সরকার ফজলুল করিম বিংশ শতাব্দীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। তার জীবন ও দর্শন নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ রচনা করেছেন বিংশ শতাব্দীর বাঙালি দার্শনিকদের নিয়ে কাজ করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আনিসুজ্জামান।
‘সরদারের দর্শন’ নামের গ্রন্থটি ২০২২ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশ করে জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ। গ্রন্থে অধ্যাপক সরকার ফজলুল করিমকে বহুমাত্রিকভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন লেখক। অনেকটাই নির্মোহভাবে তিনি সরদারকে দেখেছেন, যার প্রমাণ গ্রন্থটি পড়লেই জানা যায়।
সরকার ফজলুল করিমকে ‘বিংশ শতাব্দীর অন্যতম বাঙালি মুসলিম চিন্তাবিদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন লেখক। গ্রন্থে তিনি সরকারের বেড়ে ওঠা, শিক্ষাজীবন, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা, দর্শন চর্চাসহ তার পুরো জীবনের একটি সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। সরদার ও বিংশ শতাব্দীর বাঙালি সামজকে জানতে গ্রন্থটি যে অবশ্য পাঠ্য হয়ে থাকবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
লেখক গ্রন্থটির সূচি সাজিয়েছেন এভাবে—জীবন ও কর্ম, রাজনৈতিক জীবন, কর্ম-জীবন, দর্শনচিন্তা, জ্ঞানবিদ্যা, অধিবিদ্যা, রাষ্ট্রচিন্তা, অনুবাদ কর্মে তাৎপর্য, শিক্ষাচিন্তা, উপনিবেশিকতা থেকে বিউপনিবেশায়ন, মানুষ, পকিস্তান আন্দোলন ও মুসলিম সাহিত্য। গ্রন্থে লেখক শুধু সরদারকেই তুলে ধরেছেন এমনটি নয়, তার নিজস্ব দর্শন ভাবনার প্রকাশও ঘটেছে এই গ্রন্থে। একই সঙ্গে বিংশ শতাব্দীর অন্য দার্শনিকদের ভাবনাও গ্রন্থে পাওয়া যায়।
গ্রন্থটির শুরুতে মনে হতে পারে বিংশ শতাব্দীর ইতিহাস পাঠ করছি। এরপর ধীরে ধীরে লেখক এতটা সূচারুভাবে সরদারের জীবন থেকে দর্শনের গভীরে ঢুকিয়েছেন যে, অবলীলায় পাঠক সেখানে অবগাহন করতে পারবেন। সহজেই দর্শনের কাঠিন্য সরলভাবে নিজের মধ্যে জমা করতে পারবেন। এখানেই লেখকের মাহাত্ম্য প্রকাশ পেয়েছে।
সরদারের জীবনের শুরুর দিক তুলে ধরতে গিয়ে গ্রন্থের ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় লেখক বলেছেন, ‘সরদার আজান দিতেন, নামাজ পড়তেন, কুরআন পাঠ করতেন। ’ এখানে বিংশ শতাব্দির অন্য দার্শনিকদেরও ধর্মীয় কার্যক্রম তুলে ধরেছেন তিনি। লেখকের কথায়, ‘বাংলাদেশের অন্যতম মুসলিম দার্শনিক আহমদ শরীফ নামাজে ইমামতি করতেন। সাইদুর রহমান কুরআনের হাফেজ ছিলেন। ’ আহমদ শরীফকে লেখক মুসলিম দার্শনিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার চিন্তা ও দর্শনচর্চা মুসলিম দার্শনিকদের সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্য, সেটা নিয়ে পরবর্তীতে কেউ হয়তো বিশ্লেষণ করবেন।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক
ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্ক বাঙালি জীবনের সঙ্গে যেন মিশে আছে। সরদার সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে লেখক সেই সম্পর্কের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে ছাত্রদের যে কোনো ভেদাভেদ ছিল না, তা সরদারের লেখায় তুলে ধরেছেন। ৯ নম্বর পৃষ্ঠায় সরদারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, ‘ক্লাসে তাঁর (হরিদাস ভট্টাচার্য) কক্ষে তাঁর টেবিলের তিনপাশ ঘিরে আমরা বসেছি গুটিকতক ছাত্রছাত্রী। তিনি পড়াচ্ছেন, মানে আলোচনা করছেন। আলোচনা করতে করতে সময় ফুরিয়ে এল। অন্য কোন ক্লাস বা কাজ রয়েছে হরিদাস বাবুর। তিনি তাই বললেন, এখন এ পর্যন্ত রইল। কাল সকালে এসো তোমরা, আমার বাসায়। ’
