ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সংস্কৃতির রঙে রঙিন বিজয় দিবস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
সংস্কৃতির রঙে রঙিন বিজয় দিবস দলীয় নৃত্য পরিবেশিত হচ্ছে।

ঢাকা: ৩০ লাখ শহীদদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগের বিনিময়ে বাঙালির অর্জন ৫৬ হাজার বর্গমাইলের একটি মানচিত্র। লাল-সবুজের সুজলা, সুফলা, শস্য, শ্যামল বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ছিল জাতির সেই কাঙ্ক্ষিত দিন ৫০তম বিজয় দিবস। দিবসটি উদযাপনে গোটা জাতি ভেসেছিল বাঁধভাঙ্গা আনন্দের উচ্ছাস, উল্লাস আর মুক্তির উন্মাদনায়।

লাল-সবুজর পোশাকে নিজেদের আবৃত করে স্বদেশের প্রতি প্রকাশ করেছে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধার বহিঃপ্রকাশ। রাজনৈতিক অঙ্গনের মতো সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিলো আনন্দের বাঁধভাঙ্গা ঢেউ। পাড়া-মহল্লায় বেজেছে দেশাত্মবোধক গান ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। বিভিন্ন ভবনে তোলা হয় জাতীয় পতাকা। ঝাড়বাতি আর রংবেরঙের পতাকায় শোভিত হয় ভবন, বাড়ি, সড়ক ও সড়কদ্বীপ।

ফুলেল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার পাশাপাশি নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক ও চলচ্চিত্রসহ নানা আয়োজনে জাতির সূর্য সন্তানদের প্রতি হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসার উচ্ছাস চিত্রিত হয়েছে রাজধানীসহ সারা দেশে। বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তীর এই আয়োজনে ভিন্নমাত্র যোগ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর এবারের বিজয় দিবস জাতির কাছে সঙ্গত কারণেই ছিল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এর কারণে রাজপথ থেকে গলিপথ সর্বত্রই ছিল বিজয়ের বাঁধভাঙ্গা ঢেউ। বয়সের ভেদাভেদ ভুলে আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা মেতেছিল আনন্দ আর উল্লাসে। চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী, গানের সুর, আবৃত্তি আর নাচের মুদ্রায় বিজয়ের উল্লাসে  গোটা রাজধানীজুড়ে মূর্ত হয়ে উঠে মুক্তির উল্লাস, উচ্ছাস আর উন্মাদনা। শিল্পকলা একাডেমি:
জাতীয় স্মৃৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন, বাউল সংগীত পরিবেশন, স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, শিশুদের চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতাসহ নানা আয়োজনে বিজয়ের সূবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উদযাপন করেছে শিল্পকলা একাডেমি। সকাল ৮টায় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। এরপর দুপুর ২টা পর্যন্ত স্মৃতিসৌধে দেশাত্ববোধক গান ও বাউল সংগীত পরিবেশন করে শিল্পীরা। এছাড়া স্বরচিত কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী, শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আর্ট ক্যাম্পও অনুষ্ঠিত হয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে। অনুষ্ঠানে একক সংগীত পরিবেশন করেন পুলক হাসান, বাঁধন, শাহনাজ বেলী, তানিয়া নাহিদ, লেলিন, রিনা আমিন, আবু বকর সিদ্দিক, ফাহমিদা আলম, রাফি তালুকদার, সোহান, হিমাদ্রী, সুচিত্রা রানি সূত্রধর, মোহনা। বাউল সংগীত পরিবেশন করেন একাডেমির বাউল সংগীত দলের শিল্পীরা। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সৈকত হাবিব, আসাদুল্লাহ, সৌম্য সালেক, আমিনুর রহমান সুলতান প্রমুখ। আবৃত্তি করেন শামীমা চেীধুরী এলিস, ইকবাল খোরশেদ, শাহাদাত হোসেন নিপু, মাসকুরে সাত্তার কল্লোল। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টায় একাডেমি প্রাঙ্গণে জাতীয় সংসদ ভবনের অনুষ্ঠান প্রঙ্গণ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পরিচালিত শপথ নেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সব দপ্তর সংস্থার কর্মচারীরা।

