ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সাংবাদিক আহমেদ নূরের

‘ওয়ান-ইলেভেন কারারুদ্ধ দিনগুলো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫
‘ওয়ান-ইলেভেন কারারুদ্ধ দিনগুলো’

ঢাকা: পাঁচ মাসের কারাভোগ। নির্যাতনজনিত অসুস্থতা, নানান অসুবিধা, এক ডাক্তারের বৈরী আচরণ।

আদালতে যাওয়া এবং আসা, এর মধ্যে মাথা ঠান্ডা রাখাটা দায়। হতাশার হাতে নিজেকে ছেড়ে দেয়ার কথা। কিন্তু আহমেদ নূরের মনোবল তাঁকে পথে রাখল। সাংবাদিক আহমেদ নূরের ‘ওয়ান-ইলেভেন কারারুদ্ধ দিনগুলো’ বইটির ভূমিকায় এসব লিখেছেন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

সময়টা ২০০৭ সালের এপ্রিল। তখন দৈনিক সিলেট প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক, আবার সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকও আহমেদ নূর।

পত্রিকা অফিস থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় র‌্যাব। চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। তারপর ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে পাঠায় কারাগারে। ৩৬০ পৃষ্ঠায় দীর্ঘ একশো পঞ্চাশ দিনের কারাবাসের না বলা অনেক কথা লিখেছেন আহমেদ নূর।

ভূমিকায় লেখক লিখেছেন, ‘সেই সময়ের ঘটনাগুলো বিক্ষিপ্তভাবে অনেকে জানলেও আদ্যোপান্ত কাউকেই বলা হয়নিÑবলা সম্ভবও ছিল না। সেই ‘না-বলা’ বা ‘বলতে না-পারা’  কথাগুলো এই বইয়ে বলার চেষ্টা করেছি। ’

কারাভোগে সব দেখেছেন আহমেদ নূর। চোখের সামনে যা ঘটেছে তারই অকপট বর্ণনা দিয়েছেন। তাই লিখেছেন, কারাগারের যত অনিয়ম, দুর্নীতি এবং সুবেদার সিন্ডিকেট থেকে নিয়ে এর প্রহরা ব্যবস্থার বর্ণনা, এর ভেতরে প্রচলিত নানা শব্দ-পদ, দীর্ঘদিনের জেলবাসিন্দা ফজলু মিয়া অথবা ডাকাতসর্দার মজিদের কাহিনী এবং কোর্ট-হাজতের হাল-হকিকত।

কারাগারের ভেতরেই আহমেদন নূর বই পড়েছেন, হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করেছেন এবং লিখেছেন এক আশ্চর্য জোছনা রাতের কথাও।

সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মুখবদ্ধে যেমনটি বলেছেন, ‘আহমেদ নূরের বর্ণনা পাঠককে টেনে ধরে। তাঁর বর্ণনায় শক্তি আছে, প্রগলভতা নেই; ঘটনার সত্যতা আছে, অতিরঞ্জন নেই। তাঁর ভাষাটি ঝকঝকে। বইটি হাতে নিলে পড়া শেষ না করে রাখা যাবে না।

একটা কঠিন সময়ের কড়চা লিখেছেন আহমেদ নূর। বইটা পড়লে বোঝা যাবে জাতি হিসেবে আমাদের দুর্বলতাগুলো কোথায়, শক্তিটা কোন জায়গায়।

বইটি প্রকাশ করেছে কমলাফুলি প্রকাশন। পরিবেশন করছে  উৎস প্রকাশন, প্রচ্ছদ করেছেন অশোক কর্মকার, ব্ইটির মূল্য ৫৫০ টাকা। বইমেলায় উৎস প্রকাশনের স্টলে (১১৬-১১৮) পাওয়া যাচ্ছে বইটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।