একটি পাতা কিংবা ফুল নষ্ট হয়ে এদিক-সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে নেই। পরিকল্পিত বাগানের মতোই পুরো শহরটিকে যেন আস্ত একটি বাগানে রূপান্তরিত করা হয়েছে।

উড়োজাহাজের ল্যাগেজ নেওয়ার সময় এয়ারপোর্টের বেল্টে অপেক্ষাকালে লক্ষ্য করেছি, খানিকটা জায়গাও ফাঁকা নেই। একটু জায়গা পেলেই কোনও না কোনও গাছের টব বসে আছে চমৎকারভাবে। পরে হোটেলের আশেপাশের এলাকাতেও দেখেছি, প্রতিটি বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের সামনে, ভেতরে, পেছনে ছোট বা বড় আকারের বাগানের উপস্থিতি। আর আছে আকাশমুখী লম্বা লম্বা গাছ। অধিকাংশই পাম ট্রি। দাক্ষিণাত্যের আবহাওয়ার উপযোগী নারকেল, সুপারি, খেজুর, তাল জাতীয় গাছের ছড়াছড়ি সর্বত্র। ঝাউ আর মেহগনি জাতের গাছেরও দেখা পেলাম।

বেঙ্গালুরুর রাস্তায় যান চলাচলের গতি এবং শৃঙ্খলাও চমৎকৃত করলো। প্রশস্ত রাস্তায় এমনভাবে ফ্লাইওভার আর বাইপাসের ছড়াছড়ি রয়েছে যে, গতি না কমিয়েই হাজার হাজার গাড়ি নিজের পথে চলছে একই তালে। মিছিলের মতো মোটর সাইকেলে নারী-পুরুষ শামিল হয়েছে রাস্তার বড় বড় গাড়ির পাশে। সবাই চলছে সমান তালে; নিজের নিজের ট্র্যাক ধরে; গতির পথে।

গতির প্রাধান্য হবে না কেন? এ বছরের জানুয়ারি মাসেই বেঙ্গালুরু বিশ্বের সবচেয়ে ‘গতিময়’ শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। ডায়নামিক শহরের মধ্যে প্রতিযোগিতায় বেঙ্গালুরুর পরেই ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটি-এর স্থান। তালিকার তৃতীয় হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি। চতুর্থ চীনের সাংহাই, পঞ্চম ভারতের হায়দারাবাদ, লন্ডন ষষ্ঠ, সপ্তম যুক্তরাষ্ট্রের অস্ট্রিন, অষ্টম ভিয়েতনামে হ্যানয়, নবম যুক্তরাষ্টের বোস্টন এবং দশম কেনিয়ার নাইরোবি।

দক্ষিণ এশিয়ার এই শহরটি বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম শহরগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে এমনি এমনি প্রথম হয় নি। এয়ারপোর্ট থেকে শহরের মাঝ দিয়ে আমাদের গন্তব্যে পৌঁছার ঘণ্টা খানেক সময়ের যাত্রা পথেই শ্রেষ্ঠত্বের নমুনাগুলো আঁচ করা যায়। যারা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য শহর, যেমন দিল্লি, মাদ্রাজ, বোম্বে, করাচি, কাঠমান্ডু, কলকাতা, কলম্বো, ঢাকা, চট্টগ্রাম গিয়েছেন, তাদের কাছে অবশ্যই গতি, নিয়ম, আধুনিকতা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও পরিবেশগত মানদণ্ডে বেঙ্গালুরু এগিয়ে থাকবেই।  

শহরের মাঝ দিয়ে আমাদের গন্তব্যে যাওয়ার সময় ড্রাইভার দু’পাশের আকাশচুম্বী বাণিজ্যিক ভবনে পৃথিবীখ্যাত নানা কম্পিউটার ও আইটি প্রতিষ্ঠানের দ্বিতীয় প্রধান কার্যালয় দেখালো। নিজ দেশের পর আইটি সেক্টরের সকল সংস্থাই দ্বিতীয় প্রধান অফিসটি চালায় বেঙ্গালুরুতে।

