ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

এসএম সুলতানের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
এসএম সুলতানের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নড়াইল: বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে এস এম সুলতানের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।  

দিনটি উপলক্ষে রোববার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় জেলা প্রসাশন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মাছিমদিয়া সুলতান কমপ্লেক্সে কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এছাড়াও  শিল্পীর মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহম্মদ হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ইয়ারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিবর্গসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান। ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট তৎকালিন মহকুমা শহর নড়াইলের চিত্রা নদীর পাশে সবুজ শ্যামল ছায়া ঘেরা, পাখির কলকাকলিতে ভরা মাছিমদিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।  

তার বাবা মো. মেছের আলি মাতা মোছা. মাজু বিবি। চেহারার সঙ্গে মিলিয়ে বাবা-মা আদর করে নাম রেখেছিলেন লাল মিয়া। চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৭০ বছরের বোহেমিয়ান জীবনে তিনি তুলির আঁচড়ে দেশ, মাটি, মাটির গন্ধ আর ঘামে ভেজা মেহনতী মানুষের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে সৃষ্টি করেছেন- পাটকাটা, ধানকাটা, ধান ঝাড়া, জলকে চলা, চর দখল, গ্রামের খাল, মৎস শিকার, গ্রামের দুপুর, নদী পারাপার, ধান মাড়াই, জমি কর্ষনে যাত্রা, মাছ ধরা, নদীর ঘাটে, ধান ভানা, গুন টানা, ফসল কাটার ক্ষণে, শরতের গ্রামীন জীবন, শাপলা তোলা’র মত বিখ্যাত সব ছবি।
 
১৯৫০ সালে ইউরোপ সফরের সময় যৌথ প্রদর্শনীতে তার ছবি সমকালনী বিশ্ববিখ্যাত চিত্র শিল্পী পাবলো পিকাসো, ডুফি, সালভেদর দালি, পলক্লী, কনেট, মাতিসের ছবির সঙ্গে প্রদর্শিত হয়। সুলতানই একমাত্র এশিয়ান শিল্পী যার ছবি এসব শিল্পীদের ছবির সঙ্গে একত্রে প্রদর্শিত হয়েছে। কালোত্তীর্ণ এই চিত্রশিল্পী ১৯৮২ সালে একুশে পদক, ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের রেসিডেন্স আর্টিস্ট হিসেবে স্বীকৃতি, ১৯৮৬ সালে চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা এবং ১৯৯৩ সালে রাষ্টীয়ভাবে স্বাধীনতা পদক পান।
 
বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল শিশুদের নিয়ে। নিজের সঞ্চিত অর্থে শহরের মাছিমদিয়া এলাকায় চিত্রা নদীর পাড়ে নিজ বাড়িতে শিশুস্বর্গ নির্মাণকাজে হাত দেন। নির্মাণ করেন ভাসমান শিশুস্বর্গ নামের একটি নৌকা। শিল্পীর ইচ্ছা ছিল এই নৌকায় করে কোমলমতি শিশুদের সঙ্গে নিয়ে প্রকৃতি দেখবেন। শিশুরা প্রকৃতির সঙ্গে পরিচিত হবেন। প্রকৃতির ছবি আঁকবেন। কিন্তু তার সেই সাধ পূর্ণ হওয়ার আগেই ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোরের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিল্পী সুলতান মৃত্যুবরণ করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।