ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ইতিহাস খুঁড়ে আনা নিউইয়র্কের ফিফথ অ্যাভেনিউ | শুভ কামাল

ভ্রমণ / শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৫
ইতিহাস খুঁড়ে আনা নিউইয়র্কের ফিফথ অ্যাভেনিউ | শুভ কামাল

আমি কোনো শিল্পবোদ্ধা নই। বড়জোর নিজেকে শিল্পসচেতন বলে দাবি করতে পারি।

এককালে চিত্র সম্পর্কিত কিছু বই পড়া, আর্ট রিভিউ পড়া, ইউটিউবে অসংখ্য শিল্পসংক্রান্ত ভিডিও দেখা এবং কিছুকাল ঢাকার চারুকলার বারান্দায় হাঁটাহাঁটির সুবাদে ইতিহাসের মহত্তম কিছু চিত্রকর এবং তাঁদের চিত্রকর্মের ব্যাপারে মনের মাঝে দুর্বার আগ্রহ জমা ছিল।

প্রায় একবছর ধরে নিউইয়র্ক শহরের পাশে থাকি। পৃথিবীর প্রথম সারির কিছু মিউজিয়াম বাড়ির পাশে থাকা সত্ত্বেও যাওয়া হয়নি উপযুক্ত সঙ্গীর অভাবে। অবশেষে সেদিন যাওয়া হলো চক্ষুকর্ণের বিবাদ ভঞ্জনে, নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন মিউজিয়ামে।

মৌটুসী আমার ফেসবুক বন্ধু। তাকে একদিন দেখলাম মিউজিয়ামের কোনো একটা ইভেন্টে গোয়িং দিতে। দেখে নক করলাম আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাবে কিনা। সে বেচারারও মিউজিয়াম পার্টনারের অভাবে যাওয়া হচ্ছিল না।

আমরা একসঙ্গে প্ল্যান করে ফেললাম কোনো এক রোববার যাব বলে।

পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৪ জুন ৮৬ নম্বর স্ট্রিটে পাতাল ট্রেন থেকে নেমে মাটির উপরে উঠে মোড় ঘুরতেই মৌটুসীকে পেয়ে গেলাম। এরপর আমরা এগুলাম ফিফথ অ্যাভেনিউয়ের দিকে। এটি নিউইয়র্কের একটি বিখ্যাত অ্যাভেনিউ। একই অ্যাভেনিউতে তিন তিনটি মিউজিয়াম—নিউইয়র্ক মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম, গুগ্যানহ্যাম মিউজিয়াম এবং মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট। এ জন্য এ সড়কের নাম—‘মিউজিয়াম মাইল’।



দেখলে মনে হয়, একেবারে কাঁচা হাতের কাজ। ফিগারগুলো ডিসপ্রপোর্সন! সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, ছবিটার রঙও যেন কেমন কেমন! দেখলে মনে হয়, আঁকার পরে কেউ আবার কলম দিয়ে ওপরে আঁকিয়েছে। ছবিটার ইতিহাস জানি না। হয়ত কারো হাতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে এমনও হতে পারে! ছবিটা দেখে আমি শুরুতে খুব হতাশ হলাম। তবে কি যত বিখ্যাত ছবির কথা এতদিন জেনে এসেছি, সব এমনই হবে!



এ সড়কের একপাশে সেন্ট্রাল পার্ক। আমরা টিকিট কেটে ভেতরে ঢুকলাম। টিকিটের প্রস্তাবিত মূল্য প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২৫ ডলার এবং ছাত্রছাত্রীদের জন্য ১২ ডলার। কিন্তু চাইলে আপনি এর চেয়েও কম বা বেশিও দিতে পারেন।

একদিনে মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম ঘুরে দেখার চেষ্টা করাটা বোকামি। এতে কোনোকিছুই ভালো করে দেখা যায় না। আমরা আগে থেকেই ভেবে রেখেছিলাম মডার্ন অ্যান্ড কন্টেম্পোরারি আর্ট এবং মিশরীয় কালেকশনগুলো ভালো করে দেখব।

প্রথমে আর্ট গ্যালারি দেখার উদ্দেশ্যে আমরা দুইতলার মডার্ন আর্ট সেকশনে ঢুকলাম। পর পর দুটি কক্ষ আনমনে পেরিয়ে গেলাম। তৃতীয় কক্ষে যাওয়া মাত্রই আমার কেমন যেন মনে হলো! আমি মৌ-কে বললাম, দাঁড়াও! একটা ছবি পরিচিত মনে হচ্ছে! হ্যাঁ, ঠিকই! ছবিটা ছিল হেনরি মাতিসের ‘ড্যান্স ১’।