চ্যানেল আই:
বিজয়ের ৫০তম দিবস উপলক্ষে ‘বিজয় ৫০’ শিরোনামের বিজয় মেলার আয়োজন করে চ্যানেল আই। এবারের মেলার প্রধান পৃষ্ঠাপোষক ছিল ঐক্য.কম.বিডি।
সকাল ১১টা ৫ মিনিটে ৫০টি পায়রা এবং ৫০টি লাল-সবুজ রঙের বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন বিভিন্ন সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা।  

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুর রশীদ মজুমদার, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদ সদস্য জহিরউদ্দিন মাহমুদ বাবু এবং চ্যানেল আইর পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ প্রমুখ। মেলায় দেশের গান করেছেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরীয় পরিয়ে তাদের হাতে সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট তুলে দেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, চ্যানেল আই পরিচালনা পর্ষদ সদস্যরা।

স্মৃতিচারণ করেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্য ও অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধারা। শিল্পী মনিরুল ইসলামের নেতেৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চিত্রাঙ্কন করেছেন একদল শিল্পী এবং ছোট পরিসরে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ও মুক্তিযুদ্ধের দলিল সম্বলিত স্টলও ছিল মেলায়। এই মেলায় আবৃত্তি করেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম, লায়লা হাসানসহ অনেকে। সংগীত পরিবেশন করেন চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ, ক্ষুদে গানরাজ এবং বাংলার গানের শিল্পীরা। নৃত্য পরিবেশন করেন চ্যানেল আই সেরা নৃত্যশিল্পীরা। ছায়ানট:
আলাপন, স্মৃতিচারণ, গীতআলেখ্য, একক সংগীত, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজনে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট। বিকেল ৪টা ৩১ মিনিটে বিজয়ের ক্ষণে ছায়ানট ভবনের সামনে গীতি আলেখ্য ‘রূপান্তরের গান’ পরিবেশনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় ছায়ানটের এই আয়োজন। দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও নাচের সম্মিলনে সাজানো ছিল শাহরিয়ার কবির রচিত এই গীতিআলেখ্য। এরপর নতুন আঙ্গিকে সাজানো গীতিআলেখ্য ‌‘রূপান্তরের গান’ মঞ্চস্থ হয় ছায়ানট মিলনায়তনে। এতে কণ্ঠ দেন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ও জয়ন্ত রায়। আর শিল্পীরা সম্মেলক কণ্ঠে গান পরিবেশন করেন। সেসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন বাংলাদেশ মুক্তিসংগ্রামী শিল্পী সংস্থার সদস্যরা। এর আগে ছায়ানট ভবনের সামনে জাতীয়সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী, সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমেদ লিসা, সহ সভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল, নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর:
জাতীয়সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, যাত্রাপালা ও শিশু কিশোরদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত ‘মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে সম্প্রতির বাংলাদেশ’ শিরোনামের বিজয় উৎসব। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সকাল ১০টায় শুরু হয় সমাপনী দিনের আয়োজন। এরপর সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয় কল্পরেখা, নৃত্যজন, মৈত্রী শিশুদল, এসওএস শিশুপল্লি, কল্যাণপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ, খেলাঘর, বধ্যভূমির সন্তানদল, উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা ছয়টায় যাত্রাপালা ‘গঙ্গা থেকে বুড়িগঙ্গা’ পরিবেশন করে মানিকগঞ্জের চারণিক অপেরার যাত্রাশিল্পীরা। বিকেলে মিরপুর জল্লাদখানা বধ্যভূমি পীঠের আসরে স্মৃতিচারণ করেন শহীদের সন্তান। সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেয়- চারুলতা একাডেমি, ঢাকা সিটি স্কুল, বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস, বধ্যভূমির সন্তানদল, সংগীত সমাজ কল্যাণপুর, যুববান্ধব কেন্দ্র (বাপসা)।

উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী:
আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদ। ‌‘লাখো শহীদের বাংলাদেশ, মুক্তির লড়াই হয়নি শেষ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে উদীচী চত্বরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান।

আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পংকজ ভাট্টাচার্য, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রর কন্ঠযোদ্ধা উদীচীর সাবেক সহ-সভাপতি মঞ্জুশ্রী দাশগুপ্তা ও উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক  জামসেদ আনোয়ার তপন। সাংস্কৃতিক পর্বের শুরুতেই ‘জাতীয় সংগীত’ পরিবেশন করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগীত বিভাগ। এরপর দলীয়ভাবে তারা পরিবেশন করে ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়, গানটি। এরপরে দলীয় নৃত্য ও একক সংগীত পরিবেশন করে শিল্পীরা। এতে আবৃত্তি পরিবেশন করে উদীচী বাড্ডা শাখা ও উদীচী কেন্দ্রীয় আবৃত্তি বিভাগ। নাটক ‌‘অজ্ঞাতনামা’ নাটক পরিবেশন করে কেন্দ্রীয় নাটক বিভাগ । অন্তর কথা:
বিজয় দিবস উদযাপনে দিনব্যাপী পাপেট শো’র আয়োজন করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন অন্তর কথা সংস্কৃতিচর্চা ও বিকাশ কেন্দ্র। বিজয় দিবসের সকাল নয়টায় শুরু হয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুইটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তিতে স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, দেশাত্মবোধ ও আবহমান বাংলার লোকজ সংস্কৃতির নানা বিষয় তুলে ধরা হয় এই পাপেট শো’য়ে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট:
আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয় উদযাপন করেছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয় এই আয়োজন। এরপর সম্মেলক কণ্ঠে ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে/লাখ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি’ গেয়ে শোনায় গণসংগীত সমন্বয় পরিষদের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে দলীয়নৃত্য পরিবেশন করে নাচের দল স্পন্দন ও বহ্নিশিখার শিল্পীরা। একক সংগীত পরিবেশন করেন- মহাদেব ঘোষ, বিশ্বজিৎ রায়, আরিফ রহমান, শিমুল সাহা, শ্রাবণী গুহ রায়, মহনা দাস, নবনীতা জাইদ চৌধুরী। দলীয় সংগীত পরিবেশন করে- ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, ভিন্নধারা, সমস্বর। আবৃত্তি করেন- নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকুলি, অনন্যা লাবণী পুতুল, ইকবাল খোরশেদ, বেলায়েত হোসেন।  

এর আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, লেখক মফিদুল হক, মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন- আজহারুল হক আজাদ। আয়োজনের সভাপতিত্বে ছিলেন বিজয় উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, অভিনয়শিল্পী ঝুনা চৌধুরী।

বেঙ্গল ফাউন্ডেশন:
বেঙ্গল ফাউন্ডেশন ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর  ‘সৃজনে ও শেকড়ে’ শীর্ষক পাঁচ দিনব্যাপী এক সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে। ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগিতায় ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে আয়োজিত এ উৎসবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে সংগীত, চলচ্চিত্র, নৃত্য, কারুশিল্প, চিত্রকলা ও সাহিত্যে বাঙালি সংস্কৃতির এবং সমকালীন জীবনধারার নানা কৌণিক দিক প্রতিফলিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সংস্কৃতিচর্চা এবং সাধনাকে গতিময় ও বহুমাত্রিক করার লক্ষ্যে এই চর্চা ও প্রয়াসের অনন্য। উৎসবের প্রথম দিন থেকে বেঙ্গল শিল্পালয়ের নিচতলায় চলছে ‘কামরুল কারুমেলা’, বই পরব এবং নবীন চারুশিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘স্বরূপে অরুপ’। আছে বই নিয়ে আলোচনা পর্ব ‘আলাপে বিস্তারে’। ভবনের দ্বিতীয় তলায় চলছে দলীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনী ‘স্বোপার্জিত পৃথিবী - দ্য আথ ইন আওয়ার হ্যান্ড’। ভবনের চারতলায় আয়োজিত হচ্ছে ‘চালচিত্র’ শীর্ষক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। পাঁচ তলায় ‘গানের ঝরনাতলায়’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক আয়োজন। এছাড়া শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন, ক্রাফটস ও পাপেট শো রয়েছে ‘আকাশ কুসুম’ শিরোনামে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ছিল দেশের গান। এসময় গান পরিবেশন করেন ঝুমা খন্দকার, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রী, মাহমুদুল হাসান প্রমুখ। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে ধৃতি নর্তনালয়। এর নির্দেশনায় ছিলেন ওয়ার্দা রিহাব। লাইসা আহমদ লিসার কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের গান; বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের দলীয় এসরাজ বাদন, খায়রুল আনাম শাকিলের কণ্ঠে নজরুলের গানসহ সমকালীন বাংলা গান পরিবেশন করে জলের গানের রাহুল আনন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।