ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ধারাবাহিক গল্প/পর্ব-৬

কিলোমাঞ্জারোর তুষার | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৬
কিলোমাঞ্জারোর তুষার | আর্নেস্ট হেমিংওয়ে

[১৯৫৪ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী আর্নেস্ট হেমিংওয়ে তার বিখ্যাত ‘কিলোমাঞ্জারোর তুষার’ গল্পটি লিখেছিলেন ১৯৩৮ সালে। এটিকে বিশ্বের সর্বেকালের সেরা গল্পের তালিকায় বেশ ওপরের দিকেই ঠাঁই দেন সাহিত্যবোদ্ধারা।

গল্পটিতে ১৯৩০-এর দশকে হেমিংওয়ের লেখক-জীবন ও ব্যক্তিগত জীবন প্রতিফলিত হয়েছে।
এতে তিনি মন্তব্য করেছেন, রাজনীতি, নারী, সুরা, অর্থ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমেরিকার লেখকদের নষ্ট করে দিচ্ছে। ধনী লোকজনরে সঙ্গে মাখামাখি তার লেখকসত্তার ক্ষতি করছে। এই বোধ স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে গল্পটিতে। ব্যাপকার্থে, গল্পটিকে একজন লেখকের হারানো প্রজন্মের স্মৃতিচারণের উদাহরণ হিসেবে নেওয়াই সঙ্গত। যাদের ছিলো বিশ্বযুদ্ধ ও স্পেনের যুদ্ধ-অভিজ্ঞতা, যেসব যুদ্ধ তাদের মনে নৈতিকতা ও দর্শন নিয়ে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। একের পর এক স্মৃতিচারণে গল্পের নায়ক স্মরণ করতে থাকে বুলগেরিয়া ও কনস্টান্টিনোপলের পর্ববতমালা এবং একই সঙ্গে প্যারিসের একাকিত্বের দুঃসহ অনুভূতি আর ভেতরটা হঠাৎ করেই শূন্য হয়ে ওঠা।  
খাটে শুয়ে শুয়ে গল্পের নায়ক সর্তক হয়ে ওঠে, যখন তার অস্থায়ী তাঁবুর চারপাশে শকুন হাঁটতে দেখে। ছায়ার ভেতর একটি হায়নোর আনাগোনা টের পায়। জেগে ওঠার আগেই মরে যাবো এটা জেনেই সে ঘুমাতে যায় এবং স্বপ্ন দেখে- একটি উদ্ধার বিমান তাকে তুষারাবৃত কিলোমাঞ্জারোর চূড়ায় নিয়ে গেছে। গোটা আফ্রিকায় যেটি সবচেয়ে উঁচু পর্বত। তার স্ত্রীরও স্বপ্নদেখা ঘুম ভেঙে যায় হায়েনার বিদঘুটে শব্দে। তাঁবুর বাইরে হায়েনাটা কেঁদে ওঠে অদ্ভূতভাবে। সে কান্নাটা মানুষের মতো। ]

