ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

স্বপ্নে দেখেছে সে কারাগারে বন্দি | মারিও বেনেদেত্তি | অনুবাদ : ফজল হাসান

অনুবাদ গল্প ~ শিল্প-সাহিত্য | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৬
স্বপ্নে দেখেছে সে কারাগারে বন্দি | মারিও বেনেদেত্তি | অনুবাদ : ফজল হাসান

য়েদি স্বপ্নে দেখেছে সে কারাগারে বন্দি। স্বাভাবিক কারণে সেই স্বপ্ন ছিল বিশদ এবং নিয়ম মাফিক।

যেমন স্বপ্নের দেয়াল জুড়ে ছিল প্যারিস থেকে কিনে আনা পোস্টার; অথচ বাস্তবের দেয়ালের গায়ে শুধু ময়লা পানির কালো দাগ। স্বপ্নের মেঝেতে একটা টিকটিকি দৌঁড়ে চলে গেল; অথচ বাস্তবের মেঝেতে একটা ধাড়ি ইঁদুর পিটপিট করে তার দিকে তাকিয়ে আছে।

কয়েদি স্বপ্নে দেখেছে সে কারাগারে বন্দি। কেউ এসে আলতো হাতে তার পিঠ টিপে দিচ্ছে এবং সে আরাম বোধ করতে শুরু করেছে। সে দেখতে পায়নি কে তার পিঠ টিপে দিচ্ছিল। তবে সে নিশ্চিত যে, সে-টা তার মা ছিল। তার মা এ কাজে বেশ পটু। প্রশস্ত জানালা গলিয়ে সকালের নরম রোদ এসে ঠিকরে পড়েছে মেঝের ওপর এবং সেই রোদকে সে এমনভাবে আন্তরিকতার সঙ্গে স্বাগত জানিয়েছে যা একধরনের পূর্ণ স্বাধীনতার বহির্প্রকাশ। যখন সে চোখ খোলে, তখন দেখে কোথাও রোদের কোনো হদিশ নেই। একঝলক বাতাস অন্য ছোট্ট জানালার (দৈর্ঘ্যে চব্বিশ এবং প্রস্থে ষোল ইঞ্চি) ফাঁক গলিয়ে হুড়মুড় করে ঢুকে অন্যদিকের দেয়ালে আছড়ে পড়ে।



স্বপ্নে টিকটিকি দেখার ইচ্ছে নিয়ে সে পুনরায় গভীর নিদ্রার অতলে তলিয়ে যায়। সে আবিষ্কার করে যে, টিকটিকি লেজ হারিয়েছে। এ ধরনের উদ্ভট স্বপ্ন দেখার কোনো অর্থ নেই। কত বছর ধরে কারাগারে বন্দি আছে, তার হিসাব জানার জন্য সে আঙুলের কর গোনে—এক, দুই, তিন, চার এবং তারপর সে জেগে যায়। পুরো ছয় বছর তাকে কারাগারে বন্দি থাকতে হবে এবং মাত্র তিন বছর হয়েছে



কয়েদি স্বপ্নে দেখেছে সে কারাগারে বন্দি এবং তার ভীষণ তেষ্টা পেয়েছে। সে পর্যাপ্ত পরিমাণে বরফ-পানি পান করছে এবং সেই হিমশীতল পানি যেন বাষ্প হয়ে অশ্রুর ফোঁটার মতো তার চোখ থেকে ঝরে পড়ছে। কান্নার হেতু তার অজানা নয়, কিন্তু সে নিজের কাছে স্বীকারোক্তি করতে চায় না। সে তার অলস হাতের দিকে তাকায়। একসময় সে সেই হাত দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মূর্তি তৈরি করেছে, খড়িমাটি দিয়ে মুখ এঁকেছে এবং মার্বেল পাথর দিয়ে নারীর অবয়ব বানিয়েছে। যখন তার ঘুম ভাঙে, তখন সে বুঝতে পারে তার চোখ শুকিয়ে গেছে, হাত ময়লা, মরচে পড়া দরোজার কবজা, বুকের ভেতর প্রচণ্ড গতিতে ধুকপুকানি, ফুসফুসে কোনো হাওয়া নেই এবং ঘরের সিলিং ফুটো।

