ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আইজিসিসিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০২৩
মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আইজিসিসিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান

ঢাকা: বছর ঘুরে আবার এসেছে বাঙালির অহংকার বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি তার আত্মপরিচয়, স্বাধীনতা ও স্বাধীন পতাকা পেয়েছিল যে মাসে তার নাম ডিসেম্বর।

এ মাস অদম্য বাঙালির মহাবিজয় অর্জনের মাস।  

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের এ মাহেন্দ্রক্ষণে অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে সেদিন পাশে ছিল ভারত। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তাক্ত সশস্ত্র সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ কাঙ্ক্ষিত বিজয়ের ১০ দিন আগে ৬ ডিসেম্বর স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় দেশটি। আর ইতিহাসে অবিস্মরণীয় এ দিনটি পালিত হয়ে আসছে ‘মৈত্রী দিবস’ হিসেবে।

প্রতিবারের মতো এবারও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালনে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান’ শীর্ষক সঙ্গীতানুষ্ঠান।

তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা যোগাতে ভারতের অভ্যন্তরে প্রতিষ্ঠিত এ বিপ্লবী বেতারকেন্দ্র জাগরণী সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করে রাখে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা। মৈত্রী দিবসের এবারের কর্মসূচিতে স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধারা তাদের কণ্ঠে কালজয়ী সেসব সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করবেন। ধানমন্ডির ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে (আইজিসিসি) অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন।

সন্ধ্যায় ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’ কোরাস সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে আয়োজন শুরু হয়। এর আগে ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য দেন আইজিসিসির পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র দুদেশের সংস্কৃতির জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। মুক্তিযুদ্ধে এ কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র সেই প্রেরণাকে এখন দুদেশের মানুষের সম্পর্ক সৃষ্টি এবং সেই সম্পর্কের গভীরতাকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।

মৃন্ময় চক্রবর্তী বলেন, সেখানে ভারতের অনেক লেখকরাও গান লিখেছেন এবং দুদেশের শিল্পীরা একটি স্বতন্ত্র বাংলাদেশ তৈরির উদ্দেশে কাজ করেছেন, গান গেয়েছেন। আমরা চাই মানুষে মানুষে সম্পর্ক আরও সুন্দর করার জন্য, যা সংস্কৃতির মাধ্যমেই সম্ভব। আর সেদিক থেকে এ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র আমাদের জন্য একটি উদাহরণ।

শিল্পীদের পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের স্মৃতিচারণ করেন শিল্পী তিমির নন্দী।

এ ছাড়া ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানটি সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন শিল্পীরা। সন্ধ্যার এ আয়োজনে কবিতা এবং গান পরিবেশন করে একাত্তরের সে সময়ের আবহকে সবার সামনে মূর্ত করে তোলেন মালা খুররাম, কল্যাণী ষোষ, তিমির নন্দী, রূপা ফরহাদ, রফিকুল আলম ও আশরাফুল আলম। এরা সবাই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী। এ শিল্পীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান আইজিসিসির পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী।

আয়োজন গ্রন্থনা ও সঞ্চালনা করেন বাচিক শিল্পী শাহদাত হোসেন নিপু।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২৩
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।