মাতিসের পাঁচটা ফিগারওয়ালা জগদ্বিখ্যাত একটা ছবি আছে—‘ড্যান্স ২’। সেটা আছে, নিউইয়র্কেরই অন্য মিউজিয়ামে। সেই ছবির অনেক বড় বড় রিভিউ পড়েছি। কিন্তু এই মিউজিয়ামে সেই একই ধরনের দুই ফিগারওয়ালা ‘ড্যান্স ১’ ছবিটা দেখে আমি যারপরনাই হতাশ হলাম!

দেখলে মনে হয়, একেবারে কাঁচা হাতের কাজ। ফিগারগুলো ডিসপ্রপোর্সন! সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে, ছবিটার রঙও যেন কেমন কেমন! দেখলে মনে হয়, আঁকার পরে কেউ আবার কলম দিয়ে ওপরে আঁকিয়েছে। ছবিটার ইতিহাস জানি না। হয়ত কারো হাতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে এমনও হতে পারে! ছবিটা দেখে আমি শুরুতে খুব হতাশ হলাম। তবে কি যত বিখ্যাত ছবির কথা এতদিন জেনে এসেছি, সব এমনই হবে!

এবারেই প্রথম আমার বড় কোনো মিউজিয়ামে আসা। জীবনে মিউজিয়ামে প্রথম পরিচিত ছবি দেখে আমি প্রচণ্ড রকমের হতাশ হলাম! অবশ্য বেশিক্ষণ হতাশ থাকতে হয়নি। ডানপাশে ফিরতেই পেলাম পিকাসো। বিশাল ক্যানভাসে কিউবিজমের আগের পর্যায়ের কোনো একটা ছবি। অয়েল পেইন্টিং হওয়া সত্ত্বেও কী অসম্ভব মিহি ফিনিশিং! দেখেই চোখ জুড়িয়ে গেল। ছবির ফিনিশিং দেখলে মনে হতে পারে, যেন গ্রাফিকস ডিজাইন করে মেশিনে প্রিন্ট করা হয়েছে! এর পর একমনে, গগ্যাঁ, সেজান, পিসারো, ভ্যান গঁগ, দেগা, মিলেত, স্যুরাত, রেনোয়া, ইমপ্রেশন আর পোস্ট-ইমপ্রেশন পিরিয়ডের শিল্পীদের ছবি সামনে এসে মাথা খারাপ করে দিতে লাগল!
 
একটা অ্যালব্যামে একজন সঙ্গীত শিল্পীর সব গান ভালো হয় না। একজন চিত্রশিল্পীরও সব ছবিই যে যুগান্তকারী হবে, তেমন কোনো কথা নেই।

শিল্পীদের ভালো ছবি আছে। খারাপ ছবিও আছে। আবার গড়পড়তা ছবি আছে। তারপরও চিত্রশিল্পীদের সিগনেচারই অনেক সময় ছবিটার এন্টিক ভ্যালু অনেক গুণ বাড়িয়ে দেয়। আমার প্রথম দেখা বিখ্যাত ছবি মাতিসের ‘ড্যান্স ১’ হয়ত তেমন স্কিপ করে যাওয়ার মতো কোনো ছবি ছিল। কিংবা হতে পারে, তার আঁকা প্রথম যুগের কোনো ছবি!

পুরো মিউজিয়ামে ভ্যান গঁঘের মুগ্ধ করার ক্ষমতা সম্ভবত সবচেয়ে বেশি। সারিবাঁধা তার কাজগুলোর সামনে যখন দাঁড়িয়েছিলাম, তখন গা আক্ষরিক অর্থেই শির শির করছিল!



ভ্যান গঁঘের মুন্সিয়ানা মূলত তার বোল্ড স্ট্রোকে! তাঁর ছবির সাবজেক্ট খুবই সাধারণ। গমের ক্ষেত, জুতা, ফুল, সাধারণ কোনো ল্যান্ডস্কেপ। তবে তিনি বড় বড় স্ট্রোকে ক্যানভাসে যে খেলা দেখিয়েছেন, সেটা ক্যামেরায় তোলা ছবি দেখে আন্দাজও করা যায় না। কোনো কোনো জায়গায় তার ছবি হয়ত ক্যানভাসের ওপর সেন্টিমিটার খানেক পুরু। তার ছবিতে গতি আছে। গম ক্ষেতের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাস ক্যানভাসের সামনে দাঁড়িয়ে টের পাওয়া যায়, তার ঝকঝকে আকাশের তেজি মেঘও দেখার মতো! শার্ল বোদলেয়ারের কবিতার মেঘ যদি হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো হয়, তবে ভ্যান গঁঘের মেঘদুধ মালাই আইসক্রিমের মতো।



