ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ক্রংক্রিটের ঘরে মেঠো সুর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
ক্রংক্রিটের ঘরে মেঠো সুর শিল্পকলা একাডেমিতে ভাওয়াইয়া উৎসব। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: শুরুটা হয়েছিল বিকেলেই। তবে, তা ছিল নির্ধারিত কিছু মানুষের জন্য, যারা শিখতে এসেছিলেন ভাওয়াইয়া গানের কলাকৌশল। কিন্তু, আয়োজন জমে উঠল হেমন্তের হালকা হিম-শীতল সন্ধ্যায়। ক্রংক্রিটের মিলনায়তন জুড়ে ভেসে বেড়ালো ভাওয়াইয়া গানের মেঠো সুর।

রোববার (২৭ অক্টোবর) ভাওয়াইয়া সম্রাট হিসেবে খ্যাত আব্বাসউদ্দীন আহমদের ১১৮তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে ভাওয়াইয়া উৎসব ও ভাওয়াইয়া কর্মশালার আয়োজন করে ভাওয়াইয়া অঙ্গন।

এবার ছিল ভাওয়াইয়া উৎসবের ১০ম আসর ও ভাওয়াইয়া কর্মশালার তৃতীয় আসর।

রোববার বিকেলে ভাওয়াইয়া কর্মশালার উদ্বোধন করেন ছড়াকার রফিকুল হক। সন্ধ্যায় শুরু হয় আলোচনা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে অতিথি হিসেবে যোগ দেন লোক গবেষক প্রধান উপদেষ্টা মুস্তফা জামান আব্বাসী, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মো. এনামুল হক, ভাওয়াইয়া অঙ্গনের উপদেষ্টা আবু আলম মো. শহিদ খান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভাওয়াইয়া অঙ্গনের চেয়ারপারসন সালমা মোস্তাফিজ।

আলোচনা পর্ব শেষে ছিল মনোজ্ঞ সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন নাদিরা বেগম, পূর্ণ চন্দ্র রায়, সাজু আহমেদ, রহিমা খাতুন, এরফান হোসেন, সাহস মোস্তাফিজ, পলাশ আহমেদ চৌধুরী, সালমা মোস্তাফিজ, মনিকা মোস্তাফিজ মন, কাঁকন, মুক্তা, গীতা পালমা, ঝিনি প্রমুখ।

শিল্পীদের কণ্ঠে শোনা যায় ‘ফান্দে পড়িয়া বগা কান্দে রে’, ‘ও কি একবার আসিয়া’, ‘যে জন প্রেমের ভাব জানে না’, ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই’, ‘বাওকুমটা বাতাস যেমন’, ‘আজি নদী না যাইও’, ‘নাইওর ছাড়িয়া দাও মোর বন্ধু’ ভাওয়াইয়ার বিচ্ছেদী সব গান।

বাংলাদেশ সময়: ২২২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৯
ডিএন/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।