কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছাড়ার পর এয়ারপোর্ট রেলস্টেশনে আসতে সময় লাগে ২৭ মিনিট, পাঁচ মিনিটের যাত্রাবিরতি শেষে চাকা ঘুরতে শুরু করবে খুলনার উদ্দেশে- এমনটিই লেখা ছিলো স্টেশনের ডিজিটাল নোটিশ বোর্ডে।
বর্তমানে আমাদের রেল সার্ভিস অনেক উন্নত।
এরপর খুব দ্রুতই কেটে যায় প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা, ততক্ষণে সফরসঙ্গী চার সহকর্মীর দু’জন পৌঁছে গেছেন। বাকি দু’জনের একজনের ওঠার কথা কমলাপুর থেকে, অন্যজন উঠবেন ঈশ্বরদী থেকে।
ঘড়ির কাঁটা নির্ধারিত সময় পার হওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর কমলাপুরে অপেক্ষায় থাকা সহকর্মী ফোনে বললেন, ট্রেন কমলাপুর ছাড়বে কী, খুলনা থেকে ছেড়ে এখনো টঙ্গীই পৌঁছায়নি।
আমরা ভাবলামতাতে কী, একটু দেরি তো হতেই পারে! কিন্তু তা কতক্ষণ?আধাঘণ্টা যায়, একঘণ্টা যায়, ট্রেন আসার খবর নেই।
যাত্রীরা ফেরিওয়ালাদের কাছে জানতে চাইছেন, ট্রেন কেন লেট? কখন আসবে? উত্তরও মিললো তাদের কাছ থেকে,জানালেন, চিত্রা আজ দেড় ঘণ্টা লেট।
সত্যিই প্রায় দেড় ঘণ্টা পর মাইকে ঘোষণা করা হলো- আর কিছুক্ষণের মধ্যে চিত্রা এক্সপ্রেস প্লাটফর্মে আসছে। ঘোষণা শুনে স্বস্তি ফিরলো যাত্রীদের।
দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্য জানান, মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) ঘণ্টা তিনেক ডিলে হয় চিত্রা। এর প্রভাবে বুধবারও দেরি হয়েছে। চিত্রা বন্ধ থাকে সোমবার, ওইদিন সময় মেকআপ হবে।
তবে চিত্রার এক টিকিট চেকার জানান, বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ডিলে টাইম ঠিক হয়ে যাবে।
ট্রেন উঠে যাত্রীরা বলাবলি করছিলেন, ঝকঝকে বগির এই ট্রেনটি কত উন্নত!আর এতো ডিজিটাল রেল খাত সব সময় নির্দিষ্ট সময়ে চললে কতো ভালো হতো!
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৬
এসআই/এটি