জীবনে ইতিহাস বইয়ে কিংবা উইলবার স্মিথের বইয়ে যতই মিশরীয় সভ্যতার সমৃদ্ধির গল্প পড়েছি, ততই সেগুলোকে গালগল্প আর চাপাবাজি মনে হয়েছিল। সেদিন নিজ চোখে দেখে ভুল ভাঙল! এখানে আমি যতই বলি, মনে হয় লাভ হবে না! আপনাদের কাছেও নিজচোখে দেখার আগপর্যন্তও আমার কথা বিশ্বাস হবে না।



যতই লিখি, তবু কোনোভাবেই আসলে সেসব ছবির বর্ণনা দেওয়া সম্ভব না। ছবিতেও আনা সম্ভব নয়। শুধু সামনে দাঁড়িয়ে নিঃশ্বাস বন্ধ করে উপভোগ করে যেতে হয়!

ক্লদ মোনে-কে সে যুগের সেরা শিল্পী বলব না। তবে তাঁকে তো ইমপ্রেশন যুগের সবচেয়ে আলোচিত শিল্পী নির্দ্বিধায় বলা যায়।

ট্র্যাডিশনাল স্যালনের সঙ্গে ঝগড়া করে শিল্পীরা যখন নতুন ধারার আলাদা এক্সিবিশন করলেন, তখন ট্র্যাডিশনাল সমালোচকরা সেই এক্সিবিশন নিয়ে টিটকারি মারতে শুরু করলেন।

ক্লদ মোনের একটি ছবি ছিল ‘ইমপ্রেশন-সানরাইজ’, সেই ছবিটা বিভিন্ন জায়গায় ইন্টারনেটে অনেক দেখেছি। খুব একটা ভালো কিছু না। বরং ছবিটা অসম্পূর্ণই ছিল সেটাই সবাই বলেন। ওই ছবির সূত্র ধরে সমালোচকেরা নতুন এক্সিবিশনের শিল্পীদের ডাকতে শুরু করল—‘ইম্প্রেশনিস্ট অর্থাৎ ইম্প্রেশনওয়ালা’!

স্যালনের ব্যাপারটা ছিল—ধরুন, আমাদের দেশের চারুকলা ইনস্টিটিউটের মতো। আর বিদ্রোহী শিল্পীদের এক্সিবিশনটা ছিল—ধরুন, আমাদের ‘ছবির হাট’-এর মতো। মূলস্রোত থেকে সরে এসে বিদ্রোহী শিল্পীরা আলাদা প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলেছিলেন। এভাবেই শিল্পে ইমপ্রেশনিজম নামে শিল্পের নতুন ধারার সূচনা হয়েছিল। আর সেই নামের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিল ক্লদ মোনের নাম। ক্লদ মোনের সম্ভবত ওয়াটার লিলির সঙ্গে প্রেম ছিল। তার একটা বিখ্যাত ছবির সিরিয়াল আছে ওয়াটার লিলি নিয়ে। কেবল পদ্মফুলের ওপর তার আঁকা প্রায় ২৫০টা ছবি আছে।

মেট মিউজিয়ামে ক্লদ মোনের ওয়াটার লিলি সিরিজের বেশ কয়েকটা ছবি আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে, ‘ব্রিজ ওভার ওয়াটার লিলি পন্ড’, ছোট ক্যানভাসে অসম্ভব ডিটেইল ছবি! বর্ণিল লিলির নানা মিষ্টি শেড ক্যানভাস জুড়ে! ছবিটা দেখলেই মিষ্টি একটা আবহ প্রাণটা জুড়িয়ে দেয়। এমন একটা ছবিই যে কোনো শিল্পীর গায়ে মহান তকমা জুড়ে দেওয়ার জন্যই যথেষ্ট।



আরো যে একজনের আঁকা ছবি আলোড়িত করে গেছে, তিনি হচ্ছেন—এডগার দেগা। ইনিও ‘ইম্প্রেশনিস্ট’ আন্দোলনের অগ্রপথিক। মোনে, মাতিসদের সমসাময়িক। তার কথা প্রথম পড়েছিলাম সুনীলের ‘ছবির দেশে কবিতার দেশে’ বইটাতে। সে বইয়ে নীলকালিতে ছাপা দেগার ড্যান্স ক্লাসের ছবিও ছিল।