কিলোমাঞ্জারোর তুষার
মূল: আর্নেস্ট হেমিংওয়ে
ভাষান্তর: মনজুর শামস

পর্ব-৬

‘তুমি কি আরও একটু সুরুয়া খেতে চাও?’ তার প্রেমিকা তাকে এ সময়ে জিজ্ঞেস করলো।
‘না, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। সুরুয়াটা সাংঘাতিক রকমের ভালো হয়েছে। ’
‘আর একটু খাওয়ার চেষ্টা করে দেখো!’
‘আমার এখন হুইস্কি-সোডা খেতেই ভালো লাগবে। ’
‘এটা গেলা তোমার জন্য ভালো কিছু না। ’
‘না। এটা আমার জন্য খারাপ। কোল পোর্টার কথাগুলো এবং গানটা লিখেছেন। তুমি যে জ্ঞান দিয়ে চলেছো, তাতে তো আমার পাগল হওয়ার দশা!’
‘তুমি জানো, আমি তোমার ড্রিঙ্ক করা পছন্দ করি। ’
‘ওহ্, তাই তো! কেবল আমার জন্য এটি খারাপ। ’
প্রেমিকা চলে যাওয়ার পর সে ভাবলো, আমি যা যা চাই তাই তাই খাব। আমি যা চাই তার সবই কেবল নয়। বরং যা রয়েছে তার সব। হ্যাঁ, সত্যিই সে ক্লান্ত ছিলো। ভীষণ ক্লান্ত। সে কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে যাচ্ছিলো। স্থির হয়ে সে শুয়ে পড়লো এবং সেখানে মৃত্যু ছিলো না। মৃত্যুটা বোধ হয়, আশপাশের অন্য কোনো রাস্তায় চলে গিয়েছিলো। এটি প্যারিসে চলে গেছে, বাইসাইকেলে চড়ে, এবং পরম নীরবতায় কংক্রিট বাঁধানো চত্বরে উঠে গেছে।
না, প্যারিস সম্পর্কে সে কখনও কিছু লেখেনি। প্যারিসকে সে অতটা ভালোও বাসে না। কিন্তু বাকিদের বেলায় এমন কী ঘটেছে যে সে আর কখনো লিখলোই না?
কী খবর সেই খামারবাড়িটির এবং রুপালি ধূসর মরুতৃণের ঝোপের? সেচ-খাদের দ্রুত বয়ে চলা স্বচ্ছ জলের আর আলফালফার গাঢ় সবুজের? পথটা চলে গিয়েছিলেঅ পাহাড়ের মাঝ দিয়ে। গ্রীষ্মে সে পথ দিয়ে চলা গরু-মোষগুলো ছিল হরিণের মতোই ত্রস্ত। ওগুলোকে আপনি নিচে তাড়িয়ে আনতে গেলেই হাঁক-ডাক জুড়ে দিতো এবং এই গরু-মোষের পাল ধীরে ধীরে চলতে শুরু করলেই ধুলো উড়তো। পর্বতশ্রেণির পেছনে সন্ধ্যার আলোতে পরিষ্কার দেখা যেতো চোখা চূড়াটি। জোছনা রাতে সেই পথ দিয়ে ঘোড়া দাবড়িয়ে নামার সময় গোটা উপত্যকাটা স্নিগ্ধ ঝলমলে দেখাতো। এবার তার মনে পড়ে গেলো অন্ধকারে বনের মাঝ দিয়ে ঘোড়ার লেজ ধরে নেমে আসার সময়কার সেই দৃশ্যটির কথা। যখন সে কিচ্ছু দেখতে পাচ্ছিলো না। এই সবকিছুই সে লিখবে বলে ঠিক করে রেখেছিলো।

তার মনে পড়ে গেলো মোটামুটি বুদ্ধিমান সেই ভৃত্য-বালকটির কথা। যাকে সে সেই সময়ে খামারবাড়িটিতে রেখে এসেছিলো এবং বলে এসেছিলো কাউকে যেনো কোনো খড়কুটো নিতে না দেয়। মনে পড়ে গেলো ফর্কের সেই বুড়ো বেজন্মাটার কথাও। যে এই ভৃত্য-বালকটিকে পিটিয়েছিলো। বালকটি তার হয়ে কাজ করছিলো বলে বুড়োটি তার গরুর জন্য খাবার নিতে চাইলে সে না করেছিলো আর এতে রেগেমেগে বুড়োটা তাকে বেদম মেরেছিলো। বুড়োটি তাকে শাসিয়ে বলেছিলো, তাকে বাধা দিলে সে তাকে আবারো মারবে। এরপর বুড়োটি গোলাঘরের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করতেই বালকটি রান্নাঘর থেকে রাইফেল নিয়ে এসে তাকে গুলি করে মেরেছিলো। তারা যখন খামারবাড়িটাতে ফিরে এসেছিলো বুড়োটি মারা যাওয়ার পর ততদিনে এক হপ্তা পেরিয়ে গেছে। গরুর খোয়াড়ে মরে বরফ হয়ে ছিলো সে। এরই মধ্যে তার শরীরের একটি অংশ কুকুরে খেয়ে নিয়েছিলো। সে তখন ভৃত্য-বালকটিকে ডেকে তার সাহায্য নিয়ে একটা কম্বলে মুড়ে লাশটি স্লেজগাড়িতে তুললো এবং দড়ি দিয়ে ভালো করে বেঁধে নিলো। এরপর তারা দুজনে লাশটিকে স্কি করার বরফ-রাস্তা দিয়ে ষাট মাইল দূরের শহরে নিয়ে গিয়েছিলো। সঙ্গে ভৃত্য-বালকটিকেও নিয়ে গিয়েছিলো হস্তান্তর করার জন্য। বালকটির কোনো ধারণাই ছিল না যে তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে। সে ভেবেছিলো, সে যেহেতু তার দায়িত্ব পালন করেছে তাই সে এখন তাদের বন্ধুই তো বটে! এজন্য তাকে পুরস্কার দেয়া উচিৎ। সে ঐ বুড়ো লোকটিকে টেনে ভেতরে নিয়ে গেছে যাতে সবাই বুঝতে পারে বুড়োটা কত্ত খারাপ। কী করে সে গরুর খাবার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলো। যেগুলোর মালিক সে নয়। আর তাই শেরিফ যখন তার হাতে হাতকড়া পরালো, সে তখন তার নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলো না। এরপর সে কাঁদতে শুরু করেছিলো। এটি ছিল সেই গল্পগুলোর একটি। যেগুলো লিখবে বলে সে ঠিক করে রেখেছিলো। সেই জায়গার এ ধরনের ভালো কমপক্ষে বিশটি গল্প সে জানতো। যেগুলোর একটিও সে কখনও লেখেনি। কেন?
‘তুমি তাদের কারণটা বলে দাও’, সে বললো।
‘কেন, কী লক্ষ্মীটি?’
‘কেনটা কিছুই নয়। ’
হ্যারিকে পাওয়ার পর থেকে সে এখন আর অতটা ড্রিঙ্ক করে না। কিন্তু সে এখন জানে হ্যারি যদি বাঁচে তবে কখনো তার কথা লিখবে না। তাদের কারও কথাই লিখবে না। ধনীরা মাথামোটা এবং তারা খুব বেশি ড্রিঙ্ক করে। তারা খুব বেশি ব্যাকগ্যামন খেলে। তারা বুদ্ধু এবং একই কাজ বারবার করতে থাকে। হতভাগা জুলিয়ানের কথা তার মনে পড়ে গেলো। মনে পড়ে গেলো তাদের প্রতি তার ভক্তিমাখা ভয়ের কথা। কীভাবে সে একবার একটি গল্প লিখতে শুরু করেছিলো, যার শুরুটা ছিল এ রকমের ‘খুব বেশি ধনীরা আমার ও আপনার থেকে আলাদা। ’ কীভাবে কেউ কেউ জুলিয়ানকে বলেছিলো, হ্যাঁ, তাদের আরও অনেক বেশি টাকা রয়েছে। কিন্তু ব্যাপারটি জুলিয়ানের কাছে মজার কোনো বিষয় ছিলো না। সে মনে করতো তারা বিশেষ রকমের মোহময় এবং যখন সে দেখতে পেলো আদতে তারা তেমনটি নয়, ব্যাপারটি তার মন ভেঙে দিয়েছিলো। ঠিক অন্য যে কোনো কিছু যেভাবে তার মন ভেঙে দেয়।

