সে হিসাবে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১২, ১৩ ও ১৪ এবং দ্বিতীয় পর্ব ১৯, ২০ ও ২১ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতি পর্ব ইজতেমার শেষে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
ইজতেমার মাঠে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় দেশ-বিদেশের শতাধিক মুরব্বি মাশওয়ারায় (পরামর্শে) এ তারিখ চূড়ান্ত করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এমন কয়েকজন তাবলিগি সাথী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুরব্বিদের ওই পরামর্শে ইজতেমার আগে অনুষ্ঠেয় জোড় ইজতেমার তারিখও নির্ধারণ করা হয়। আগামী নভেম্বরে জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা নভেম্বর মাসের ২৪ তারিখে শুরু হয়ে ২৮ তারিখে বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
পাঁচ দিনের এই জোড় ইজতেমা সাধারণত বিশ্ব ইজতেমার ৪০ দিন আগে হয়ে থাকে। জোড় ইজতেমায় শুধুমাত্র তিন চিল্লার সাথীরা অংশ নেন। এরপর কিছু সাথী ইজতেমার মাঠ প্রস্তুতের কাজে যোগ দেন, বাকিরা ইজতেমাকে সফল করতে দাওয়াতের কাজে জামাত নিয়ে লোকালয়ে চলে যান।
চলতি ইজতেমায় দেশের যে ৩২টি জেলা বাদ পড়েছে আগামী বছর (২০১৮ সালে) অনুষ্ঠেয় বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বে সেই ৩২ জেলার তাবলিগ জামাতের সাথীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে অংশ নেবেন।
বিশ্ব ইজতেমায় প্রতি বছর ২৫ লাখের বেশি মুসল্লির সমাগম হয়। আখেরি মোনাজাতের দিন এ সংখ্যা দ্বিগুণ হয়। যা টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরের ২৬০ একরের ইজতেমা ময়দানের ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি।
১৯৬৭ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। স্থান সংকট এবং জনদুর্ভোগ বিবেচনা করে ২০১১ সাল থেকে দুই পর্বে ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে।
ইজতেমায় আসা মুসল্লিরা এখানে তাবলিগ জামাতের শীর্ষ আলেমদের বয়ান শোনেন ও দাওয়াতে তাবলিগের কাজ বিশ্বব্যাপী পৌঁছে দেওয়ার জন্য জামাত নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।
চলতি ইজতেমার দুই পর্ব থেকে বিভিন্ন মেয়াদে দ্বীনের কাজে প্রায় ৫ হাজার জামাত গঠন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম পর্ব থেকে ২ হাজার ৫৩৩ জামাত বের হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৭
এমএইউ/এটি