বিশ্বাস করুন, সেই ছাপা হওয়া ছবি দেখে মূল ছবি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা পাওয়া যাবে না। মাস্টারপিসগুলো অসম্ভব ভাইব্র্যান্ট! চরিত্রগুলো একদম জীবন্ত! নাচের রিহার্সেলে নিমগ্ন মিষ্টি তরুণীর দল। সে ছবি দেখার সময় নিজেকে গ্রিনরূমে অনুপ্রবেশকারী মনে হয়। মনে হয়, যেন হঠাৎ চোখ তুলে কোনো তরুণী জিজ্ঞেস করবে—‘এখানে কী চাই? হ্যাঁ...!’



ইম্প্রেশন যুগের আগপর্যন্ত প্রায় সব ছবিই ছিল রিয়েলিস্টিক ফিগারের। বিভিন্ন পৌরাণিক চরিত্র কিংবা বাস্তব চরিত্র হুবহু একেবারে বাস্তবের মতো আঁকা হতো।

মেট মিউজিয়ামে অনেক রিয়েলিস্টিক ছবিও ছিল। আমরা সামনে দিয়ে হেঁটেছি। কিন্তু একবারও থেমে দাঁড়ানোর কোনো তাড়না অনুভব করিনি।

একটা নিরপেক্ষ কথা বলি—রিয়েলিস্টিক পেইন্টিং আসলেই মানুষকে টানে না। রিয়েলিস্টিক ছবি আসলে সিনেমার পোস্টারের মতো। কিছু তথ্য হয়ত আছে। কিন্তু কোনো রহস্য নেই। এজন্যই চলতে চলতে মানুষ হঠাৎ থমকে দাঁড়ায় না। চমকে ওঠে না। তাই, রিয়েলিস্টিক ছবির আবেদনও কম। সে জন্যই মডার্ন আর্টের গ্যালারির সামনে ভিড় বেশি। সে জন্যই রিয়েলিস্টিক আর্টের সামনে দিয়ে মানুষ কেবল হেঁটে চলে যায়!

আর্ট সেকশন ছাড়াও অন্য একটি ডিপার্টমেন্টের জন্য মেট মিউজিয়াম জগদ্বিখ্যাত। তা হচ্ছে এর ইজিপ্সিয়ান কালেকশন। প্রায় ২৬০০০ নানা ধরনের প্রাগৈতিহাসিক, আর্টিস্টিক কিংবা সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইজিপ্সিয়ান অবজেক্ট আছে মেট মিউজিয়ামে; যা পৃথিবীর অন্যতম বড় ইজিপ্সিয়ান কালেকশন।



প্রায় ৩৫ বছর ধরে মেট্রোপলিটন মিউজিয়ামের অর্থায়নে মিশরে খননকার্য চলেছে। স্বভাবতই যা পাওয়া গেছে, তার সবই এসে পড়েছে এই মিউজিয়ামে। উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, পুরো ‘টেম্পল অব ডেনড্যুর’, পুরো মন্দিরের ধ্বংসাবশেষই তুলে আনা হয়েছে।

টুম্ব অব পারনেব, বেলে পাথরের পুরো সমাধিস্থলটি হুবহু তুলে এনে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে মেট মিউজিয়ামের পরিসরে। এছাড়াও অসংখ্য প্রাচীন মূর্তি, স্ফিংক্স, কফিন এবং তৈজসপত্রসহ অসংখ্য সমৃদ্ধ মিশরীয় সভ্যতার নিদর্শন আছে এই বিভাগে।

জীবনে ইতিহাস বইয়ে কিংবা উইলবার স্মিথের বইয়ে যতই মিশরীয় সভ্যতার সমৃদ্ধির গল্প পড়েছি, ততই সেগুলোকে গালগল্প আর চাপাবাজি মনে হয়েছিল। সেদিন নিজ চোখে দেখে ভুল ভাঙল! এখানে আমি যতই বলি, মনে হয় লাভ হবে না! আপনাদের কাছেও নিজচোখে দেখার আগপর্যন্তও আমার কথা বিশ্বাস হবে না।

সেদিন আমরা দুইজনও (মৌসহ) একইভাবে উপলব্ধি করলাম মিশরীয় সভ্যতার সমৃদ্ধি কত! সত্যিই অবিশ্বাস্য সে ইতিহাস এবং সে সময়কার মানুষের শিল্পগুণ!



বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৪ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।