ছাত্র অবস্থায় সরদার রাজনীতি করতেন। সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও তার উপস্থিতি ছিল। লেখক ৮ নম্বর পৃষ্ঠায় সরদারের এই জীবন চিত্রায়িত করেছেন, ‘রাজনীতি এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সাংগঠনিক নানা কাজে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সরদার ফজলুল করিম মাঝে মধ্যে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকতেন। হরিদাস ভট্টাচার্য ছাত্রের ক্লাসের অনুপস্থিতির বিষয়টি এড়িয়ে যান নাই কখনো। তিনি পরের ক্লাসেই সরদারকে প্রশ্ন করেছেন, কি দেশ উদ্ধার হলো? শিক্ষক ছাত্রের খোঁজ রাখতেন আন্তরিকতার সঙ্গে। শিক্ষার্থীদের স্নেহ করতেন। শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধা মূল্যায়ন করতেন। সম্প্রদায় ধর্ম রাজনৈতিক পরিচয় কোনো কিছুই শিক্ষকদের কাছে বড় ছিল না। শিক্ষকরা সকল শিক্ষার্থীদের (শিক্ষার্থীকে) সমান দৃষ্টিতে দেখতেন এবং ভালোবাসতেন। ’
সরদারের সময় দর্শনচর্চা শুধু শ্রেণিকক্ষে থাকেনি, শিক্ষার্থীদের ভালোবেসে শিক্ষক বাসায় ডেকে পড়িয়েছেন। শিক্ষার্থীদের খোঁজ রেখেছেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই সম্পর্ক বিরল।
সময়ের প্রতিচ্ছবি
সরদারকে জানার আগ্রহ নিয়ে এই গ্রন্থ পাঠ কিছুটা এগিয়ে নিলে মনে হতে পারে ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছি। ওই সময়টাকে লেখক খুব প্রাসঙ্গিকভাবেই তুলে ধরতে পেরেছেন। যেমন তিনি ১৪ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির বছর ১৯৪৫ সালে সরদার ফজলুল করিম দর্শন বিভাগে অনার্স নিয়ে বি এ পাশ (পাস) করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাড়ে সাত কোটি মানুষ খুন হয়। মতান্তরে ৫ থেকে ৮ কোটি মানুষ খুন হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোনো যুদ্ধে এত মানুষ খুন হয়নি। জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহর আমেরিকান পারমাণবিক বোমায় মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়। বাংলাদেশ সরাসরি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি। বাংলাদেশ যুদ্ধে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু যুদ্ধ বাংলাদেশকে স্পর্শ করেছে। যুদ্ধ চলাকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়। চরম খাদ্যাভাব। ১৯৪৩ সালে দেখা দেয় দুর্ভিক্ষ। রাস্তায় রাস্তায় অনাহারী মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়। দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত বাংলায় লাশের স্তূপ শিয়াল শকুনের খাদ্যে পরিণত হয়। দাফনের শেষ বস্তুটুকু জোটেনি’।
লেখক যে শুধু নিজের গবেষণালব্ধ তথ্য তুলে ধরেছেন তা নয়, এখানে তিনি খোকা রায়, মণি সিংহের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই সময়কার বাংলা তথা বিশ্বকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। এসব বর্ণনা গ্রন্থটির মূল্য বাড়িয়েছে, এতে সন্দেহ নেই।
