ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বৃষ্টিভেজা শীত সন্ধ্যায় কবিতার উষ্ণতা

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
বৃষ্টিভেজা শীত সন্ধ্যায় কবিতার উষ্ণতা

ঢাকা: বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চলে আবৃত্তি পরম্পরায় যেসব অগ্রজ শিল্পী, প্রশিক্ষক, নির্দেশক ও সংগঠকের অনন্য ভূমিকা বাংলাদেশের আবৃত্তি অঙ্গনকে ঋদ্ধ এবং সংগঠিত করেছে তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য সৈয়দ হাসান ইমাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, আশরাফুল আলম, ভাস্বর বন্দোপাধ্যায় ও ডালিয়া আহমেদ।

আর এ গুণী শিল্পীরাই তাদের কণ্ঠে সময়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ বিভিন্ন পরিবেশনা নিয়ে বৃষ্টিভেজা শীত সন্ধ্যায় কবিতার উষ্ণতা ছড়ালেন শ্রোতা-দর্শকদের হৃদয়ে।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির মূল নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন।

 

স্রোত আবৃত্তি সংসদের তিন দশক উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘যজ্ঞে আনন্দে ৩০ বছর’ আয়োজনের ধারাবাহিক অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী এ পর্বে অন্তরঙ্গ আসরে দীর্ঘ সময় ধরে শিল্পীদের আবৃত্তি দাগ কেটে যায় শ্রোতা-দর্শকদের হৃদয়ে।

‘কাব্য কথায় বিজয় আঁকি’ শীর্ষক এ আয়োজনে শীতের রাতে মৃদু বৃষ্টির গ্রহণযোগ্যতা এনে দেয় শিল্পীদের পরিবেশনা। সে পরিবেশনায় যেন মূর্ত হয়ে উঠে সাহিত্যের অনন্য এক শাখা কবিতা। কবিতার আবেদন চিরন্তন। তাতে রয়েছে ধ্বনি ও শব্দের বহুমাত্রিক দ্যোতনা। আর সে দ্যোতনা আরো বেশি মূর্ত হয় আবৃত্তিশিল্পীর কণ্ঠে।

সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বেলে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আয়োজনের সকল শিল্পী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ, স্রোত আবৃত্তি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা কে এম নাসির এবং সভাপতি মাসুদুজ্জামান।

আয়োজনে আশরাফুল আলম পরিবেশন করেন কবি রবীন্দ্র গোপের ‘গুলিবিদ্ধ মুখ’, রফিক আজাদের ‘মানুষ’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ঢাকীরা ঢাকা বাজায় খালে বিলে’ সহ বেশকিছু কবিতা। ডালিয়া আহমেদ কণ্ঠে আনেন কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘আগমনী’ ও ‘স্বদেশী গান’, নির্মলেন্দু গুণের ‘স্বাধীনতা শব্দটি যেভাবে আমাদের হলো’ ও ড. নীলিমা ইব্রাহিমের ‘আমি বীরঙ্গনা বলছি’ সহ বেশ কয়েকটি।

হাসান ইমাম পরিবেশন করেন কবি মাহবুব সাদিকের ‘যুদ্ধ ভাসান ৪’, আহসান হাবিবের ‘আমার সন্তান’, আবুল হাসানের ‘উচ্চারণগুলি শোকের’, শিহাব সরকারের ‘নজরুলকে মনে পড়ে’ এবং ইকবাল আজিজের ‘বাঙালির অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ’ কবিতা। আর কবি তারিক সুজাতের ‘মেডিসিন স্কয়ারের অবিনাশী মুখ’ ও ‘আমি আমার আতুর ঘরে পথ হারালাম’, শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘সে বড়ও সুখের সময় নয় সে বড়ও আনন্দের সময় নয়’, সাকিরা পারভীনের ‘খণ্ড খণ্ড পুরিয়া’ এবং শিহাব শাহরিয়ারের ‘পাতাদের পিঠ থেকে’ পরিবেশন করেন ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়।

সবশেষে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় নিবেদন করেন কবি নির্মলেন্দু গুণের ‘জননীর নাভিমূল ছিড়ে’, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘লিপিকা’ এবং সুবোধ সরকারের ‘আমি ফিরোজা, একটি ভারতীয় মেয়ে’ সহ অন্যান্য কবিতা।

শিল্পীদের পরিবেশনাগুলো প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর করে তোলে উৎসবের আয়োজন। তাইতো নবীন-প্রবীণ আবৃত্তিশিল্পী ও কবিতা ভালোবাসা মানুষদের পদভারে পত্র-পুষ্পে পল্লবিত হয়ে উঠে উৎসব আঙিনা।

বাংলাদেশ সময়: ০৪২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮
এইচএমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।