ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ট্রাইব্যুনাল

সাখাওয়াতসহ ৮ জনের যুদ্ধাপরাধের রায় যেকোনো দিন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৬
সাখাওয়াতসহ ৮ জনের যুদ্ধাপরাধের রায় যেকোনো দিন

ঢাকা: জাতীয় পার্টির নেতা যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাখাওয়াত হোসেনসহ আটজনের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় দেওয়া হবে যেকোনো দিন। মামলাটির বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় রায় ঘোষণা অপেক্ষমান রেখেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

এ মামলার অন্য সাত আসামি হলেন- মো. বিল্লাল হোসেন, মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল। নয় আসামির মধ্যে মো. লুৎফর মোড়ল গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় তাকে আসামি তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
 
আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন। বাকি ছয়জন পলাতক।
 
বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শেষে যেকোনো দিন রায় দেওয়া হবে বলে আদেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ আনোয়ার উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

সাখাওয়াতসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালে যশোরে মামলা দায়ের করা হয়।

প্রসিকিউশনের আবেদনে ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে ২৯ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরখান থেকে সাখাওয়াত হোসেনকে গ্রেফতার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
 
২০১৪ সালের ০১ এপ্রিল থেকে এ মামলায় তদন্ত শুরু করে ২০১৫ সালের ১৩ জুন শেষ করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক খান।
 
গত বছরের ১৬ জুন এ মামলার তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনে দাখিল করেন তদন্ত সংস্থা।
 
গত বছরের ২৬ জুলাই সাখাওয়াতসহ যশোরের কেশবপুরের ১২ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। পরে ০৮ সেপ্টেম্বর তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে নয়জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এর আগে ১৭ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের পক্ষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম এবং ২২ নভেম্বর অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করেন আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।

গত ৩১ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।  

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ৯ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১৬ জন সাক্ষী। আসামিপক্ষে কোনো সাফাই সাক্ষী ছিলেন না।

১২ থেকে ১৪ জুলাই যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন এবং আসামিপক্ষে আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আব্দুস শুকুর খান।


বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪৩, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্রাইব্যুনাল এর সর্বশেষ