স্বেচ্ছাশ্রমে গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে তাবলীগ জামাতের সাথিরা এসব কাজ করবেন। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় মার্কাজ কাকরাইল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে দুই পর্বে এ ইজতেমা অনুষ্ঠিত হলেও এবার একটাই হবে। এ লক্ষে বিশ্ব ইজতেমাকে সফল ও সার্থক করতে এরইমধ্যে চলছে নানা প্রস্তুতিমূলক কাজ। কিভাবে ময়দানের কাজ হবে তা নির্ধারণে শুক্রবার সকাল ৮টায় কাকরাইল মার্কাজ মসজিদের খতিব ও জিম্মাদার মাওলানা জুবায়ের হোসেনের নেতৃত্বে মাশোয়ারা (পরামর্শ) সভা সম্পন্ন হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক শনিবার (২৬ জানুয়ারি) থেকে পুরোদমে কাজ চলবে।
এ বিষয়ে মার্কাজ মসজিদের ইস্তেকবাল (বিদেশি অতিথিদের অভ্যর্থনার দায়িত্বে নিয়োজিত) জাহিদ ইকবাল তুষার বলেন, বিশ্ব ইজতেমার আগেই আমাদের সব কাজ সম্পন্ন হবে। স্বেচ্ছাশ্রমে গাজীপুর, ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে তাবলীগ জামাতের সাথিরা এসব কাজে অংশ নেবেন। চাইলে অন্যরাও যেতে পারবেন।
তিনি বলেন, এবার হাতে সময় খুবই কম। ইজতেমা ময়দানের বিশাল সামিয়ানা টানানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ শনিবার থেকে দ্রুত গতিতে চলবে। একইসঙ্গে চলবে ময়দানে খুঁটি পোতা, রাস্তাঘাট মেরামত ও মাঠ সমতল করার কাজ।
এবার আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা ও নাশকতারোধে থাকছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এরই মধ্যে মাঠে তাবলীগ জমায়েতের উপস্থিতি না থাকলেও শুক্রবার ইজতেমা মাঠে পুলিশি টহল দেখা যায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, তাবলীগের দুই গ্রুপ একসঙ্গে একই জায়গায় এবারের ইজতেমা করার বিষয়ে একমত হয়েছেন। তাবলীগ জামাতের তারিখ নির্ধারণে বৃহস্পতিবার দুই গ্রুপের দু’জন করে নিয়ে আমরা বৈঠকে বসেছিলাম। সেই বৈঠকে তারা দুই গ্রুপ দুই তারিখ দিয়েছিল, আমরা দুই পক্ষের মাঝামাঝি তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
ইএআর/আরআর