বামপন্থি রাজনীতি সম্পর্কে লেখক ১৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বন্দ্ব-সংঘাত এবং দুর্ভিক্ষের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত মুসলিম সমাজে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বামপন্থা বাড়তে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই চেতনা বেশি দেখা যায়’। বামপন্থা নিয়ে লেখকের এই বর্ণনা গবেষকদের জন্য বিশ্লেষণের খোরাক হয়ে থাকবে। ছোট ছোট বর্ণনা থেকে একটি বড় কোনো সৌধ গড়ে উঠবে।
একাত্তরের আগে-পরে সরদার
গ্রন্থে লেখক নির্মোহভাবে সরদারকে বিশ্লেষণ করেছেন, তার অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। তিনি সরদারকে যেমন ‘অন্যতম বাঙালি মুসলিম চিন্তাবিদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে সরদারের জীবনের অনেক বিষয় তুলে এনেছেন, যাতে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়।
লেখক ৫৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সরদার ফজলুল করিম বিপ্লবী জীবন ফেলে এসে বাংলা একাডেমির একজন সাধারণ কর্মকর্তা। অনিশ্চিত জীবন যুদ্ধে তিনি অগ্রসর হন নাই। জীবন রক্ষার জন্যে পাকিস্তানি ইসলামী করণের পথ অনুসরণ করেছেন। ... মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন এমন কেনো প্রমাণ পাওয়া যায় না’।
শুধু তাই নয়, একাত্তর সালে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এই দেশে খুন-হত্যাযজ্ঞ চালালেও সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে বলে অনেকের সঙ্গে বিবৃতি দিয়েছিলেন সরদারও। তার জীবন নিয়ে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একই পৃষ্ঠায় লেখক বলেছেন, ‘পাকিস্তানের পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে এমন একটি বিবৃতিতে সরদার স্বাক্ষর করেছিলেন’।
চাকরির জন্য লবিং
সরদার ফজলুল করিম অন্য ১০ জন মানুষের মতোই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি পেতে তদবির-লবিং করেছেন। লেখক ৫৫ পৃষ্ঠায় লেখেন, ‘বাংলা একাডেমির চাকরিটি সরদার ফজলুল করিম গ্রহণ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের সিঁড়ি হিসেবে’। এরপরই তিনি লেখেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্যে চেষ্টা তদবির লবিং কোনো কিছু করতে সরদার পিছিয়ে ছিলেন না’।
স্বাধীন দেশে সরদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এ সম্পর্কে একই পৃষ্ঠায় বলেছেন, ‘স্বাধীনতার পর জাতীয় অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাকের বিশেষ আশীর্বাদে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে যোগদান করেন। সরদার দর্শন শাস্ত্রে বি. এ অনার্স এবং এম এ ডিগ্রী (ডিগ্রি) নিয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। রাষ্ট্র বিজ্ঞানে সরদারের কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি ছিল না’। এর পাশাপাশি লেখক উল্লেখ করেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় ফিরে আসার জন্যে সরদারের জ্ঞানতাত্ত্বিক অর্জন কোনো অংশে কম ছিলো না’।