কয়েদি সিদ্ধান্ত নেয় যে, স্বপ্নে বরং কারাগারে বন্দি দেখাই তার জন্য উত্তম। তাই সে চোখ বন্ধ করে এবং বন্ধ চোখে সে দেখে যে, তার হাতে মিলাগ্রোর (এক ধরনের তামার ছোট মূর্তি, অনেকে বিশ্বাস করে এ মূর্তির অলৌকিক ক্ষমতা আছে) ছবি । কিন্তু শুধু ছবি দেখে সে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। সে আসল মিলাগ্রো চায় এবং একজন মহিলা মিলাগ্রো মুখমণ্ডলে বিশাল হাসির ঢেউ তুলে হাজির হয়। মিলাগ্রো মহিলার পরনে আকাশ-নীল রঙের রাতের আলখেল্লা পোশাক। মহিলা এমন ভঙ্গিতে তার দিকে এগিয়ে আসে, যেন সে হাতের মিলাগ্রোর ছবিটা ফেলে দেয় এবং সে তাই করে। স্বাভাবিকভাবে নিরাভরণ মিলাগ্রো মহিলা দেখতে অপ্সরী এবং পলকহীন তাকিয়ে সে প্রাণ ভরে তার সৌন্দর্য উপভোগ করে। সে ঘুম থেকে জাগতে চায়নি, কিন্তু জেগে গেছে। জেগে ওঠার ঠিক কয়েক সেকেন্ড আগে প্রবল উত্তেজনায় এবং পুলক শিহরণে তার স্খলন হয়। ঘুম থেকে জেগে দেখে সেখান কেউ নেই, কোনো ছবি নেই, কোনো মিলাগ্রো নেই, এমনকি আকাশ-নীল রঙের রাতের আলখেল্লাও নেই। সেই মুহূর্তের সে অসহনীয় নিঃসঙ্গতা মেনে নিয়েছে।

কয়েদি স্বপ্নে দেখেছে সে কারাগারে বন্দি। ইতোমধ্যে মা তার পিঠ টেপা বন্ধ করেছে। অথচ তার মা আগেই ইহলোক ত্যাগ করে অচিন দেশে চলে গেছে। তার চাহনি, গানের কণ্ঠস্বর, নিশ্চিত কোল, এমনকি ক্ষমা করার অলৌকিক ক্ষমতা তাকে রীতিমত মনপোড়ানি করে তুলেছে। নিজের সঙ্গে সে কোলাকুলি করে, কিন্তু সেটা মায়ের মতো স্নেহ-ভালোবাসায় উষ্ণ নয়। দূর থেকে মিলাগ্রো হাত নেড়ে বিদায় জানায়। তার কাছে মনে হয় মিলাগ্রো যেন কবরস্থান থেকে তাকে বিদায় জানাচ্ছে। কিন্তু তা তো হবার নয়। হয়তো কোনো পার্ক থেকে হবে। কিন্তু কারাগারের বন্ধ ঘরের ভেতর কোনো পার্ক নেই। তখনো সে ঘুমের অতলে তলিয়ে আছে। তবে তার ইন্দ্রিয় সজাগ এবং সে জানে যে, এটা নিছক স্বপ্ন। যাহোক, বিনিময়ে সে ধন্যবাদ জানানোর জন্য হাত তোলে। কিন্তু সেই হাত মুষ্টিবদ্ধ। সবাই জানে, মুষ্টিবদ্ধ হাত কিন্তু এদিক-ওদিক নেড়ে বিদায় জানাতে শেখেনি।

