কোনো এক সন্ধ্যাবসানে, কোমল সমীরণে
নিসর্গ ছিল মেতে বাসন্তী সৌরভে
অদূরে এক মনোহারী, কাড়ে এ নজরখানি
অবসাদে আচ্ছন্ন তনু মন, যাচে বিরাম অনুক্ষণ
বলল কে যেন কানে কানে, যাসনে সেখানে
এ মন আমার যায় ভেবে
কী আছে জীবনে একবার যাই দেখে
আধো আলো আধো ছায়ায়, এ নিশি জলসায়
ওরা সমস্বরে বলছিল, এসো, এসো এথায়
**স্বাগতম এই নিশি রংমহলে
বাসনাভিলাসে, তৃষা বিভোরে
এ জলসাঘরে
স্বাগতম এই রঙিন স্বপ্নঘরে
বাসনাভিলাসে, তৃষা বিভোরে
এ জলসাঘরে**
অঙ্গে তার মসলিনের বাহার, ডায়মন্ড বেশর, মণিহার
দিওয়ানা কত শত নাগর, রূপের মায়ায়
কত নাগর নাচে গায়, মধুর রংলীলায়।
কেউ নাচে হরষে, কেউ দুঃখ ভুলিতে।
তৃষা উঠিল জাগি, পিলি একটু খানি।
(কেউ বলছে)
তবে কি গেছ ভুলি, সেই চেতনার দিনগুলি।
এখনো ওরা ডাকছে বহুদূর থেকে
এদিকে এরা নিশির জগতে, ডাকে প্রলোভনে
**স্বাগতম এ নিশি রংমহলে
বাসনভিলাসে, তৃষা বিভোরে
এ জলসাঘরে
স্বাগতম এই রঙিন স্বপ্নঘরে
বাসনভিলাসে, তৃষা বিভোরে
এ জলসাঘরে**
ঝাড়বাতিটার জৌলুস, সুরা পানের বিলাস
নিজের ফাঁদে নিজেই দিই ফাঁস, নিজের সর্বনাশ।
বিরাট সেই আয়োজন, হবে নৈশভোজন।
গোগ্রাসে পশুর মাংস ভক্ষণ,
ভেতরের পশুর হয় না দমন।
যদ্দূর পড়ে মনে, ছুটছিলাম, দরজাটার পানে
ফিরে যেতে সে পথে, এসেছিলাম যে পথে।
‘ধীরে’!, বলল ওদের কেউ।
‘এ পথে কেবল আসাই যায়’
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত রক ব্যান্ড ঈগলসের হোটেল ক্যালিফোর্নিয়া গানের কাব্যিক অনুবাদ
অনুবাদ করেছেন- মো. মুজাম্মেল হক টিপু
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৪
আরএইচ