ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে

পাহাড়ি ছড়ায় ঝরনার ছন্দ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
পাহাড়ি ছড়ায় ঝরনার ছন্দ ছবি: সোহেল সারওয়ার- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাঙ্গামাটি থেকে: রাঙ্গামাটি শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ি গ্রাম ঘাগড়া। উঁচু পাহাড়ের ওপরেই আঁকাবাঁকা সড়কটি ভেদভেদি হয়ে চলে গেছে রাঙ্গামাটি শহরের দিকে।

শহরের অদূরে এ পাহাড়ি গ্রামের পরিবেশ সুনসান। তা ভেদ করে বয়ে চলছে অসংখ্য পানির ছড়া (খাল)। যার বেশির ভাগেরই উৎস কোনো  না কোনো ঝরনা।

তেমনি একটি হাজারছড়া ঝরনা, এটিকে ‘কলাবাগান ঝরনা’ বলেও ডাকেন স্থানীয়দের অনেকে। তবে হাজারছড়া নামেই বেশি পরিচিত, কেউ লেন হাজাছড়াও। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য বিলিয়ে এরইমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে এটি।

শুধু হাজারছড়াই নয়, এ পাহাড় শ্রেণিতে ছোট-বড় আরও অনেকগুলো ঝরনা আছে। তবে পরিচিতি রয়েছে মাত্র দু’টির। বাকিগুলো ততটা বড় নয়।
জানেনও না অনেকে। পাহাড়ের বন্ধুর পথ কিংবা উঁচু-নিচু ছড়া দিয়ে ট্র্যাকিং করে এসব ঝরনার পাদদেশে ছুটে প্রকৃতিপ্রেমীরা। প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে সৌন্দযকে উপভোগ করতে চান তারা।

পাহাড় বেয়ে কিংবা পিচ্ছিল পাথুরে ছড়া দিয়েই অভিযান শুরু হয়। কাটগড় পুড়িয়ে এক পর্ায়ে সফলও হন তারা।
এ সময় পাহাড়ের জুম চাষ, সবুজ বনানীতে হারিয়ে যেতে চায় মন। শরতের বিদায় ঘণ্টায় আকাশে মেঘের ওড়াউড়ি থাকলেও গত দু-তিনদিন বৃষ্টি হয়নি পাহাড়ে!

এরপরও পাহাড়গুলো বেশ কচকচে সবুজ। বৃষ্টি ধোয়া সেগুন, গামারি কিংবা নাম না জানা পাহাড়ি গাছের পাতাগুলোও সবুজের আভা ছড়াচ্ছে।

চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি মহাসড়কের কলাবাগানপাড়ার বসতির পেছনেই পাহাড়ি ছড়া। সামনে কোনো লেকে গিয়ে মিতালি করেছে হয়তো।

‘রুক্ষ্ম’ পাহাড়ের সর্পিল ছড়াটি ধরে প্রায় আধঘণ্টা হাঁটলেই প্রথম ঝরনাটির পাশে পৌঁছানো যায়। হাঁটার সময়ে ঝরনা আর উঁচু থেকে নিচুতে ছড়ায় পানির বয়ে যাওয়র শব্দ দূর থেকেই এক ঘোরের সৃ্ষ্টি করে।

সেখান থেকে আরও মিনিট ত্রিশেক গেলে মূল ঝরনাটি চোখে পড়বে। সারাবছর টলটল পানি ঝরলেও বর্ষাকালে চির যৌবনা হয়ে ওঠে এ দু’ঝরনা। আর নিজস্ব রূপ ফিরে পায় ছড়াগুলোও।

ট্র্যাকিংয়ে চোখে পড়বে কয়েকটি পরিবারের বাস। প্রায় ২ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়টার ওদিকটায় বাস করে চাকমা সম্প্রদায়।

রয়েছে মারমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, বম, চাক, খুমি, খিয়াং, লুসাই, ম্রো, মুরং, পাংখোয়া, সাঁওতাল, মণিপুরী জনগোষ্ঠীও।

যেভাবে যাবেন:

দেশের যে কোনো জায়গা থেকে বাসে আসা-যাওয়া করা যায় আয়তনে দেশের এ বড় জেলায়। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে উঁচুতে অবস্থিত এ শহরে রিকশা নেই। তাই অটোরিকশায় যেতে হবে ঘাগড়ার কলাবাগানপাড়ায়। সেখান থেকে বেশ কিছুক্ষণ হাঁটলেই পৌঁছানো যাবে ঝরনায়।

স্থানীয় লোকজনও পর্যটকদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। নিজ উদ্যোগে পাহাড়ে পথও তৈরি করে দিয়েছেন অনেকে।

** খাবারের দামটাই যা বেশি তূর্ণা নিশিথায়
** পাহাড় থেকে বাজারে নেমে গেছে ‘ভাগের মা’ সড়কটি
** আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথে

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৬
এমএ/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বছরজুড়ে দেশ ঘুরে এর সর্বশেষ