যখন সে চোখের পাতা খুলে তাকায়, তখন পরিচিত বিছানার ওপর দৃষ্টি পড়তেই তার শিরদাঁড়া বেয়ে একটা হিমশীতল ঠান্ডা স্রোত কুলকুল করে ওপর থেকে নিচে নেমে যায়। তার হাত যেন ক্রমশ অবশ হয়ে যাচ্ছে। দু’হাতে ঘনঘন গরম নিঃশ্বাসের ফুঁ দিয়ে এবং তালু ঘষে সে প্রাণপণে হাত গরম রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু সে নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বা ছাড়তে পারছে না। তখনও ঘরের এক কোণে ধাড়ি ইঁদুর পিটপিট করে তার দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো প্রচণ্ড ঠান্ডায় ইঁদুরটাও তার মতো কাবু হয়ে আছে। সে একটা হাত সামনের দিকে বাড়ায় এবং দেখাদেখি ইঁদুরটাও একটা পা সামনের দিকে এগিয়ে দেয়। এই দুটো প্রাণী আগে থেকেই পরিচিত। মাঝে মাঝে লোকটি তার জঘন্য এবং বিস্বাদের খাবার ইঁদুরের দিকে ছুড়ে দেয়।

এছাড়াও স্বপ্নে কয়েদি সবুজ রঙের তরিৎকর্মা গিরগিটির অনুপস্থিতি উপলব্ধি করে। স্বপ্নে টিকটিকি দেখার ইচ্ছে নিয়ে সে পুনরায় গভীর নিদ্রার অতলে তলিয়ে যায়। সে আবিষ্কার করে যে, টিকটিকি লেজ হারিয়েছে। এ ধরনের উদ্ভট স্বপ্ন দেখার কোনো অর্থ নেই। কত বছর ধরে কারাগারে বন্দি আছে, তার হিসাব জানার জন্য সে আঙুলের কর গোনে—এক, দুই, তিন, চার এবং তারপর সে জেগে যায়। পুরো ছয় বছর তাকে কারাগারে বন্দি থাকতে হবে এবং মাত্র তিন বছর হয়েছে। সে পুনরায় গুনতে শুরু করে এবং এবার তার আঙুল সজাগ হয়ে যায়।

তার কাছে রেডিও ছিল না, হাতের ঘড়ি ছিল না, বই ছিল না, পেন্সিল ছিল না, এমনকি লেখার জন্য কোনো খাতাও ছিল না। মাঝে মাঝে নিঃসঙ্গতা এড়ানোর জন্য সে নরম সুরে গান করে। কিন্তু সে মাত্র কয়েকটা গান জানে এবং সেগুলো ক্রমশ তার স্মরণ শক্তির ভুবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া শৈশবে তার ঠাকুরদাদা তাকে কিছু প্রার্থনা শিখিয়েছিল। কিন্তু এখন, কার কাছে সে প্রার্থনা করবে? সে মনে করে ঈশ্বর তাকে ধোঁকা দিয়েছে, তবে বিনিময়ে ঈশ্বরকে সে ধোঁকা দিতে চায় না।

কয়েদি স্বপ্নে দেখেছে সে কারাগারে বন্দি এবং তার মনে হয় ঈশ্বর কারাগারে আসবে এবং তখন সে ঈশ্বরের কাছে স্বাকারোক্তি করে বলবে যে, সে ভীষণ ক্লান্ত এবং অনিদ্রায় ভুগছে, যা তাকে পরিশ্রান্ত করে তুলেছে। মাঝে মাঝে সে যখন গভীর ঘুমে বিভোর থাকে, তখন সে দুঃস্বপ্ন দেখে যে, যীশু এসে তাকে বলছে সে যেন ঈশ্বরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে। কিন্তু ঈশ্বর অন্য কাজে ব্যস্ত এবং তার প্রার্থনার প্রতিদান দিবে না।

‘সবচেয়ে খারাপ হতে পারে,’ ঈশ্বর হয়তো তাকে বলবে, ‘আমি এক এবং অদ্বিতীয়। ’

