এর আগে ২০১৬ সালের ২০ অক্টোবর রাজশাহীতে তিনদিনের এই ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছিল। ফলে দু’বছর পর আবারও ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ইজতেমায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। ইজতেমায় বিভিন্ন জেলা থেকে আসা জামাতের সংখ্যা প্রায় ২শ’টি। তাবলীগ ইজতেমা উপলক্ষে এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা জামাত ও বিদেশের কয়েকটি জামাত রাজশাহীতে পৌঁছেছেন। রাজশাহী আঞ্চলিক ইজতেমা আয়োজক কমিটির সদস্য তুষার আহমেদ জানান, এবারের ইজতেমায় প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লির সমাগম ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া ইজতেমা ময়দানে মুসল্লিদের জায়গা না হলে পদ্মার চরে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
তিন দিনব্যাপী ইজতেমায় উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ওলামা কেরাম এবং মুরব্বিরা ইজতেমায় ইসলাম ও কোরআনের আলোকে বয়ান করবেন। প্রতিদিন আলোচনা করে মজলিসে বক্তা নির্ধারণ করা হবে। শুক্রবার (২ নভেম্বর) শুরু হয়ে তিন নভেম্বর বাদ জোহর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে এই তাবলীগ ইজতেমা। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার (সদর) ইফতেখায়ের আলম বাংলানিউজকে বলেন, তাবলীগ ইজতেমা উপলক্ষে এরই মধ্যে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে হজরত শাহ মখদুম (রহ.) কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পও। মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে সবাইকে তল্লাশি করে ঈদগাহে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সাদা পোশাকে পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও ইজতেমা চলাকালীন সময়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
সবমিলিয়ে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলেও জানান পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৮
এসএস/এএটি