ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

হিরোশিমা থেকে ইবি অধ্যাপক মামুনসহ গবেষক দলের গ্রন্থ প্রকাশ

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৭ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২১
হিরোশিমা থেকে ইবি অধ্যাপক মামুনসহ গবেষক দলের গ্রন্থ প্রকাশ

ইবি (কুষ্টিয়া): জাপানের হিরোশিমা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানসহ পাঁচ গবেষক দলের গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।  

গত ০১ জুন জাপানের ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইচে ইয়োশিও-এর নেতৃত্বে ড. মামুনসহ জাপানের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঁচজন গবেষক দলের গবেষণায় এ গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।

গ্রন্থটির পূর্ণ শিরোনাম হলো- আধুনিকীকরণের পুনরাবৃত্তি এবং বৈচিত্র: ফু’কুর ‘আর্কিওলোজি’র দৃষ্টিকোণ থেকে ‘প্রাচ্য ও প্রাশ্চাত্য’ এর বিতর্কিত বিনির্মাণ বিশ্লেষণ। বিগত চার বছর ধরে গবেষণা করে গবেষক দল এ গ্রন্থটি রচনা করেন। গ্রন্থটিতে প্রাচ্যের ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে পাশ্চাত্যের দৃষ্টিকোন থেকে না দেখে বরং প্রাচ্যের নিজস্ব দৃষ্টিকোন থেকে দেখার উদ্দেশে মিশেল ফু’কুর পোস্টস্ট্রাকচারালিস্ট তত্ত্ব প্রয়োগ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রকাশিত গ্রন্থে আমি ভারত ও বাংলাদেশের জাতিগত পরিচয় নিয়ে কাজ করেছি। বিশেষ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যে ধর্মনিরপেক্ষ জাতিগত পরিচয়ের ভীত রচিত হয়েছিল সেটা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন-নির্ভর জাতিগত পরিচয়ের মাধ্যমে কেমন করে শক্তিশালী হয়েছে তার একটা তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেছি ।
 
জানা যায়, অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রহমান ২০১৬ সাল থেকে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইচে ইয়োশিও-এর সঙ্গে দ্বিতীয়বারের মতো যৌথ গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। যা জাপানি শিক্ষা মন্ত্রণালয় মেক্সট এবং জাপানের উচ্চশিক্ষার অনুদান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান জাপান সোসাইটি ফর দ্যা প্রোমোশন অব সায়েন্স (জেএসপিএস) কাকেনহি প্রজেক্টের আওতাধীন।

অধ্যাপক মামুন ঢাকার জাপানি দূতাবাসের নির্বাচনে জাপান সরকার প্রদত্ত মনবুকাগাকুশো বৃত্তির জন্য মনোনিত হয়ে ২০০৭ সালে ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পরবর্তিতে ২০১০ সালে প্রথমবাবের মতো তিন বছর অধ্যাপক ইচে ইয়োশিও-এর সঙ্গে প্রথম যৌথ গবেষণারত হন। ২০১৩ সালে হিরোশিমা থেকে তারা যৌথভাবে ‘বিদ্রোহীদের’ প্রতিকৃতি: আধুনীকিকরণ এবং বৃটেন, ভারত ও জাপানে এর বিতর্কিত গঠন শিরোনামে বই প্রকাশ করেন।

এছাড়াও তিনি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে গবেষণা কাজের জন্য ভারতের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভ্রমণ করেন। তিনি ইতিমধ্যে জাপানের আর্ন্তজাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।