ঈশ্বরের এই একাকিত্বের জন্য তার খুব অনুশোচনা হয়। যাহোক, একসময় সে ঘুম থেকে জেগে ওঠে এবং তখন তার উপলব্ধি হয় যে, সে একজন নাস্তিক। পরমুহূর্তেই সে ঈশ্বর সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তা বন্ধ করে দেয় এবং নিজের সম্পর্কে অনুশোচনা, বন্দি জীবন এবং একাকিত্বের বদলে নিজেকে ক্লান্তিকর এবং পঙ্কিল পরিবেশে নিমজ্জিত অবস্থায় আবিষ্কার করে।

অসংখ্য স্বপ্ন এবং নিশিপালনের পর একদিন সমস্ত শরীর কাঁপিয়ে বিনা বাধায় তার সামনে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ এসে উপস্থিত হয়। প্রহরী এসে তার ঘুম ভাঙিয়ে বলে, কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কয়েদি নিশ্চিত হয়, সে আসলে স্বপ্ন দেখছে না। কারণ তার কাছে বিছানা ঠান্ডা লাগছিল এবং ধাড়ি ইঁদুরের উপস্থিতি তার দৃষ্টিগোচর হয়। সে করুণার দৃষ্টিতে ইঁদুরকে শেষ অভ্যর্থনা জানায় এবং কাপড়চোপড়, অর্থকড়ি, হাতের ঘড়ি এবং চামড়ার থলি, যা কারাগারে ঢোকার সময় কর্তৃপক্ষ তার কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছিল, সংগ্রহ করার জন্য সে প্রহরীকে অনুসরণ করে।

কারাগার থেকে বেরোনোর সময় সদর দরজায় কেউ তার জন্য অপেক্ষায় ছিল না। সে একাকি হাঁটতে থাকে। সে প্রায় দু’দিন হাঁটে এবং রাস্তার পাশে কিংবা গাছের ছায়ায় রাত্রিযাপন করে। শহরের বাইরে একটা পানশালায় ঢুকে সে দুটো স্যান্ডউইচ এবং সামান্য মদ্য পান করে, যার স্বাদ পুরোনো এবং অনায়াসে তা বুঝতে পারে। অবশেষে সে যখন তার বোনের বাড়িতে এসে পৌঁছে, তখন তাকে দেখে তার বোন আকস্মিকতায় ভড়কে গিয়ে প্রায় মূর্ছা যাচ্ছিল। তারা রীতিমত বাকরুদ্ধ হয়ে দশ মিনিটের মতো একে অপরকে জড়িয়ে ধরে রাখে। তারপর ঘোর কেটে গেলে তার বোন কাঁদতে শুরু করে এবং এক সময় তার পরিকল্পনার কথা জিজ্ঞেস করে।

‘এই মুহূর্তে ভালো মতো গোসল করে শান্তির ঘুম। আমি ভীষণ ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত,’ জবাবে সে বলল।

গোসল শেষ হলে তার বোন তাকে একটা খুপরি ঘরে নিয়ে যায়। সেই ঘরে বিছানা আছে। নোংরা এবং ময়লা বিছানা নয়, বরং পরিষ্কার, নরম এবং পরিপাটি। সে এক নাগাড়ে বারো ঘণ্টা ঘুমিয়েছে। অদ্ভুত বিষয়, সেই দীর্ঘ ঘুমের মাঝে প্রাক্তন কয়েদি স্বপ্ন দেখেছে যে, সে কারাগারে বন্দি, সেই পরিচিত টিকটিকি এবং অন্যান্য সবকিছু বহাল তবিয়তে আছে।

.........................