আর দেখা গেল, বহুতলাবিশিষ্ট একাধিক ভবনের সমন্বয়ে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স। কমপ্লেক্সে মাঠ, পার্ক, সুইমিং পুল ইতাদি সবই আছে। আমি অবাক হয়ে বলি, শহরে এতো আপার্টমেন্ট কেনার লোক আছে? আমার কথা শুনে ড্রাইভার হেসে বললেন, ‘ঠিকই বলেছেন স্যার। শুধু বেঙ্গালুরুর মানুষই এসব কিনছেন না। সারা ভারতের লোকজন পরিবেশগত সুস্থতায় আধুনিক-অগ্রসর জীবন-যাপনের জন্য এই শহরকে বেছে নিচ্ছেন। শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রযুক্তির কারণেই মানুষ এখানে বসবাসের জন্য আসছেন। ’এক চিলতে জায়গা পেলেই বাগান ।  ছবি: ড. মাহফুজ পারভেজ

আরেকটি মজার তথ্য দিলেন তিনি, চাকরি ও শিক্ষার প্রয়োজনে এখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস করেন। বাংলাদেশের প্রচুর ছেলেমেয়ে পড়ছে বেঙ্গালুরুতে। ’ শুনে ভালো লাগলো।

আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, আগে ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে নিজস্ব ভাষার বাইরে অন্য ভাষার চর্চা খুব একটা ছিল না। হিন্দি বলতে তো মানুষ পছন্দই করত না, বরং একটি হিন্দি-বিরোধী মনোভাবই সবার মধ্যে বিরাজমান ছিল। তামিল ড্রাইভারের সাবলীল হিন্দি শুনে মনে হলো, পরিস্থিতি বদলেছে প্রয়োজনের তাগিদে। পরে হোটেলে বা পথে-ঘাটে কাজ-চালানোর মতো হিন্দি জানা বহু মানুষ পেয়েছি। পেয়েছি কেরালার লোকজনও। চাকরির ক্ষেত্র প্রসারিত হওয়ায় দক্ষিণ ভারতের অপরাপর রাজ্য, যেমন অন্ধ্র, তেলেগু, কেরালা, তামিলনাড়ুর প্রচুর লোক এখানে বাস করছেন।

উত্তর ভারতের অনেক লোকও এখানে চাকরি সূত্রে রয়েছেন। পাবলিক প্লেসে চলাচলরত মানুষের চেহারা ও ভাষা পর্যবেক্ষণ করলে সহজেই উপলব্ধি করা যায় যে, সর্বভারতের প্রায়-সকল অংশের মানুষই এখানে আছেন। বিশেষত বেঙ্গালুরু শহরে স্থানীয় ও অভিবাসীর সংখ্যা সমান-সমান না হলেও ভারসাম্যপূর্ণ।    

সুদূর বেঙ্গালুরু শহরে পেয়েছি টুকটাক বাংলা ভাষার স্পর্শ। এতো বাংলাদেশি এখানে আসেন যে, কাজের প্রয়োজনে চলনসই বাংলাও অনেকেই শিখে নিয়েছেন। বিশেষত হাসপাতালগুলোর আশেপাশে বাংলার প্রাধান্য প্রবল। সাইনবোর্ডেও বাংলা লেখা আছে। নোটিশ আকারে  বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, ‘এখানে বাংলাদেশের খাবার পাওয়া যায়। ’ টাকা ভাঙানো, খাবার দোকান, এমন কি রাস্তার পাশের সবজিওয়ালা পর্যন্ত কিছু কিছু বাংলা জানে। হোটেলে রান্নার জিনিস-পত্রও ভাড়ার ব্যবস্থা আছে, যাতে রোগিরা নিজের মতো করে খাবার খেতে পারেন।        

