ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

মুদ্রিত বই এখন আর শ্রেষ্ঠ মাধ্যম না: আন্দালিব রাশদী

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫
মুদ্রিত বই এখন আর শ্রেষ্ঠ মাধ্যম না: আন্দালিব রাশদী

দৈনিক পত্রিকায় বহুলমুদ্রিত—এ সময়ের পাঠকপ্রিয় লেখক-ঔপন্যাসিক আন্দালিব রাশদী সম্প্রতি অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজের জন্যও নিয়মিত লিখছেন। বাংলানিউজের সবশেষ দুটি বিশেষ আয়োজনে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর দুটি উপন্যাস।

এছাড়াও অনুবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বাংলানিউজের সাহিত্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর বেশ ক’টি লেখা।

গত ২০ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলানিউজ কার্যালয়ে আসেন আন্দালিব রাশদী। এ লেখকের আগমনে বাংলানিউজের কনসালট্যান্ট এডিটর জুয়েল মাজহার, হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন, ফিচার এডিটর ফারুক আহমেদ ও সাহিত্য সম্পাদক তানিম কবিরসহ বাংলানিউজের কনফারেন্স রুমে সাম্প্রতিক লেখালেখি ও অনলাইন মিডিয়া নিয়ে সংক্ষিপ্ততম এক আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।

আড্ডায় লেখালেখি, লেখক-পাঠক যোগাযোগ স্থাপন ও সর্বোপরি বৃহত্তর পাঠক সমাজের কাছে পৌঁছানোর জন্য অনলাইন মিডিয়াকেই বর্তমানের সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম বলে মনে করেন আন্দালিব রাশদী। তিনি বলেন, “আমি প্রিন্টেড মিডিয়ার বিরোধী না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আমি চাই বা না-চাই লেখাপড়ার মূল জায়গাটা অনলাইনে ট্রান্সফার হয়ে যাচ্ছে। গেছেও অনেকটা। ”

তিনি বলেন, “দুয়েকজন ব্যতিক্রম ছাড়া আমাদের দেশে একজন লেখকের সর্বোচ্চ ৫০০ কপি বই ছাপা হয়—এর বেশি না। কিন্তু আমরা যদি অনলাইন পোর্টালগুলোর হিট দেখি, আর ধরে নিই এর একশ’ ভাগের একভাগও সাহিত্যের হিট—তাহলেও সংখ্যাটা মুদ্রিত বইয়ের চেয়ে অনেক বেশি। ”

এসময় অনলাইনে লেখা প্রকাশিত হলে পাঠকদেরও ভালো ‘রেসপন্স’ পাওয়া যায় বলে জানান তিনি। উদাহরণ হিসেবে টানেন সম্প্রতি বাংলানিউজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আয়োজনে প্রকাশিত নিজের উপন্যাসের কথা। বলেন, “উপন্যাসের খানিকটা প্রকাশিত হওয়ার পর ফোনের পর ফোন, সবাই জানতে চাইছে পুরোটা কবে পাওয়া যাবে। ”

জানালেন, নিজেও তিনি এখনো ‘অতটা অনলাইনবান্ধব’ হয়ে ওঠেননি। “কিন্তু নতুন জেনারেশন এটাকে নিয়েছে। এমনকি অনেকে অনলাইন দিয়েই নিজেদের পড়াশোনাটা শুরু করছে। অতএব, কোনোভাবেই বেশি মানুষকে পড়ানোর জন্য মুদ্রিত বই এখন আর শ্রেষ্ঠ মাধ্যম না। ”

অনলাইন বুকস্টোর অ্যামাজনের প্রসঙ্গ টেনে আন্দালিব রাশদী বলেন, “১৯৯৪ সালে অ্যামাজন মার্কেটে আসে এবং প্রথম একবছর তারা একটি বইও বিক্রি করতে সক্ষম হয় না। ’৯৫ সালের জুলাই মাসে তারা প্রথম কোনো বই বিক্রি করে। আর সেটা সাহিত্যেরও কোনো বই না, কম্পিউটার রিলেটেড একটা বই। ”

তিনি বলেন, “অ্যামাজন যে একটা বড় ব্যাপার এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে জানাজানি হয় ১৯৯৯ সালে। অ্যামাজনের প্রধান জেভ বিকস (Jeff Bezos)—ওই বছরই টাইম পত্রিকার ম্যান অব দ্য ইয়ার হলেন। কিন্তু তখনও পর্যন্ত অ্যামাজন আর্থিকভাবে লাভজনক কোনো প্রতিষ্ঠান না। প্রতিষ্ঠার ৭ বছরের মাথায় ২০০১ সালে তারা প্রথমবার লাভ করে। আর এখনকার অবস্থাটা কী? এ বছরের আগস্ট পর্যন্ত অ্যামাজনের কর্মীসংখ্যা ১ লক্ষ ৫৪ হাজার ১শ ২২ জন!”

“সুতরাং এটাতে আমাদের যেতে হবে। আজকে যাই, আর পরে যাই। এই জেনারেশন এইভাবে পড়ছে। পড়তে অভ্যস্ত হচ্ছে। ”—যোগ করেন আন্দালিব রাশদী।



বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।