ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শেষ হলো লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতির পিঠা উৎসব

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৮
শেষ হলো লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতির পিঠা উৎসব

ঢাকা: হাজার বছরের সমৃদ্ধশালী সংস্কৃতির উত্তরাধীকারী বাঙালি। খাদ্যরসিক এ জাতি প্রাচীনকাল থেকেই প্রধান খাদ্যের পরিপূরক মুখরোচক অনেক খাবার তৈরি করে আসছে। তবে পিঠা তাদের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বের দাবিদার।

লোকজ এ শিল্প আবহমান বাংলার অপরিহার্য অঙ্গ। এ যুগে সামাজিকতার ক্ষেত্রে পিঠার প্রচলন কমে এসেছে।

তবে শুধু খাবার হিসেবে নয়, বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপূণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়।

লোকজ এ ঐতিহ্য ধরে রাখতে বাঙালির পিঠা পার্বনের আনন্দধারায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করে জাতীয় পিঠা উৎসবের। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো এ উৎসবের সমাপনী আয়োজন।

সন্ধ্যায় একাডেমি প্রাঙ্গণে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।

তিনি বলেন, এলাকা অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন বা আলাদা রকম পিঠা তৈরি হয়ে থাকে। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান ওঠার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের সময় বাহারি পিঠার উপস্থাপন ও আধিক্য দেখা যায়। বাঙালির লোক ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, বরেণ্য নাট্যাভিনেতা ড. ইনামুল হক, নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম ও ম. হামিদ প্রমুখ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪২৪ অংশগ্রহণকারী পিঠাশিল্পী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী। এবার এ পুরস্কার পান ‘৬ কন্যা পিঠা ঘরে’র সামিরা আহমেদ। সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
এইচএমএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।