ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

‘যন্ত্র-দেয়াল’ ভাঙছে সিলেটের ‘ওসমানী শিশু উদ্যান’

মাহবুব আলম, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
‘যন্ত্র-দেয়াল’ ভাঙছে সিলেটের ‘ওসমানী শিশু উদ্যান’ ছবি: আবু বকর সিদ্দিকী- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট থেকে: এই বছর কয়েক আগেও সিলেট নগরীতে বিনোদনের জন্য শিশুদের উপযোগী কোনো পার্ক ছিলো না। তখন বাসার ছাদে হাঁটাহাঁটি অথবা টেলিভিশনে কার্টুন দেখা, নতুবা গেমস নির্ভর বিনোদনে সময় কাটাতে হতো কোমলমতি শিশুদের।

সেই অবস্থা এখন আর নেই। ইচ্ছে হলেই ‘যন্ত্রের দেয়াল’ ভেঙে শিশুরা ছোটাছুটি করতে পারে বিশাল উদ্যানে। চড়তে পারে নানা ধরনের বিনোদনমূলক রাইডে। শিশুদের মনখোলা উচ্ছ্বাস-আনন্দে নির্ভার হতে পারেন অভিভাবকরাও।

৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি একসময়ের শ্রীহট্টে শিশুদের জন্য পৃথক বিনোদন কেন্দ্র না থাকার দুঃখ ঘুচিয়েছে ২০০০ সালে নির্মিত ওসমানী শিশু উদ্যান।

নগরীর প্রাণকেন্দ্র ধোপাদিঘীর পাড়ে প্রায় ৮ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত এ উদ্যান। এখানে রয়েছে বাম্পার কার, টয় ট্রেন, দোলনাসহ শিশু বিনোদনের বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর রাইড।

মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নামে তারই শেষ ইচ্ছানুযায়ী এ পার্ক নির্মাণ করা হয়।

সুরমা নদীর তীরে জেলা পরিষদ কার্যালয় পেরিয়ে বাঁ দিকে মোড় নিলেই ওসমানী শিশু উদ্যান। প্রতি বিকেলেই দর্শনার্থী, শিশু, অভিভাবকদের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে পার্ক এলাকা। এই মুখরতা থাকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
 
ছুটে আসেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষও। তেমনই এসেছেন জৈন্ত‍া উপজেলার হরিপুরের কলেজ শিক্ষক রহমত আলী। মেয়ে হ্যাপি আকতারকে নিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো পার্কে এলেন তিনি।  

হরিপুরে একটি মহিলা কলেজের এই শিক্ষক বলেন, মেয়ের আবদার রক্ষা করতেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে পার্কে এসেছি। হৈ-হুল্লোড় করে নিজের মতো একটি দিন কাটাচ্ছে সে।   

পার্ক সংশ্লিষ্টরা জানান নানা ধরনের খেলা ছাড়াও এখানে শিশুরা চড়তে পারে ঘোড়া, টয় ট্রেন ও চড়কিতে। দেখতে পারে বন থেকে আনা স্নো চিতা, বানর ও ছোট-বড় সব অজগর সাপও।

পার্কের প্রবেশপথে কাউন্টার সহকারী খানে আলম খান বাংলানিউজকে বলেন,  এখানে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের জন্যে বিনোদনের সব ব্যবস্থা আছে। তাই প্রতিদিন যেন কচি-কাঁচার মেলা এখানে।

উদ্যানের প্রবেশ ফি ৩০ টাকা। এর বাইরে প্রতি রাইডের জন্য আলাদা আলাদা টিকিট কাটতে  হয়। পার্ক খোলা থাকে প্রতিদিন দুপুর একটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত।

ভাগ্নে সামিউল হাসনাতকে নিয়ে বুধবার পার্ক এসেছেন নগরীর রায়নগরের সেবক আবাসিক এলাকার বাসিন্দা শেখ রাসেলও।
 
ঘোড়া ও চড়কিতে চড়িয়েছেন পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ভাগ্নেকে। বললেন, বায়না ধরলো, মানা করতে পারিনি। নিয়ে এলাম, দু’টি রাইডে চড়ে বেশ খুশি হয়েছে।

আর উচ্ছ্বসিত সামিউল জানায়, প্রতি ঈদেই আসা হয় পার্কে। তার কথা, ‘ট্রেনে চড়েছি, খুব মজা করেছি। ’

সিলেট সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পার্কটি ইজারা নিয়ে পরিচালনা করছেন মিজান আজিজ সুইট।


বাংলাদেশ সময়: ১০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
এমএ/এইচএ/

** এখনও সময় জানায় আমজাদের সেই ঘড়ি​
**পর্যটন বর্ষের প্রচারণা নেই মাধবকুণ্ডে
** ঝরনার পাহাড়ে ফাটল, সতর্ক হোন
**জাফলং পর্যটনে বাধা ‘সড়ক’
**অযত্নে-অবহেলায় আদিত্যপুর গণকবর

**যাত্রীর ইয়ার্ডে পাবলিকের কার পার্কিং
** ফাংশন নেই শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে
** সন্ধ্যে হতেই দোকান উঠে যায় বানিয়াচং বাজারে
** দু’টি পাতার একটি কুড়ির নিচেই অন্ধকার
** পর্যটনে আকর্ষণ তারাও
** স্বচ্ছ লেকে লাল শাপলার নিমন্ত্রণ
** ‘মৌলভীবাজার রুটের অধিকাংশ যাত্রীই পর্যটক’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