বেঙ্গালুরু শহর পেরিয়ে উপকণ্ঠে সম্প্রসারণশীল বোমাসান্দ্রা এলাকায় ‘ড্রিমস লজ’-এ এসে উঠেছি। আশেপাশে অনেকগুলো হাসপাতাল থাকায় বাংলাদেশের মানুষের ভিড়ই বেশি। কানে বাংলা ভাষার নানা শব্দও গুঞ্জরিত হচ্ছে। হোটেলের কর্মচারীরাও হিন্দি-বাংলা মেশানো ভাষায় পারদর্শি। বাংলাদেশের গাঁও-গেরামের মানুষ এলেও কথা-বার্তার জন্য মোটেও ঠেকবে বলে মনে হয় না। ‘হাসপাতালে বাংলায় বিজ্ঞপ্তি-সাইনবোর্ড রাখা ছাড়াও বাংলা জানা কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে’, বললেন টাঙ্গাইলের আবদুল্লাহ। আমি চট্টগ্রাম থেকে এসেছি জেনে বললেন, ‘পাশের হোটেলেই আপনার এক সহকর্মীকে পেলাম। ’ খোঁজ নিয়ে জানলাম, ভাষা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক মঞ্জুরুল এসেছে তার বাবাকে নিয়ে। আসার পথে দেখি চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণের তাপন নন্দী। অতএব, বাংলাদেশির প্রাবল্য আর ব্যাখ্যা করার দরকার হয় না।    

কেন এতো মানুষ বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য এখানে আসছে, বার বার এটা ভাবছিলাম। নিশ্চয় একটি মাত্র কারণে গণহারে মানুষ চিকিৎসার জন্য আসছে না। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এই কারণগুলো নিরপেক্ষ ও নৈব্যর্ক্তিক গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিত করা এবং দূরীকরণের চেষ্টা হচ্ছে না।

রাতের খাবার খেয়ে বাইরে হাঁটাহাঁটি করার সময় পরিচয় হলো, সিরাজগঞ্জের মনসুর আহমদের সঙ্গে। ভদ্রলোকের কাছে আলাপে আলাপে জানতে চাইলাম, বাংলাদেশ থেকে এতো লোক এখানে চিকিৎসার জন্য কেন আসেন? মাঝবয়েসী ভদ্রলোক একাধিকবার ভারতের নানা জায়গায় এসেছেন। আমার কথার উত্তরে জানালেন, একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বলি, আমি আমার বাবাকে নিয়ে গিয়েছিলাম শংকর নেত্রালয়ে। মাদ্রাজ কেন্দ্রিক এই চক্ষু হাসপাতালের সারা ভারতেই ভাল একটা গুডউইল আছে। সেই শংকরের রিসেপশনে ব্যাপক ভিড়। সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে যখন সুদর্শনা ষোড়শী অভ্যার্থনাকারিনীর সামনে আসতে পারলাম, জানা গেল এক থেকে দেড় মাস আগেই ডাক্তারের শিডিউল নিতে হয়। বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে রিসেপশনিস্ট নিজ উদ্যোগে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করে একটা ব্যবস্থা করে দিল। সেবা ও ব্যবসা দুটিই চমৎকারভাবে করে নিল হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, আমার বাবা তাদের বিজ্ঞাপন হয়ে গেলেন। ’

এমন দৃষ্টান্ত একটি নয়, একাধিক। ডাক্তারের আন্তরিক ব্যবহার, সেবার মানসিকতা ও সার্ভিস ইত্যাদি কারণে রোগিরা মানসিকভাবে বাইরের চিকিৎসার প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। ব্যক্তিগত পর্যায়ে এবং মিডিয়ায় বাংলাদেশের ডাক্তারদের সাথে বিভিন্ন জনের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা প্রায়ই প্রচার পায়। টাকা দিয়েও ক্লিনিক-হাসপাতালে ভালো ব্যবহার ও মনোযোগ পাওয়া যায় না। ক্ষেত্র বিশেষে ভুল চিকিৎসার ঘটনা তো ঘটছেই। ।

এসব নিয়ে যারা ভাবার, তারা সেটা কার্যকরভাবে ভাবছেন না। এটাই দুঃখের বিষয়। বাংলাদেশি রোগিদের চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখী স্রোতের এটাই ক্ষেত্র তৈরি করছে।

বাংলাদেশ সময়:  ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।