ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সৌদি আরব

ডিজিটাল পাসপোর্টে দূতাবাসই আস্থা সৌদি প্রবাসীদের

মোহাম্মদ আল-আমীন, সৌদি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫
ডিজিটাল পাসপোর্টে দূতাবাসই আস্থা সৌদি প্রবাসীদের

রিয়াদ: আন্তর্জাতিক অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের শর্তে মতে, ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বরের পর মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ছাড়া কাউকেই উড়োজাহাজে ভ্রমণ করতে দেওয়া হবে না।

সেই শর্তপূরণে বাংলাদেশ এবং দেশের বাইরে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কন্স্যুলেট সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের এমআরপি প্রদানের কার্যক্রম শুরু করেছে।



সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের এমআরপি তথা ডিজিটাল পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ করছে রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাস, জেদ্দা কন্স্যুলেট জেনারেল অফিস এবং আউটসোর্সিং কোম্পানি আইরিশ কর্পোরেশন বারহাট।

বুধবার রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস ও আইরিশ অফিস ঘুরে দেখা যায়, ডিজিটাল পাসপোর্ট বানাতে প্রবাসীদের আস্থা দূতাবাসেই। প্রায় সমসংখ্যক মেশিন এবং জনবল নিয়ে যেখানে দূতাবাস প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই হাজার এনরোলমেন্ট করছে, সেখানে আইরিশ দিনশেষে একশ থেকে দেড়শো এনরোলমেন্ট করছে।

আইরিশে প্রবাসীদের আগ্রহ না থাকার কারণে প্রচণ্ড ভিড় উপেক্ষা করেও দূতাবাসে লাইন ধরছেন তারা। অপরদিকে, আইরিশ কর্মকর্তাদের অধিকাংশ সময় অলসভাবে সময় কাটাতে দেখা গেছে।

তবে জনবল এবং যন্ত্রপাতির অভাবে আবেদনপত্র জমা দিতে আসা প্রবাসীদের চাহিদা অনুযায়ী, সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

প্রবাসীরা বলছেন, সরকার অন্য কোনো কোম্পানিকে কাজ না দিয়ে সৌদি বাদশার সাধারণ ক্ষমার সময়ের মতো ঢাকা থেকে জনবল এবং মেশিনপত্র এনে কাজ করলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হতো।

বাসার পাশে আইরিশ অফিস রেখে দূতাবাসে আসছেন কেন জানতে চাইলে মোস্তফা কামাল হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ৩০ রিয়াল দিয়ে বাইরে থেকে অনলাইনে আবেদন করে নিয়ে গেলেও তাদের ফের ৫০ রিয়াল দিতে হয় একই ফরম পূরণ করার জন্য। এরপর আবার ১৮০ রিয়াল দিতে হয়। সব মিলিয়ে ২৬০ রিয়াল খরচ হয়। কিন্তু দূতাবাসে ১৪০ রিয়ালে করা সম্ভব হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আইরিশ কাজ শুরু করে কোনো ধরনের নোটিস দেওয়া ছাড়াই। হুট করে অফিস বন্ধ করে দিয়েছিল। আবারও যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে তাদের খুঁজে পাওয়া কষ্ট। এদিক থেকে দূতাবাস শতভাগ নিরাপদ। তাই, দূতাবাসেই আমার আস্থা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউন্সিলর পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, এমআরপি এনরোলমেন্টের জন্য দূতাবাস থেকে ঢাকায় পাঠানো চাহিদাপত্র অনুযায়ী, লোকবল এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হলে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে সব প্রবাসীদের ডিজিটাল পাসপোর্ট দেওয়া এককভাবে দূতাবাসের পক্ষেই সম্ভব।

তিনি বলেন, স্বল্প মেশিন এবং স্বল্প জনবল দিয়ে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত রিয়াদ দূতাবাস ৩ লাখ ১৭ হাজার এবং জেদ্দা কন্স্যুলেট ১ লাখ ৬৫ হাজার এনরোলমেন্ট করা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া এ সময়ের মধ্যে অনেক প্রবাসী ছুটিতে বাংলাদেশে গিয়ে ডিজিটাল পাসপোর্ট নিয়ে এসেছেন।

চলতি সপ্তাহে রবি, সোম এবং মঙ্গলবার এই তিনদিনে রিয়াদ দূতাবাস ৩ হাজার ৩১টি এনরোলমেন্ট করে। অপরদিকে, আউটসোর্সিং কোম্পানি আইরিশের হিসাব হতাশাজনক।

প্রতিদিন ৮০/৯০টি এনরোলমেন্ট করতে পারেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন আইরিশ অফিসে অনলাইনে ফরম পূরণের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

সৌদি আরব এর সর্বশেষ