যারা ভেঙে পড়ে, সে তাদের অবজ্ঞা করে। আপনি অবশ্য এমনভাবে অবজ্ঞা করতে পছন্দ করবেন না, কারণ আপনি ব্যাপারটা বোঝেন। সে যে কোনোকিছুকেই অবজ্ঞা করতে পারে। সে ভেবে দেখলো। কারণ সে যদি কোনো পরোয়া না করে তা হলে কোনোকিছুই তাকে আঘাত দিতে পারবে না।

ঠিক হ্যায়। এখন আর সে মৃত্যুকে কোনো পরোয়া করবে না। একটা ব্যাপারে সে সব সময় খুব আতঙ্কে থাকে। আর তা হচ্ছে ব্যথা। যে কোনো মানুষের মতোই সে ব্যথা সহ্য করতে পারে। যতক্ষণ না এটি অনেক দীর্ঘ সময়ে গড়ায় এবং তাকে তা পেয়ে বসে। কিন্তু এখানে সে ব্যথাটা এতটাই অনুভব করতে পারছে যা তাকে ভয়ানকভাবে ভোগাচ্ছে। ঠিক যখন সে অনুভব করলো, যে এটি তাকে একেবারে ভেঙেচুরে দিচ্ছে, তখনই ব্যথা বন্ধ হলো।

