ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আগরতলা বইমেলায় নেই বাংলাদেশি স্টল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০১৬
আগরতলা বইমেলায় নেই বাংলাদেশি স্টল ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

আগরতলা থেকে ফিরে: এবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় আয়োজিত বইমেলা (পুস্তক মেলা) বাংলাদেশি বইয়ের কোনো স্টল ছাড়াই শেষ হচ্ছে। ফলে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের বই আগরতলার পাঠকদের হাতে পৌঁছেনি।



আগরতলা বইমেলায় বাংলাদেশি কোনো স্টল না থাকার কারণ হিসেবে জানা যায়, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভারতীয় ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে হাতে লেখা পাসপোর্ট বাতিল হয়েছে। ফলে এবার বাংলাদেশি প্রকাশনা সংস্থাগুলোর আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও আগরতলা বইমেলায় যাওয়ার সুযোগ হারিয়েছে।

সূত্র জানায়, ত্রিপুরা পাবলিশার্স গিল্ডের আয়োজনে গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে আগরতলা শহরের উমাকান্ত একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা শুরু হয়। এতে মোট ৪৪টি স্টল বসেছে। মেলা শেষ হচ্ছে ৭ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার)।

বাংলাদেশি স্টল না থাকা প্রসঙ্গে আগরতলা পুস্তক মেলার সাধারণ সম্পাদক সুবব্রত দেব বাংলানিউজকে জানান, পাসপোর্ট জটিলতার কারণে এবার তাদের মেলায় বাংলাদেশি স্টলের লোকজন আসতে পারেননি। অথচ বাংলাভাষী ত্রিপুরায় বাংলাদেশি বইয়ের চাহিদা দিন-দিন বাড়ছে।

তিনি জানান, অন্যান্য বছর বাংলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, শিল্পকলা একাডেমি ও শিশু একাডেমিসহ আরো কয়েকটি স্টল বসতো। এবার বাংলাদেশি স্টল না থাকায় মেলায় আসা পাঠকরা নিরাশ হয়েছেন।
 
ত্রিপুরার পাঠকদের কাছে বাংলাদেশের প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, সেলিনা হোসেন ও নির্মলেন্দু গুণের বইয়ের চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিষয়ক বই এবং রান্না, ভ্রমণ এবং ঐতিহ্য-কৃষ্টি সম্পর্কিত বইয়ের চাহিদাও ত্রিপুরায় আছে বলে জানালেন সুবব্রত দেব।

বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বাংলা অভিধানের বিশেষ চাহিদার কথাও জানান তিনি।

মেলায় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি স্টলেই বইপ্রেমীদের ভিড়। তাদের অনেককেই বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বাংলা অভিধানের খোঁজ করতে দেখা গেছে।

এদেরই একজন আগতলার শিমনা এলাকার মতাই এস বি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ভাষণ শীল (৬৩)। তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত বাংলা অভিধানটি কিনতে এসেছিলাম। কিন্তু পাইনি। এই বইটি আমার সংগ্রহে ছিল। সম্প্রতি আমার এক আত্মীয় বইটি নিয়ে গেছে বলে এটি আবার কিনতে চাইছি।

মেলার তিন নম্বর স্টল নীহারিকার প্রধান নির্বাহী তাপস শর্মা জানান, তাদের সংগ্রহে ‘রক্তে রাঙানো একুশ’ নামে একটি লিটল ম্যাগ ছিল। এটিতে একুশের কবিতা, ছবি ও তথ্য রয়েছে। বইটি এক হাজার কপি ছাপা হয়েছিল। সব কপিই ইতোমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।