ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শিল্পকলায় ‘কথা-৭১’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
শিল্পকলায় ‘কথা-৭১’

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়ের ওপর ভিত্তি করে শিল্পকলা একাডেমিতে ঢাকা পদাতিক মঞ্চায়ন করলো নাটক ‘কথা-৭১’।

১২ দিনের গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসবে সোমবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি।

গোলাম মোস্তফার ভাবনায় নাটকটি রচনা করেছেন কুমার প্রীতীশ বল ও নির্দেশনায় ছিলেন দেবাশীষ ঘোষ।

নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়, একজন মুক্তিযোদ্ধা এখনও আত্মযন্ত্রণায় ভুগছেন। কারণ যুদ্ধাপরাধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারা করছে। ওই মুক্তিযোদ্ধা এজন্য সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করার উদ্যোগ নেন। এ ব্যাপারে তিনি কোনো দলের ব্যানারে কাজটি করেন না। একেবারে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে মাঠে নামেন। তার বিশ্বাস, এ কাজে অনেকেই অতঃপর এগিয়ে আসবে। এই মুক্তিযোদ্ধা একটি সফল সমাবেশ সম্পন্ন করে বাসায় ফিরে দেখেন তার সন্তান ঘরে উচ্চ শব্দে ইংরেজি গান শুনছে। মুক্তিযোদ্ধা পিতা এ জন্য বিরক্ত বোধ করেন। তিনি গান বন্ধ করে দেন। এতে ছেলে ক্ষুব্ধ হয়ে পিতার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়। পিতা-পুত্রের এই বিতর্কের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বেরিয়ে আসে।

‘কথা ৭১’ নাটকের মাধ্যমেই মুক্তিযোদ্ধারা বারবার ইতিহাসের সত্যের মুখোমুখি হন। মুক্তিযোদ্ধাদের এই সত্য ইতিহাস যথার্থভাবে উপস্থাপন হয়নি বলেই তরুণদের একটি অংশ আজও বিভ্রান্ত। ‘কথা ৭১’ ইতিহাসের সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করারই একটি উদ্যোগ মাত্র। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী।

নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- ফিরোজ হোসাইন, কাজী চপল, সিফাত বিন আজিজ, শেখ শান-এ-মাওলা, মোতালেব হোসেন, জোসেফ পরিমল রোজারিও, আবুল হাসনাত, কিরণ জাকারিয়া, খন্দকার আতিকুর রহমান, তারেক আলী, বর্ণালী আক্তার সেতু, সিরাজুম মুনিরা ইকরা, মারজিয়া জাবীন তম্বী, মাহফুজা আক্তার মিরা প্রমুখ।

একইসময়ে জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় পদাতিক নাট্য সংসদের নাটক ‘কাল রাত্রি’ ও স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় আপ স্টেজ থিয়েটারের নাটক ‘স্বপ্নভূক’। অন্যদিকে, একই সময়ে সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘আমার বাংলাদেশ’ শিরোনামের নৃত্যনাট্য পরিবেশন করে নাচের দল নৃত্যাক্ষ ও ‘রণাঙ্গনের কথা’ শীর্ষক আবৃত্তি পরিবেশন করে বাচিক সংগঠন ঢাকা স্বরকল্পন।

এর আগে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জাতীয় নাট্যশালার উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয় নাট্যভূমি, গেন্ডারিয়া কিশলয় কচি-কাঁচার মেলা, স্বরকল্পন আবৃত্তিচক্র, মিরপুর সাংস্কৃতিক একাডেমি ও নৃত্যম নৃত্যশীলন কেন্দ্র। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) শেষ হবে ১২ দিনের এই উৎসব।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২১
এইচএমএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।