সরদারের জ্ঞানতাত্তিক কর্ম সম্পর্কে লেখক ৫৭ পৃষ্ঠায় এভাবে উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের জ্ঞানতাত্ত্বিক এবং অর্থনৈতিক মুক্তি ছিলো তাঁর কাজের মূল প্রেরণা। তিনি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ নির্মাণের জন্যে কাজ করেছেন। সরদার ফজলুল করিমের অনূদিত এবং মৌলিক গ্রন্থগুলো বাংলা বাঙালি এবং বাংলা ভাষাকে সমৃদ্ধ করেছে’।
সরদারের দর্শন
সরদারের জীবন ও কর্মের চেয়ে তার দর্শন ভাবনা তুলে ধরার জন্যই যে লেখক এই গ্রন্থ রচনা করেছেন, তা তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন। একই পৃষ্ঠায় লেখক বলেছেন, ‘দর্শনের প্রধান আলোচ্য বিষয় জ্ঞনবিদ্যা (জ্ঞানবিদ্যা), অধিবিদ্যা এবং মূল্যবিদ্যা আলোচনার মধ্যে দিয়ে সরদার ফজলুল করিমের দর্শন চিন্তা বিচার বিশ্লেষণ করাই এই গ্রন্থের উদ্দেশ্য’।
পাশ্চাত্য দর্শনের মৌলিক গ্রন্থগুলোর সঙ্গে বাঙালিকে পরিচয় করিয়েছেন সরদার ফজলুল করিম। তার অনুবাদ গ্রন্থ বাঙালির দর্শন পাঠ এগিয়ে নিয়েছে। সরদারের দর্শন ভাবনা তুলে ধরতে গিয়ে লেখক ৫৮ পৃষ্ঠায় বলেছেন, ‘সরদারের দর্শনচিন্তায় কোনো ভনিতা নেই। পালি, প্রাকৃত এবং সংস্কৃত শব্দের মিশ্রণে তিনি দর্শনকে দুর্বোধ্য করেন নি। বাংলা ভাষায় দর্শনকে তিনি সাধারণ মানুষের পাঠযোগ্য করেছেন’।
দর্শন সম্পর্কে সরদার কী ভাবতেন, ৫৯-৬০ পৃষ্ঠায় তার লেখাতেই সেটি উদ্ধৃত করা হয়েছে। সরদার লিখেছেন, ‘আমি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন পড়েছি। মনে করেছি দর্শন কেবল আলোচনার বিষয়। দর্শন নিরপেক্ষ। সে মানুষের জীবনের বৃহৎ বৃহৎ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা করে’।
সরদারের দর্শন ভাবনার সঙ্গে এই গ্রন্থে লেখকের দর্শনচিন্তাও ফুটে উঠেছে। ৬০ পৃষ্ঠায় লেখক উল্লেখ করেছেন, ‘দর্শন মানুষকে স্বাধীন চিন্তা করতে উদ্বুদ্ধ করে। স্বাধীন চিন্তা বেশিরভাগ সময় শাসকদের পক্ষে যায়। শাসকেরা চায় সব নাগরিক তাদের মতো করে ভাবুক। শাসকের ভাষায় কথা বলুক, স্বপ্ন দেখুক শাসক যেভাবে দেখেন। শুধু শাসক কেন যে কোনো অথরিটিই চায় মানুষ যেন স্বাধীনভাবে চিন্তা না করে। স্বাধীন চিন্তা করতে সক্ষক হলে মানুষ দর্শনের সৃষ্টি করবে। অথরিটি নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করবে’।
দর্শনের বিকাশ সম্পর্কে লেখক তার ভাবনা তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘স্বাধীন চিন্তা ছাড়া দর্শনের সৃষ্টি হয়। লিবারাল শাসন ব্যবস্থায় দর্শনের বিকাশ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বদ্ধ জলাশয়ে চিন্তার স্বাধীনতা থাকে না। বুদ্ধির মুক্তি ঘটে না। চিন্তার স্বাধীনতা না থাকলে দর্শনের সৃষ্টি সম্ভব নয়। চিন্তার স্বাধীনতা ও দর্শন প্রায় সমার্থক’।
এভাবে গ্রন্থের শেষ পর্যন্ত দর্শন নামের কঠিন বিষয়কে ড. মো. আনিসুজ্জামান অনেক সহজে পাঠকের সামনে তুলে ধরতে পেরেছেন। এই গ্রন্থে তিনি সরদারের জীবন ও দর্শনের পাশাপাশি নিজের দর্শনভাবনা তুলে ধরতে পেরেছেন সুন্দরভাবে। লেখকের এই সৃষ্টি দর্শন পাঠে আগ্রহীদের পাথেয় হয়ে থাকবে।
লেখক: সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বাংলানিউজ
গ্রন্থ: সরদারের দর্শন
লেখক: ড. মো. আনিসুজ্জামান
প্রকাশক: কমলকান্তি দাস, জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ
প্রকাশ: জানুয়ারি, ২০২২
মূল্য: ৩০০ টাকা
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২২
এমজেএফ