ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে সৈয়দ শামসুল হক

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৬
উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে সৈয়দ শামসুল হক

ঢাকা: ফুসফুসের জটিলতায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

তার স্ত্রী আনোয়ারা সৈয়দ হকসহ শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) কবি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন।

এ বিষয়ে জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত জানান, লন্ডনের রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধায়নে কবি চিকিৎসা নেবেন।

তিনি আরও জানান, জাতীয় কবিতা পরিষদ ও কবির পরিবারের পক্ষ থেকে সৈয়দ শামসুল হকের রোগ মুক্তি কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করা হয়েছে।

সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্ম করেন। কবিতা, উপন্যাস, নাটক, ছোটগল্প তথা সাহিত্যের সব শাখায় সাবলীল পদচারণার জন্য তাকে ‘সব্যসাচী লেখক’ বলা হয়। তিনি মাত্র ২৯ বছর বয়সে সাহিত্যিকদের মধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান।  

প্রখ্যাত এ সাহিত্যিক সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন ও হালিমা খাতুন দম্পতির আট সন্তানের প্রথম সন্তান। পিতা সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন পেশায় ছিলেন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার। এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক এ লেখক ব্যক্তিজীবনে প্রথিতযশা লেখকা ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হকের স্বামী।  

সৈয়দ শামসুল হকের ভাষ্য অনুযায়ী, তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৫১ সালের মে মাসে। ফজলে লোহানী সম্পাদিত ‘অগত্যা’ পত্রিকায়। সেখানে ‘উদয়াস্ত’ নামে তার একটি গল্প ছাপা হয়।

তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় কুড়িগ্রাম মাইনর স্কুলে। সেখানে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন কুড়িগ্রাম হাই ইংলিশ স্কুলে। এরপর ১৯৫০ সালে গণিতে লেটার মার্কস নিয়ে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

সৈয়দ শামসুল হকের পিতার ইচ্ছা ছিলো, তাকে তিনি ডাক্তারী পড়াবেন। পিতার এরকম দাবি এড়াতে তিনি ১৯৫১ সালে বম্বে (বর্তমান মুম্বাই) পালিয়ে যান। সেখানে তিনি বছরখানেকের বেশি একটি সিনেমা প্রডাকশন হাউসে সহকারী হিসেবে কাজ করেন। এরপর ১৯৫২ সালে তিনি দেশে ফিরে এসে জগন্নাথ কলেজে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী মানবিক শাখায় ভর্তি হন। কলেজ পাসের পর ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন। পরবর্তীতে স্নাতক পাসের আগেই ১৯৫৬ সালে সেখান থেকে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে বেরিয়ে আসেন। এর কিছুদিন পর তার প্রথম উপন্যাস ‘দেয়ালের দেশ’ প্রকাশিত হয়।

এ পর্যন্ত তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৬) ছাড়াও একুশে পদক (১৯৮৪), আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৯), অলক্ত স্বর্ণপদক (১৯৮২), আলাওল সাহিত্য পুরস্কারসহ (১৯৮৩) অনেক পুরস্কার পেয়েছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৬
এটি/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।