ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০২১
কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই রাবেয়া খাতুন

ঢাকা: বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

রোববার (৩ জানুয়ারি) বিকেলে তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।

চ্যানেল আইয়ের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হাবিবুল হুদা পিটু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাবেয়া খাতুন এর জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার বিক্রমপুরে তাঁর মামার বাড়িতে। তার বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামে।

বিশিষ্ট এই কথাসাহিত্যিকের চার সন্তান—ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, রন্ধন বিশেষজ্ঞ কেকা ফেরদৌসী, স্থপতি ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।

লেখালেখির পাশাপাশি রাবেয়া খাতুন শিক্ষকতা করেছেন। সাংবাদিকতাও করেছেন। এ ছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির কাউন্সিল মেম্বার। জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের গঠনতন্ত্র পরিচালনা পরিষদের সদস্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ডের বিচারক, শিশু একাডেমির কাউন্সিল মেম্বার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘নতুন কুঁড়ি’র বিচারক।

রাবেয়া খাতুন সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় সফলভাবে বিচরণ করেছেন। উপন্যাস, ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনী, কিশোর উপন্যাস, স্মৃতিকথাসহ চলচ্চিত্র ও নাট্য জগতে তার অবদান অসামান্য।

রাবেয়া খাতুনের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক জনপ্রিয় উপন্যাস ‘মেঘের পর মেঘ’। ‘মধুমতি’, ‘কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি’সহ বহু জনপ্রিয় উপন্যাস রচনা করেছেন তিনি। তার বিভিন্ন উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র।

তার অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে— ‘সাহেব বাজার’, ‘অনন্ত অন্বেষা’, ‘অনেকজনের একজন’, ‘সেই এক বসন্তে’, ‘নীল নিশীথ’, ‘বায়ান্ন বাজার এক গলি’, ‘চাঁদের ফোটা’, ‘হৃদয়ের কাছের বিষয়’, ‘ঘাতক রাত্রি’, ‘রঙিন কাচের জানালা’, ‘শঙ্খ সকাল প্রকৃতি’, ‘শহরের শেষ বাড়ি’, ‘নষ্ট জ্যোস্নার আলো’ উল্লেখযোগ্য।

লেখালেখির জন্যে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। এর মধ্যে আছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার-১৯৭৩, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার -১৯৮৯, একুশে পদক-১৯৯৩, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ -১৯৯৪, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক-১৯৯৫, জসিমউদ্দিন পুরস্কার-১৯৯৬, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক-১৯৯৬, শাপলা দোয়েল পুরস্কার-১৯৯৬, টেনাশিনাস পুরস্কার -১৯৯৭, ঋষিজ সাহিত্য পদক-১৯৯৮, অতীশ দীপঙ্কর পুরস্কার-১৯৯৮, লায়লা সামাদ পুরস্কার -১৯৯৯, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৯, মিলেনিয়াম অ্যাওয়ার্ড -২০০০, টেলিভিশন রিপোটার্স অ্যাওয়ার্ড -২০০১, বাংলাদেশ কালচারাল রিপোটার্স অ্যাওয়ার্ড -২০০২, শেলটেক পদক- ২০০২ এবং মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার-২০০৫ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।