ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

ড্রয়িং রুম বলছে না এটা কক্সবাজার

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬
ড্রয়িং রুম বলছে না এটা কক্সবাজার

কক্সবাজার থেকে ফিরে: কক্সবাজারে পৌঁছে আমরা যখন ড্রয়িং রুমে নক করছি তখন মধ্য দুপুর। যেখানে বসতে দেওয়া হলো, অল্প পরিসরের গায়ে গা লাগা ড্রয়িং রুম এটি।

জানা গেলো ব্যাগ অ্যান্ড ব্যাগেজ আমাদেরই টেনে আনতে হবে বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে।

বলা হয়ে থাকে বিমানবন্দর-ড্রয়িং রুম দেখেই বোঝা যায়, ওই দেশ- ওই শহর কেমন, তাদের আতিথেয়তা।

ঢাকা থেকে অতিথি হয়ে আসার পরে প্রত্যাশা ছিলো, ঘরে অতিথি এলে আমরা যেমন দ্রুত হাতের ব্যাগগুলো নিয়ে তাকে সহযোগিতা করি, বসতে দেই সাজানো-গোছানো সোফায়, শরবত এনে দেই- তেমন আতিথেয়তা পাওয়া যাবে। কিন্তু কক্সবাজারের ড্রয়িং রুমে এসে স্বপ্নভঙ্গ হলো!


যাইহোক এখন বের হওয়ার পালা। সাদামাটা গেট দিয়ে বের হলাম। আমি যে এখন পর্যটন শহর কক্সাবাজারে তার কোন চিন্হ পেলাম না।

পর্যটন নগরীতে এসে কক্সাবাজারের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হয় এমন কোনো কিছু চোখে পড়লো না বিমানবন্দরে। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত রয়েছে যে শহরে, তারও একটি ছবিও সাটানো নেই দেয়ালে। কোথাও চোখে পড়লো না পাহাড়-দ্বীপ-সমুদ্র সৈকতের ছবি, পর্যটন কেন্দ্রের তালিকা।

বাইরে বের হতেই আরেক ঝামেলা। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে দেন-দরবার করা। যেসব পর্যটকদের গাড়ি সেখানে অপেক্ষা করে না তাদের সবার এই সমস্যায় পড়তে হয়েছে।

শুধু কি তাই! যে রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলবে তার দু’পাশ থেকে উটকো গন্ধ আপনার নাকে এসে বন্ধ হওয়ার যোগাড় হবে। আপনার গন্তব্য যদি হয় সরকারি কোনো হোটেল-মোটেল। তাহলে সেখানে যাওয়া পর্যন্তই আপনাকে নাকে রুমাল চাপা দিয়ে থাকতে হবে।

সরকারি পর্যটন হোটেল শৈবালের সামনেও রয়েছে ময়লার ভাগাড়। যে ক’দিন ছিলাম অভিজ্ঞতা ছিলো এমনই। দুর্গন্ধ নিয়ে হোটেলে প্রবেশ এবং বের হওয়া।

গত বছরের ২ জুলাই গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে কক্সাবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখন চলছে সেই কাজ। প্রায় ১৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পুরো কাজ ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করবে দায়িত্বে থাকা কোরিয়ান কোম্পানি ‘হল্লা করপোরেশন’।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন কর্তৃপক্ষের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে বোয়িং-৭৭৭-সহ বৃহদাকারের বিমান ওঠানামা করতে পারবে। বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে বাড়িয়ে ৯ হাজার ফুট করা হবে। রানওয়ের শক্তিও বাড়ানো হবে। প্রস্থ বাড়িয়ে ১৫০ ফুট থেকে ২শ’ এ ফুটে উন্নীত করা হবে। স্থাপিত হবে নতুন ডিভিওআর, ডিএমই, আইএলএস, এয়ার ফিল্ড লাইটিং সিস্টেম।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৬
এসএ/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