ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

তবলা-সরোদের সুর মোহনায় আইজিসিসিতে মুখরিত সন্ধ্যা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৮
তবলা-সরোদের সুর মোহনায় আইজিসিসিতে মুখরিত সন্ধ্যা

ঢাকা: ‘দু’জন শিল্পীর তবলা ও সরোদের পরিবেশনায় একটি মুখর সন্ধ্যা ছিল আজ।’ ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের (আইজিসিসি) আয়োজনে যন্ত্রসঙ্গীতের আসর উপভোগের অনুভূতি এভাবেই প্রকাশ করছিলেন লেখক, গবেষক এবং জাতীয় জাদুঘরের কিপার শিহাব শাহরিয়ার।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বসে শাস্ত্রীয় যন্ত্রসঙ্গীতের এ আসর। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিহাব শাহরিয়ার।

ঠিক তার মতোই যেন সবাইকে মুগ্ধ করলেন দুই শিল্পী- সরোদ বাদক অর্ণব ভট্টাচার্য এবং তবলা বাদক নিলীমেশ চক্রবর্তী। প্রতিবেশী দেশ ভারতের এ দুই শিল্পীর সুরেলা ও ছন্দময় পরিবেশনায় সত্যিই মুগ্ধতায় ডুবিয়ে রাখে দর্শক-শ্রোতাকে।

অর্ণব ও নিলীমেশ তাদের পরিবেশনা শুরু করেন রাগ জয়জয়ন্তী দিয়ে, আলাপ জোড় ঝালার মধ্য দিয়ে এ পর্ব শেষ হয়। তারপর শিল্পীদ্বয় তিন তালে রাগ তিলোক কামোদ পরিবেশন করেন। এ রাগ পরিবেশনা চলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। এরপর রাগ দেশ নিবেদনের মধ্য দিয়ে শিল্পীরা শেষ করেন তাদের পরিবেশনা।

দর্শকরা বলছিলেন, ভারতীয় শাস্ত্রীয়সঙ্গীতে প্রথাগত ও আধুনিক উভয় ধারারই সংমিশ্রণ পাওয়া যায় অর্ণব ভট্টাচার্যের পরিবেশনায়। তাইতো তার সুরে ডুব দিতে ভাবতে হয় না দু’বার।

দেশ-বিদেশের বহু মঞ্চে সরোদ পরিবেশনের খ্যাতি অর্জন করেছেন অল ইন্ডিয়া রেডিও ও দূরদর্শনের এ নিয়মিত শিল্পী। অন্যদিকে সঙ্গীত পরিবারে জন্ম নেওয়া নিলীমেশ চক্রবর্তী বহু গুণী তবলাবাদকের কাছে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সর্বভারতীয় সঙ্গীত পরিষদসহ নানা প্রতিযোগিতায় সেরা তবলা বাদকের কৃতিত্বও লাভ করেছেন তিনি।

শিল্পীদের পরিবেশনা শেষে তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিহাব শাহরিয়ার। এসময় আইজিসিসি’র ইয়োগা টিচার মাম্পি দে ও লাইব্রেরিয়ান অমিত প্রকাশ দে-সহ বিশিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নার্গিস সুলতানা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮
এইচএমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।