ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভোটের-কথা

জমিরউদ্দিন-তৌহিদুল দ্বন্দ্বে বেহাল পঞ্চগড় বিএনপি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৬ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৭
জমিরউদ্দিন-তৌহিদুল দ্বন্দ্বে বেহাল পঞ্চগড় বিএনপি ছবিতে ডানে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও বাঁয়ে পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলাম

পঞ্চগড় থেকে: চৌদ্দশ’ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের পঞ্চগড় জেলায় সংসদীয় আসন রয়েছে দু’টি। তবে জেলা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে দু’টি আসনেই সাংগঠনিকভাবে বেহাল দশায় পতিত হয়েছে ধানের শীষ মার্কার দল বিএনপি।

এই দ্বন্দ্বের একপক্ষ হলেন জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির বর্তমান সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। অপরজন পঞ্চগড় পৌরসভার বিএনপি সমর্থিত মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলাম।

এ দুই নেতাকে কেন্দ্র করে বিএনপির অন্তর্দ্বন্দ্ব বেশ প্রকাশ্য।  

যদিও পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী আপাতত শুধু ফরহাদ হোসনে আজাদই। তবে জেলা কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম অনেকটা স্থবিরই হয়ে আছে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে দেবীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের এক কর্মী বাংলানিউজকে বলেন,
পঞ্চগড়ের রাজনীতি পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলাম। কিছুদিন আগে তৌহিদুল ইসলাম সমর্থিত কর্মী বাহিনী রাস্তায় ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের কুশপুতুল পোড়ায়।

কিন্তু কেন এই দ্বন্দ্ব। জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ধরে পঞ্চগড় বিএনপির জেলা কমিটি করা হয়নি। ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার নাকি তৌহিদুল ইসলাম জেলা কমিটির সভাপতি হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেই ওই কমিটি আটকে যায় বলে অভিযোগ আছে। আর জেলা কমিটি না থাকায় দলীয় সভারও বালাই নেই পঞ্চগড়ে।    

বোদা উপজেলার বিএনপির প্রচার সম্পাদক আবু হেনা মো: মবিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলামকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু তাদের মধ্যকার এই দ্বন্দ্ব শেষ না হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে। তাদের দ্বন্দ্বের কারণে জেলা কমিটি না হওয়ায় আমাদের কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। তাছাড়া এ সুযোগ প্রতিদ্বন্দ্বীরাও নেবে। তাই আমরা চাই তাদের দ্বন্দ্বের সমাধান।

এই দ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া যায় খোদ পঞ্চগড়ের বিএনপি সমর্থিত মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলামের কথায়। বিএনপি পঞ্চগড়ের জেলা কমিটি ঘোষণা কেন হচ্ছে না জানতে চাইলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, জেলা কমিটি হলে আমি সভাপতি হবো। এটা মেনে নিতে পারছেন না ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। তাই তিনি জেলা কমিটি গঠন করতে বাগড়া দিচ্ছেন। তিনি তার ছেলে নওশাদকে রাজনীতিতে আনতেই পঞ্চগড়ে বিএনপির ক্ষতি করছেন।

বোদা উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার ও মো: তৌহিদুল ইসলামের মধ্যকার দ্বন্দ্বের কারণে আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হবে। তাদের এই দ্বন্দ্ব শেষ হলে আমাদের পঞ্চগড় বিএনপির সমস্যা ৫০ শতাংশ সমাধান হয়ে যাবে।

এসব বিষয়ে বিএনপির পঞ্চগড়-২  আসনের মনোনয়ন প্রার্থী ফরহাদ হোসেন আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, জেলা কমিটি হওয়া খুব জরুরি। তবে এ বিষয়টি নির্বাচনে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে বলে আমার মনে হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।