ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

রাজশাহীতে ২ দিনব্যাপী জীবনানন্দ কবিতামেলা শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২১
রাজশাহীতে ২ দিনব্যাপী জীবনানন্দ কবিতামেলা শুরু

রাজশাহী: ‘আমি এই বাংলার পাড়াগাঁয়ে বাঁধিয়াছি ঘর’ শিরোনামে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী জীবনানন্দ কবিতামেলার নবম আসর।

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে বরেন্দ্র কলেজ প্রাঙ্গণে কবিকুঞ্জ আয়োজিত কবিতামেলার উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। সভাপতিত্ব করেন কবিকুঞ্জ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা করে রাজশাহীর জয় বাংলা সাংস্কৃতিক জোট।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র লিটন বলেন, এক সময় রাজশাহীতে ব্যাপক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা হতো। ’৭৫ পরবর্তী সময়ে সেই ধারা থমকে যায়। তখন সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক চর্চা প্রকৃত মুসলমানদের কাজ নয় আখ্যা দিয়ে নানা অপপ্রচার করা হয়। হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপপ্রয়াস চালানো হয়। বর্তমানেও এই অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে সুখের বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন। সাহিত্য ও  সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ বজায় রাখতে কবিকুঞ্জের এই কবিতামেলাসহ বিভিন্ন আয়োজন কার্যকর ভূমিকা রাখছে।

কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, কবিরা কখনও চলে যায় না। কবিদের অনন্ত জীবন্ত। তারা এক খণ্ড জীবনের পর অনন্ত জীবনে চলে যান। তেমনি অনন্ত জীবনে চলে গেছেন কবি জীবনানন্দ দাশ। তিনি বেঁচে আছেন তার অনবদ্য কবিতায়।

এর আগে মেলার উদ্বোধনের সময় মুহম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ভালো থাক মন, ভালো থাক আপন; জীবনানন্দ কবিতা মেলার উদ্বোধন। এরপরই শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা।

ছবি: বাংলানিউজ

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন রাজশাহীতে নিযুক্ত সহকারী ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জীব কুমার ভাটি এবং কবি ও গবেষক ড. তসিকুল ইসলাম রাজা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবিকুঞ্জের সাধারণ সম্পাদক কবি আরিফুল হক কুমার।

এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর গোলাম সাব্বির সাত্তার, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য কবি আসাদ মান্নান, কবি মাকিদ হায়দারসহ বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি ও লেখক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন কবিকুঞ্জের কোষাধ্যক্ষ আলমগীর মালেক। এ সময় কবিকুঞ্জ মুজিব সংকলন ও কবিকুঞ্জ সংকলন-২০২১ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন অতিথিরা।

মেলার প্রথম দিন দ্বিতীয় অধিবেশনের ১ম, ২য় ও ৩য় পর্বে বৃন্দ আবৃত্তি, কবি ও কথাসাহিত্যিক রফিকুর রশিদ এবং কথাসাহিত্যিক মামুন হুসাইন বক্তব্য রাখেন।

দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কবিতা ভ্রমণ, বিকেল ৪টায় ১ম অধিবেশনে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, কথাসাহিত্যিক জাকির তালকুদারের বক্তৃতা ও আমন্ত্রিত বাচিক শিল্পীদের কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি রয়েছে।

এছাড়া দ্বিতীয় অধিবেশনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কবিকুঞ্জ পদক ও সম্মাননা দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থনীতিবিদ ও রবীন্দ্র গবেষক প্রফেসর সনৎকুমার সাহা।

এ বছর কবিকুঞ্জ পদক-২০২১ পেয়েছেন কবি আমিনুল ইসলাম। রাত ৮টায় কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ ও মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২১
এসএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।