ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

বাংলানিউজ, ওয়েলকাম টু কক্সবাজার

জাকারিয়া মন্ডল, সিনিয়র আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৬
বাংলানিউজ, ওয়েলকাম টু কক্সবাজার ছবি: সোহেল সারওয়ার-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

কক্সবাজার থেকে: মাঠের ৩ দিক জুড়ে গোটা পঁয়ত্রিশ বইয়ের স্টল। একপাশে মঞ্চ।

অনুরোধে ঢেঁকি গিলে একের পর এক গান গাইতে হচ্ছে শিল্পীকে। সামনে সারি সারি চেয়ারে বসা দর্শক মনোযোগী গানে।

মঞ্চের ডান পাশে চেয়ার-টেবিল পেতে উপস্থাপকের ভূমিকায় থিয়েটার কর্মী ফালগুনি দাস হৈমু। সঙ্গে জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ, কক্সবাজার জেলা ছাত্র ইউনিয়ন সেক্রেটারি অন্তিক চক্রবর্তী, শাহানা মজুমদার চুমকি, দেবাশীষ দাস দেবু। একটু পরই এসে যোগ দিলেন চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের জেলা করেসপন্ডেন্ট ইসমত আরা ইসু।

তারা বাংলানিউজকে যেভাবে ওয়েলকাম জানালেন তাতে মনো হলো সবাই যেনো অনেক দিনের চেনা। কারো সঙ্গেই যে পূর্ব পরিচয় নেই তা মনে বসার সুযোগই দিলেন না তারা।

আয়াজ মাবুদ বললেন, কক্সবাজারের পর্যটনের পরিস্থিতি তুলে ধরতে বাংলানিউজ এগিয়ে এসেছে। আমাদের কথা তুলে ধরছে। এ উদ্যোগ ব্যাপকভাবে অব্যাহত থাক।

ফালগুনি দাস বললেন, কক্সবাজারে বাংলানিউজকে স্বাগতম। তারা যেভাবে এখানকার সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরছে তা সত্যিই দারুণ। তারা প্রমাণ করছে, কক্সবাজার নিয়ে আরো অনেক কিছু করা সম্ভব। কারণ পর্যটনের বেলায় প্রচারেই সমৃদ্ধি আসে।

অন্তিক চক্রবর্তী বললেন, গতকাল (সোমবার) বাঁশখালীতে ৫ জনের মৃত্যুর খবর বাংলানিউজ পড়েই জেনেছি। তরুণ প্রজন্ম এখন অনলাইনমুখী। তাই অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজকে কক্সবাজারে ওয়েলকাম জানাই। আশা করি, কক্সবাজারের পর্যটন নিয়ে আরো অনেক ধরনের রিপোর্ট হবে।

শাহানা মজুমদার বললেন, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এর সুনাম আরো বাড়বে। বাংলানিউজ বিভিন্ন ধরনের খবর দিয়ে এ কাজে সহযোগিতা করবে বলে আশা করি।

কথা বলতে বলতেই ঘড়ির কাঁটা রাত সাড়ে ন’টার ঘর অতিক্রম করলো। গান শেষ হলো মঞ্চে। গানের সময়ে তো বটেই, অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরও কোথাও কোনো হই হট্টগোল, অহেতুক জটলা বা বিশৃঙ্খলা চোখে পড়লো না।

সব মিলিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের মানুষের এই পোলাইট রূপটা মনে বসে গেলো। সঙ্গে মিশে রইলো বাংলানিউজের প্রতি এখানকার মানুষের নিষ্কলুষ ভালোবাসার রেশ। মন না চাইলেও উঠতে হলো তাই।

জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে এ মেলা আয়োজন করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও সৃজনশীল প্রকাশনা সমিতি। গত ৩১ মার্চ শুরু হয়েছে এক সপ্তাহব্যাপী এই বইমেলা। বুধবার (৬ এপ্রিল) যবনিকা নামছে এর।

তবে মেলা শেষ হওয়ার একদিন আগেও দর্শক উপস্থিতি বেশ ভালো পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ দৌলত ময়দানে।

এখানে কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির মতো স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের বইয়ের স্টল যেমন আছে, তেমনি স্টল আছে কথা প্রকাশ ও অন্যপ্রকাশের মতো খ্যাতনামা প্রকাশনার। অংকুর প্রকাশনীর মতো বিশ ক’টি শিশুতোষ স্টল আছে কক্সবাজার বইমেলায়। আছে শিশু একাডেমি আর বাংলা একাডেমির স্টলও।

কিন্তু জেলা সদরের বইমেলা বলেই কি না কে জানে, বইয়ের প্রদর্শনীর বিচারে এক স্টলের সঙ্গে অন্য স্টলের পার্থক্য নেই বললেই চলে। সব স্টলেই একই ধরনের বই চোখে পড়লো। এমনকি বাংলা একাডেমির স্টলে কোনো ব্যত্যয় চোখে পড়লো না আর।

কেবল আলাদা করে চেনা গেলো একটি কি দু’টি শিশুতোষ প্রকাশনার স্টল। অন্য প্রকাশের স্টলে যথারীতি দেখা গেলো কালজয়ী কথা সাহিত্যিক প্রয়াত হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের প্রদর্শনী। তবে জেলা সদরে এমন একটি আয়োজন প্রশংসার দাবি রাকে নি:সন্দেহে।


বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৬, ২০১৬
জেডএম

** কেয়ারি সিন্দবাদে দোল খেতে খেতে সেন্টমার্টিন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