মারিও বেনেদেত্তি প্রসঙ্গে
দক্ষিণ আমেরিকার সমকালীন সাহিত্যের অন্যতম, স্বনামধন্য এবং সর্বজন স্বীকৃত উরুগুয়ের লেখক মারিও বেনেদেত্তি। তাঁর পুরো নাম মারিও ওরল্যান্ডো হার্ডি হ্যামলেট ব্রেনো বেনেদেত্তি ফারুগিয়া। তিনি একধারে ঔপন্যাসিক, ছোটগল্প লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক এবং নাট্যকার । তাঁর জন্ম ১৯২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে তিনি স্টেনোগ্রাফার হিসাবে চাকুরি জীবন শুরু করেন। তবে পরবর্তীকালে সাংবাদিকতাকে মূল পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। উরুগুয়ের বিখ্যাত সাপ্তাহিক খবরের কাগজ ‘মার্চা’য় ১৯৪৫ থেকে ১৯৭৩ সাল (জোরপূর্বক বন্ধ না করা পর্যন্ত) পর্যন্ত নিয়মিত লিখেছেন। এছাড়া তিনি উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা এবং মেক্সিকোর বিভিন্ন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন, জার্নাল এবং সাময়িক পত্রিকায় লিখেছেন। স্বৈরাচারী সামরিক শাসনামলে (১৯৭৩-১৯৮৫) তিনি প্রথমে আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ারসে এবং পরে পেরুর লিমা শহরে বসবাস করেন। লিমা শহরেই তিনি বন্দি হন এবং তাকে উরুগুয়ে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়। তবে রাজক্ষমা পেয়ে তিনি ১৯৭৬ সালে কিউবায় গমন করেন এবং পরের বছর স্পেনের মাদ্রিদে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে এলে ১৯৮৩ সালের শুরুতে মাতৃভূমিতে ফিরে যান তিনি।

মারিও বেনেদেত্তির লেখার মূল বিষয়বস্তু মন্তেবিদেয়োর সাধারণ মানুষের সাদামাটা কাহিনী। ‘বিংশ শতাব্দীর উরুগুয়ের সাহিত্য’ গ্রন্থসহ তিনি প্রায় নব্বইটি গ্রন্থের রচয়িতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য একাধিক সাহিত্য কর্ম বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। দিনলিপি আকারে রচিত তাঁর অন্যতম সফল উপন্যাস ‘দ্য ট্রুস’ ১৯৬০ সালে প্রকাশিত হওয়ার পরপরই তাঁর সুখ্যাতি আন্তর্জাতিক পাঠকমহলে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীকালে ১৯৭৪ সালে এই উপন্যাসের কাহিনী নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ‘থ্যাঙ্কস ফর দ্য লাইট’ (১৯৬৫) [একই শিরোনামে ১৯৮৪ সালে চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়] এবং ‘জুয়ান এঞ্জেলস্ বার্থডে’ (১৯৭১) তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। ‘ব্লাড প্যাক্ট অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ (১৯৭৭) এবং ‘দ্য রেস্ট ইজ জাঙ্গল অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ (২০১০) ইংরেজিতে প্রকাশিত তাঁর ছোটগল্প সংকলন। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসাবে তিনি একাধিক পুরস্কারে ভূষিত। শ্বাস-প্রশ্বাস এবং পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার কারণে ২০০৯ সালের ১৭ মে মন্তেবিদেয়োতে তার মৃত্যু হয়।

গল্পসূত্র
‘স্বপ্নে দেখেছে সে কারাগারে বন্দি’ গল্পটি মারিও বেনেদেত্তির ইংরেজিতে ‘হি ড্রিমড্ দ্যাট হি ওয়াজ ইন প্রিজন’ গল্পের অনুবাদ। স্পেনীয় ভাষা থেকে গল্পটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন হ্যারি মোরালেস। ইংরেজিতে গল্পটি ২০০৭ সালের মে সংখ্যা ‘ওয়ার্ডস্ উইদআউট বর্ডার্স’ ম্যাগাজিনে  প্রকাশিত হয়।



বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৭, ২০১৬
টিকে/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।