ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

কলা কেন্দ্রে আসমা সুলতানার ১৫ দিনব্যাপী একক প্রদর্শনী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭
কলা কেন্দ্রে আসমা সুলতানার ১৫ দিনব্যাপী একক প্রদর্শনী আসমা সুলতানার একক প্রদর্শনী

কলা কেন্দ্রে চলছে শিল্পী আসমা সুলতানার ‘এলক্যামি অব লসেস’ শীর্ষক একক প্রদর্শনী। এটি চলবে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে ‍রাত ৮টা। 

এর আগে, গত ০৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কলা কেন্দ্রে (১/১১, ইকবাল রোড, চতুর্থ তলা) প্রদর্শনীটি উদ্বোধন হয়।

প্রদর্শনীর কিউরেটর ওয়াকিলুর রহমান ও কেহকাশা সাবাহ বলেন, এলকেমি অব লসেস শিল্প প্রদর্শনীটি যেনো আসমা সুলতানার ৪০ বছর জীবনের আবেগতাড়িত এক গল্প।

আসমার জন্ম বাংলাদেশে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন এবং বর্তমানে কর্মসূত্রে যুক্তরাজ্য ও কানাডায় বসবাস করছেন। শেষ দুই দশক ধরে প্রবাসী জীবনের অভিজ্ঞতা তার আত্নশিকড় সন্ধানী ভাবনাকে ত্বরান্বিত করেছে। ২০১০ সাল থেকে তিনি সমন্বিত মাধ্যমে কাজ করা শুরু করেন। আর শিল্প নির্মাণে উপাদান হিসেবে নিজের চুল, আঙুলের ছাপ এগুলো ব্যাবহার করার সিদ্ধান্ত নেন। তার কাজ ড্রইং, পেইন্টিং ও ইনস্টলেশনের সমন্বয় হয়ে উঠে। খুব সাধারণ ও গতানুগতিক উপাদানগুলো ব্যতিক্রমী প্রক্রিয়ায় ও ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্হাপিত হয় তার কাজে। হাতে রঙ মেখে ক্যানভাসে তার ছাপ ও তার ক্রমাগত উপরিলেপন, নারী ও শিশুর বিশেষত সাদা কাপড়ে নিজের চুল দিয়ে সেলাই, ঐতিহ্যগত সেলাই ফ্রেমের প্রদর্শন- যা হয়তো তার বাঙালি নারীত্বকে স্বরণ করিয়ে দেয়, জাতিগত সংস্কৃতিকে পুনর্জাগরিত করার একটি প্রয়াস যেনো। সেলাই হয়তো তার মনের ক্ষতগুলোকে পূরণের প্রতীকী ক্রিয়া হয়ে এসেছে। তার জীবনে নির্বাসন ও পূনরায় স্বপ্ন দেখার বিষয়টি যেনো, শরীরের উপাদানগুলো ক্ষয়ে পড়া এবং পূনর্জন্মের মতোই এক অভেদ্য রূপান্তর প্রক্রিয়া, যা তার কাজে বিষয় হয়ে উঠে।

এলক্যামি অব লসেস

শিল্পীর আসমা সুলতানা ও তার কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ঢু মারা যাবে https://www.asmasultana.com ওয়েবসাইট ও https://meetasultana.wordpress.com/ ব্লগে।

যোগাযোগ

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এসএনএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।