ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পাঁচ গুণীকে সম্মাননা জানালো ঋষিজ

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৯
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পাঁচ গুণীকে সম্মাননা জানালো ঋষিজ

ঢাকা: ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী তাদের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চার গুণীকে সংবর্ধনা ও এক গুণীকে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করেছে। সংবর্ধিত বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা- দৈনিক কালের কণ্ঠ সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, অভিনেত্রী কোহিনূর আক্তার সুচন্দা, কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ও অভিনেতা মাহমুদ সাজ্জাদ। আজীবন সম্মাননা জানানো হয় সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীকে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত, আবৃত্তি ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি তথ্য সচিব আব্দুল মালেক এবং ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ফকির আলমগীর গুণীদের উত্তরীয় পরিয়ে তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র ‍তুলে দেন।

আবদুল গাফফার চৌধুরী বিদেশে থাকায় তার পক্ষে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ।

অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, দীর্ঘ একটা সময় ধরে একই ধারাবাহিকতায় একটা সংগঠনকে টেনে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটি ঋষিজ করে আসছে। তাদের জন্য আমাদের সহযোগিতা আগেও ছিল এবং আগামীতেও থাকবে।

তথ্য সচিব আব্দুল মালেক বলেন, মানবিক সমাজ বিনির্মাণে প্রয়োজন সাংস্কৃতিক আন্দোলন। দেশপ্রেম প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম এই সংস্কৃতি। সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে নির্মূল করতে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ বলেন, এই মঞ্চে ঋষিজ যাদের সম্মান জানালো তারা প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাদের সম্মান জানানোর মধ্যে দিয়ে ঋষিজ আজ নিজেও সম্মানিত হলো।

সম্মাননা প্রাপ্তির অনুভূতি ব্যক্ত করে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ফকির আলমগীর ৪৩ বছর ধরে নিজ প্রচেষ্টায় একটি সংগঠন পরিচালনা করছেন, সেটা চাট্টিখানি কথা নয়। গণসংগীতের ধারা সমৃদ্ধ করতে ঋষিজের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এ সংগঠন আমাকে যে সম্মাননা জানালো, এতে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। গুণীজনদের সঙ্গে আমাকেও সম্মানিত করায় আমি কৃতজ্ঞ। আমি সামান্য লেখালেখি করি, সেই পথকে আরও সুগম করবে এই সম্মাননা।

কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, আমাদের দেশে শিল্প-সংস্কৃতি একটি প্রাত্যহিক প্রয়োজন। গত ৪৩ বছরে ঋষিজ অসংখ্য গুণীজনকে সম্মানিত করেছে। ক্ষুদ্র একজন হলেও আমাকে সম্মানিত করায় আমি কৃতজ্ঞ। সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের হাতে সম্মাননা তুলে দিচ্ছেন অতিথিরা।  ছবি: বাংলানিউজমাহমুদ সাজ্জাদ বলেন, আমি নিজেকে কখনোই গুণীজন মনে করি না। আমি একজন সেবকমাত্র। আমাকে দর্শক সম্মানিত করেছেন, ঋষিজ সম্মানিত করলো। এটা অনেক বড় প্রাপ্তি। স্কুলজীবন থেকেই আমি অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছি, তবে এই পুরস্কার আমাকে আকাশের সমান করেছে।

কোহিনূর আক্তার সুচন্দা বলেন, বাংলার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিকজনদের চেতনা লালন করে পথ চলছে ঋষিজ। এই পথচলা আরও দৃঢ় ও সুগম হোক, এই প্রত্যাশা করি।

এর আগে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। পরে ‘আমরা ঋষিজ করি’ শিরোনামে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন সংগঠনের শিল্পীরা। এরপর শুরু হয় গুণীজন সংবর্ধনা। এবারের গোটা অনুষ্ঠানটি উৎসর্গ করা হয় প্রয়াত সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ মতিউল হক খান ও সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে।

আলোচনা ও সম্মাননা পর্ব শেষে অনুষ্ঠিত হয় সঙ্গীতানুষ্ঠান। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন আয়োজক ঋষিজ, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, উদীচীসহ বিভিন্ন সংগঠনের শিল্পীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।