ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

লোকনাট্য গোষ্ঠীর তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসব

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
লোকনাট্য গোষ্ঠীর তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসব লোকনাট্য গোষ্ঠীর তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ব আইটিআই সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: দেশের ঐতিহ্যবাহী নাটকের দল লোকনাট্য গোষ্ঠী। মঞ্চনাটকের এ গোষ্ঠীই এবার পদার্পণ করলো ৪১ বছরে। লোকনাট্য গোষ্ঠীর ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নাট্য উৎসব।

বুধবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘যুক্ত করো হে সবার সঙ্গে, মুক্ত করো হে বন্ধ’ প্রতিপাদ্যে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে নাট্য উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ব আইটিআই সাম্মানিক সভাপতি নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল কামাল বায়েজীদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গুণিজন সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য ৭ গুণিকে। সংবর্ধনা প্রাপ্তরা হলেন- প্রবীর মিত্র (চলচ্চিত্র), মোবারক হোসেন খান (সঙ্গীত), ড. ইনামুল হক (নাটক), আফরোজা বানু (নাটক), অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী (শিক্ষা), কবি নাসির আহমেদ (সাহিত্য) ও সুধীর চন্দ্র দাস (ব্যাংকিং)।

মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফুলের শুভেচ্ছার মধ্যদিয়ে শুরু হয় উদ্বোধনী পর্ব। উৎসব উদ্বোধনের সময় নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার বলেন, লোকনাট্য গোষ্ঠী মঞ্চ নাটকসহ যাত্রাও মঞ্চায়ন করে থাকে। দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে যে সংবর্ধনা দেওয়া হচ্ছে এটার তাৎপর্য আছে।

তিনি বলেন, যেকোনো উপলক্ষে গুণীজনদের সম্মাননা দেখানো অর্থ হচ্ছে, আমাদের পথিকৃৎদের স্বীকার করা, এতে তরুণ প্রজন্মও উদ্বুদ্ধ হয়। নাটক অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলে। দেশে সাম্প্রদায়িক উত্থান খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রদায়িকতা আতংকের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা যে স্বাধীন ভূখন্ড পেয়েছি, আমরা যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনায় তাতেই আত্মমগ্ন থাকি।

সন্ধ্যায় মঞ্চস্থ হয় লোকনাট্য গোষ্ঠী প্রযোজিত নাটক ‘অন্ধকারের নিচে সূর্য’। অগ্নিদূতের রচনায় নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন উৎসব আহ্বায়ক ও দলের সাধারণ সম্পাদক তাপস সরকার।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৫টায়। এতে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। এছাড়া আলোচনায় অংশ নেবেন অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, ড. তপন বাগচী ও নাট্যজন লাকী ইনাম। এদিন সবশেষে থাকবে লোকনাট্য গোষ্ঠী প্রযোজিত নাটক ‘কুরুক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণ’। সত্যপ্রকাশ দত্ত রচিত, শ্যামল দত্ত সম্পাদিত নাটকটির নির্দেশনায় তাপস সরকার।

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় শব্দ নাট্যচর্চা প্রযোজিত ‘চম্পাবতী’ নাটক মঞ্চায়নের মধ্যদিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী এ উৎসব। পল্লীকবি জমিসউদ্দিনের ‘বেদের মেয়ে’ গল্প অবলম্বনে নাটকটি রচনা করেছেন সৈয়দ সামসুল হক এবং নির্দেশনা দিয়েছেন খুরশিদুল আলম।    

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৮
এইচএমএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।