ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শিল্পকলায় শুরু হয়েছে ৯ দিনব্যাপী ঢাকা আর্ট সামিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
শিল্পকলায় শুরু হয়েছে ৯ দিনব্যাপী ঢাকা আর্ট সামিট

ঢাকা: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার শিল্পকলার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক স্থাপন ও দেশের শিল্পীদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো শুরু হয়েছে ঢাকা আর্ট সামিট। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শিল্পকলা একাডেমিতে এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত এবারের সামিটে প্রথমবারের মতো বাংলা প্রতিপাদ্য- ‘বন্যা’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে অংশ নিচ্ছে দেশ-বিদেশের ১৬০ এর বেশি প্রখ্যাত শিল্পীরা। ৯ দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এই আয়োজন চলবে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিনি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান, ঢাকা আর্ট সামিটের ডিরেক্টর ও সামদানী আর্ট ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট নাদিয়া সামদানী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, সামদানী ফাউন্ডেশন জাতীয় পর্যায়ের সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের আর্টকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত করার কাজ অত্যন্ত সুচারুভাবে করে যাচ্ছে। এই সামিটে আমাদের একটি নতুন অভিজ্ঞতা হল। আগে আর্ট বলতে আমরা বুঝতাম ক্যানভাসের উপরে রঙ তুলির আঁচড় কিংবা ভাস্কর্য ইত্যাদি। কিন্তু এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির উন্নয়ন ও এর সম্পৃক্ততার মাধ্যমে একই সঙ্গে দেখা এবং শব্দের মাধ্যমে উপস্থাপন এবং লেজার শোর মাধ্যমে আর্টের উপস্থাপন একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

সামিটের সফলতা কামনা তিনি বলেন, আজকের সামিটের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘বন্যা’। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ কয়েকটি ভয়াবহ বন্যার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। ‌আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গিয়েছিল। তবে বাংলাদেশের মানুষ সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে গেছে। এটাই বাঙালির বৈশিষ্ট্য। বাঙালি যে কোনো চ্যালেঞ্জ আসলে সেটা মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আজকের সামিটে উঠে এসেছে এবং সেটা হল নারীর ক্ষমতায়ন। ‌ নারী ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। নারী ক্ষমতায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। এর ফলে তার একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়ছে পরিবার ও পরিবার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে সামগ্রিক সমাজের পরিবর্তনে।

প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, বৈশ্বিক মহামারির কারণে গত দুই বছর ধরে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে আমরা খুব বেশি সম্পৃক্ত হতে পারিনি। এটা আবার পূর্ণোদ্যমে আয়োজিত হচ্ছে, এটা অবশ্যই আনন্দের বিষয়। আজকের এই সামিটে মূল প্রতিপাদ্য ‘বন্যা’। এছাড়াও বাংলাদেশের ছয়টি ঋতু অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নাদিয়া সামদানী এবং রাজীব সামদানী, তারা দুজনে এই সামিট ২০১২ সাল থেকে আয়োজন করে আসছে। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই। আগামীতে আর্ট সামিটের মতো যে কোনো সুন্দর আয়োজনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সবসময় পাশে থাকবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
এসকেবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।