অনেক অনেক দিন আগের একটি ঘটনার কথা তার মনে পড়ে গেলো। বোম্বিং অফিসার উইলিয়ামসন একদিন রাতে কাঁটাতারের বেড়া গলে ভেতরে আসছিলো। এ সময় জার্মান টহল দল থেকে একজন তার ওপর একটি হাতলওয়ালা জার্মান হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়ে। তখন সে আর্তচিৎকার করে করে সবাইকে অনুনয় করে তাকে মেরে ফেলার জন্য বলছিলো। সে ছিলো একজন মোটাসোটা মানুষ। খুব সাহসী এবং একজন ভালো অফিসার। যদিও অদ্ভুত ধরনের সব শো দেখার প্রবল নেশা ছিলো তার। কিন্তু সেদিন রাতে সে কাঁটাতারের ভেতরে ধরা পড়ে গেলো। একটি আলোক-গোলার চোখ ধাঁধানো আলোয় সে আলোকিত হয়ে উঠেছিলো এবং দেখা গিয়েছিলো তার নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে এসে তারে জড়িয়ে গেছে। সুতরাং তাকে তখন জীবিত অবস্থায় ভেতরে নিয়ে আসার জন্য তার নাড়িভুঁড়ি কেটেছিঁড়ে তাকে কাঁটাতার থেকে মুক্ত করতে হয়েছিলো। তাকে দেখে সে বলে উঠেছিলো, ‘আমাকে গুলি করে মারো, হ্যারি। যিশুর দোহাই, আমাকে গুলি করো। ’ একটা সময়ে তারা ‘আমাদের ঈশ্বর কখনো তোমাকে এমন কিছু পাঠাবেন না, যা তুমি সহ্য করতে পারবে না। ’ এই কথার ওপর তক্ক জুড়ে দিতো এবং তখন কারও কারও তত্ত্ব এমন থাকতো, যার মানে করলে দাঁড়ায়, একটা নির্দিষ্ট সময়ে এসে ব্যথাটা নিজে থেকেই আপনাকে ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু সে সব সময়ই সেই রাতের উইলিয়ামসনের সেই অবস্থার কথা স্মরণ করে। ব্যথা-ট্যাথা কিচ্ছুই সেদিন রাতে উইলিয়ামসনকে ছেড়ে চলে যায়নি। যতক্ষণ না সে তাকে তার কাছে থাকা সব মরফিন ট্যাবলেট দিয়েছিলো। যেগুলো সে সব সময় নিজের ব্যবহারের জন্য জমিয়ে রাখতো এবং তখন এ মরফিনগুলোও ঠিকমতো কাজে আসেনি।
এখনও পর্যন্ত, তার যা হয়েছে তা খুবই সহজ-সহনীয়। আর এটি যদি আরও খারাপের দিকে চলে না যায় তা হলে এ নিয়ে দুঃশ্চিন্তার কিছু নেই। শুধু তার সঙ্গ আরও ভালো হওয়া উচিৎ ছিলো এই যা।  
না। সে ভাবলো, তুমি যখন সবকিছু করো, তখন অনেক সময় নিয়ে তা করো, আর করোও অনেক দেরিতে।  সুতরাং তুমি এখনও সেই মানুষদের সেখানে আশা করতে পারো না। পার্টি শেষ এবং তুমি এখন তোমার বাড়িওয়ালির সঙ্গে।
বাকি সবকিছুর মতো মৃত্যু নিয়ে আমি বিরক্ত হয়ে উঠছি, সে ভাবলো।
‘এটা এক বিরক্তি’, চিৎকার করে সে বলে উঠলো।
‘কী, লক্ষ্মীটি?’
‘বেজন্মা সময় লাগিয়ে তুমি যা কিছু করো। ’
আগুন এবং তার মাঝখানে সে তার স্ত্রীর মুখের দিকে তাকালো। তার স্ত্রী চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে ছিলো। আগুনের আলো তার মুখের চমৎকার রেখার ওপর পড়ছিলো। সে দেখতে পাচ্ছিলো তার স্ত্রী ঘুমে ঢুলুঢুলু করছে। সে ঠিক আগুনের আওতার বাইরে থেকে হায়েনার আওয়াজ শুনতে পেলো।  
‘আমি লিখে চলেছি’, সে বললো। ‘কিন্তু আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। ’
‘তুমি কি মনে করো একটু ঘুমিয়ে নিতে পারবে?’
‘খুবই নিশ্চিত আমি। তুমি ভেতরে যাচ্ছো না কেন?’
‘আমি এখানে তোমার সঙ্গে বসে থাকতে চাই। ’
‘তুমি কি অদ্ভুত কিছু টের পাচ্ছ?’ সে তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলো।
‘না। কেবল একটু ঘুম পাচ্ছে। ’
‘আমি টের পাচ্ছি। ’ হ্যারি বললো।
সে ঠিক টের পেলো, মৃত্যু আবারও আসছে।  
‘তুমি জানো একটি বিষয়ই আমি কখনও হারাই না। আর তা হচ্ছে কৌতূহল। ’ হ্যারি তার স্ত্রীকে বললো।
‘তুমি কখনও কিছু হারাওনি। আমি এ পর্যন্ত যত মানুষকে জেনেছি তার মধ্যে তুমি হচ্ছ সবচেয়ে সম্পূর্ণ মানুষ। ’
‘হায় যিশু!’, সে বললো। ‘একজন নারী কত অল্পই না জানে! সেটি কী? তোমার স্বতঃস্ফূর্ত অনুভূতি?’
কারণ, ঠিক তখনই মৃত্যু এসে গিয়েছিলো এবং খাটটার পায়ে তার মাথা রেখেছিলো এবং হ্যারি এর নিশ্বাসের ঘ্রাণ পাচ্ছিলো।
‘কখনও ঐ একটি কাস্তে এবং একটি খুলিকে বিশ্বাস করবে না। ’ সে তার স্ত্রীকে বললো। ‘এটি খুব সহজেই সাইকেলে চড়া দুজন পুলিশ হয়ে যেতে পারে, বা একটি পাখি। বা এটি হায়েনার মতো একটি চ্যাপ্টা নাকও হয়ে যেতে পারে। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৬
এসএমএন

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।