ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

লেখক আলম শাইনের সঙ্গে আলাপচারিতা

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২১
লেখক আলম শাইনের সঙ্গে আলাপচারিতা

বাংলাদেশে পরিবেশ, জলবায়ু ও বন্যপ্রাণী নিয়ে যে কয়জন লেখালেখি করেন তাদের মধ্যে অন্যতম আলম শাইন। তার অসংখ্য লেখা দুই বাংলায় সমাদৃত হয়েছে।

দেশের জাতীয় দৈনিকের পাশাপাশি কলকাতার দৈনিকেও তিনি নিয়মিত কলাম লেখেন। তার সঙ্গে বাংলানিউজের আলাপচারিতার চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।

বাংলানিউজ: শুরুতেই শুভেচ্ছা, তারপর জানতে চাইব আপনার জন্মস্থান কোথায়? 
আলম শাইন: রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলার পূর্বচরপাতা গ্রাম।  

বাংলানিউজ: ‘বিপ্রতীপ’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় বিশেষ কলাম লিখেছিলেন; যা ব্যাপক সমাদৃত হয়েছিল। সেই বিষয়ে কিছু বলুন।
আলম শাইন: ‘বিপ্রতীপ’ শিরোনামের কলামটি ভিন্নধর্মী লেখা ছিল। যেমন, ওষুধের প্যাকেটের গায়ে মূল্য লেখা আছে, ২০.২৫ পয়সা। প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ২৫ পয়সা পাব কোথায়! মূলত এ ধরনের লেখা নিয়ে ২০১৯ সালে বিশেষ কলামটি মাস ছয়েক লিখেছিলাম। কলামটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। মনোযোগ সহকারে পাঠক পড়তেন, আমাকে প্রতিক্রিয়াও জানাতেন বিভিন্নভাবে।

বাংলানিউজ: পরিবেশ ও জলবায়ু নিয়ে আপনার লেখা বই ‘৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস’ সম্পর্কে বলুন।
আলম শাইন: ‘৬৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস’ বইয়ের প্রবন্ধগুলো পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত। প্রবন্ধগুলো ২০১১-২০২০ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাক, ভোরের কাগজ, জনকণ্ঠ, যুগান্তর, সমকাল, বাংলাদেশ প্রতিদিন, আমাদের সময়, সময়ের আলো ও সাতসকাল (কলকাতা, ভারত) পত্রিকার সম্পাদকীয় পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল। প্রবন্ধগুলোতে জলবায়ু বিপর্যয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছিলাম। জলবায়ু নিয়ে সামনে আরেকটি গ্রন্থ মোকড়বন্দি হতে যাচ্ছে, পাণ্ডলিপি প্রস্তুত করছি।  

বাংলানিউজ: সর্বশেষ উপন্যাস কোনটি? কোন বিষয়ে লেখা?
আলম শাইন: সর্বশেষ প্রকাশিত উপন্যাস ‘বনবিহারী’। উপন্যাসটি বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনলাইনে ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়েছিল। পরবর্তীতে মার্চ, ২০২১ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী প্রকাশনা সংস্থা ‘মাওলা ব্রাদার্স’ মোকড়বন্দি করেছে। বনচারীদের নিয়ে লেখা এই উপন্যাসটির পটভূমি হচ্ছে নিঝুম দ্বীপ। এখন লিখছি নদী নিয়ে উপন্যাস, ‘বাঁক পেরুলেই ডাকাতিয়া’। লেখা শেষ হলেই পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশিত হবে।

বাংলানিউজ: আপনার উপন্যাস, গল্প-প্রবন্ধ-নিবন্ধের সংখ্যা কত?
আলম শাইন: মোট গ্রন্থসংখ্যা ১৭টি। প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ফিচারের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়েছে। লেখাগুলো দেশের প্রথম শ্রেণির দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল।  

বাংলানিউজ: ‘হাজাম’ সম্প্রদায় নিয়ে উপন্যাস লিখেছিলেন, সে বিষয়ে ও পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে বলবেন।
আলম শাইন: হাজাম সম্প্রদায় নিয়ে লেখা উপন্যাসটি দৈনিক জনকণ্ঠ ও কলকাতার উদ্দালক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল। উদ্দালক সম্পাদকীয়তে লিখেছে, এটি নাকি দুইবাংলায় মিলিয়ে লেখা প্রথম হাজাম সম্প্রদায় নিয়ে লেখা উপন্যাস। পরবর্তীতে উপন্যাসটি ‘ড. মঞ্জুশ্রী সাহিত্য-২০০৮’ পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছিল। পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রবর্তিত ‘বোস্টন বাংলা নিউজ অ্যাওয়ার্ড-২০১৫’ ভূষিত হয়েছিলাম। ভূষিত হয়েছিলাম ‘ক্যানভাস অব বাংলাদেশ বিজয় দিবস সম্মাননা-২০১৭। ’ জলবায়ু পরিবর্তন রোধ ও জনসচেতনা বৃদ্ধির প্রয়াসে গ্রিনম্যান অ্যাওয়ার্ডে-২০১৯ ভূষিত হয়েছিলাম। এটি দেশের প্রথম ‘গ্রিনম্যান অ্যাওয়ার্ড’।

বাংলানিউজ: বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করছেন, জলবায়ু নিয়ে লিখছেন, সাহিত্য চর্চাও অব্যাহত রেখেছেন। কোনটি নিয়ে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?
আলম শাইন: আমি দুটি বিষয়েই সমান আগ্রহী; বিষয়গুলো নিয়ে লিখতেও স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আসলে আগ্রহ নিয়ে কাজ করলে সব ক্ষেত্রেই স্বাচ্ছন্দ্য লাভ করা যায়।

বাংলানিউজ: প্রকৃতি নিয়ে কিছু বলুন।
আলম শাইন: বন-বনানী-বন্যপ্রাণী আমাকে সব সময় হাতছানি দিয়ে ডাকে। সময় সুযোগ পেলে প্রকৃতির সন্ধানে ছুটে যাই আমি। সেটি হতে পারে দূরে কোথাও, কিংবা হতে পারে আশপাশের গ্রামাঞ্চলেও।

বাংলানিউজ: জীবনে যা ভুলতে চান না।
আলম শাইন: ‘লক্ষ্মীপুর ডায়েরি’ নামক ৬২৪ পাতার একটি গ্রন্থে আমার সংক্ষিপ্ত জীবনী দেখে আমি ভীষণ অভিভূত হয়েছিলাম কয়েক বছর আগে। গ্রন্থপ্রণেতা তরুণ সাংবাদিক সানাউল্লাহ সানু জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার পাশাপাশি ১৫০জন গুণীজনের সঙ্গে আমাকেও মলাটবন্দি করেছেন। বিষয়টা আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করেছে, যা কখনও ভুলতে পারব না আমি।  

বাংলানিউজ: ধন্যবাদ আপনাকে।  
আলম শাইন: ধন্যবাদ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১০০ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২১
শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।