ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

নিউইয়র্ক বইমেলা নিয়ে লেখক-প্রকাশকদের মতবিনিময়

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
নিউইয়র্ক বইমেলা নিয়ে লেখক-প্রকাশকদের মতবিনিময় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে আগামী ২৮ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে চার দিনব্যাপী বাংলা বইমেলা। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) বিকেলে ঢাকায় বাংলা একাডেমির মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে লেখক-প্রকাশকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন।

সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।

প্রকাশকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বই নিয়ে বিত্তের ব্যবসা করার আগে চিত্তের ব্যবসা করুন। বইটিকে ভালোভাবে উপস্থাপন করুন। সঠিকভাবে অনুবাদ করুন। যদি অনুবাদ বই হয় অবশ্যই যাচাই করে প্রকাশ করুন। না হলে এটি অপঅনূদিত বই, অনূদিত নয়। যদি ভালোমানের প্রকৃত বই হয়, তাহলে ১০ বছর পর হলেও এর পেছনের বিনিয়োগ উঠে আসবে।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯২ সালের আগে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কোথাও বাংলা বইমেলা হয়েছে কিনা জানা নেই। তবে সারা বিশ্বে বাংলা বইমেলার যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, তা শুরু হয় মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের হাত ধরে। অমর একুশের গ্রন্থমেলা শুরু করেন মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহা। আর বহির্বিশ্বে বাংলা বইমেলা শুরু করেন বিশ্বজিত সাহা। তিন দশক ধরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে তারা। নিউইয়র্কে ৩১তম বাংলা বইমেলা যাতে আরও অর্থবহ হয়, সেজন্য আমাদের সহযোগিতা থাকবে।

সভায় ৩১তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার আহ্বায়ক গোলাম ফারুক ভূঁইয়া বলেন, আমরা ৩০ বছর ধরে নিউইয়র্ক শহরে বাংলা ভাষার একটি বইমেলা  আয়োজন করছি। গত দুই বছর করোনা মহামারিতে বিশ্ব ক্ষত-বিক্ষত ছিল। কিন্তু আমরা ২০২০ সালে ভার্চ্যুয়াল বইমেলা করে সারা বিশ্বের বাংলা ভাষার লেখক-পাঠকদের যুক্ত করার চেষ্টা করেছি। এবার ৩১তম বাংলা বইমেলায় বাংলাদেশের অধিক সংখ্যক লেখক-প্রকাশক যাতে যোগ দিতে পারেন, সেজন্য আমরা কাজ করছি।

সভায় বিশিষ্ট নাট্যজন ও নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার উদ্বোধক রামেন্দু মজুমদার বলেন, বাংলা একাডেমির বইমেলার জন্য আমার যে আগ্রহ ও ভালোবাসা, তেমনি নিউইয়র্ক বইমেলার জন্যও আমি আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি। নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় লেখক-প্রকাশকরা প্রাণের টানে যান। এ ধরনের কাজে সরকারি প্রণোদনা থাকা প্রয়োজন।

নিউইয়র্কে তিন দশক ধরে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলা বইমেলা আয়োজনের কথা তুলে ধরে বিশ্বজিত সাহা বলেন, সবার সহযোগিতা পেলে নিউইয়র্ক বইমেলা আরও সুন্দর এবং বড় পরিসরে করা যাবে। প্রবাসে বাঙালি কৃষ্টি-সংস্কৃতির প্রসারে তারা কাজ করে যাচ্ছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।  

সভায় নিউইয়র্ক বইমেলা নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ রবিউল হক, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সাবেক সভাপতি আলমগীর শিকদার লোটন, লেখক-সংগঠক আবু সাইদ শাহীন এবং ছোট কাগজ লোক সম্পাদক অনিকেত শামীম।

কবি ইউসুফ রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রকাশকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সময় প্রকাশনার স্বত্ত্বাধিকারী ফরিদ আহমেদ, অনন্যার মনিরুল হক, বাতিঘরের জাফর আহমেদ রাশেদ, অঙ্কুর প্রকাশনীর মেসবাহউদ্দীন আহমেদ, শ্রাবণ প্রকাশনার রবীন আহসান, বই ঘরের মাধবচন্দ্র দাস, কাকলী প্রকাশনীর একে নাসির আহমেদ সেলিম, আকাশ প্রকাশনার আলমগীর সিকদার লোটন, ধ্রুবপদ পাবলিশিংয়ের আবুল বাসার ফিরোজ এবং ওয়ার্কাস পার্টির প্রকাশনা বিভাগের মাহমুদুল হাসান মানিক।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির পরিচালক মো. মোবারক হোসেন, ডা. মোহাম্মদ হাসান কবীর, সমীর কুমার সরকার, নুরুন্নাহার খানম, মো. আফজাল হোসেন, জি এম নিজানুর রহমান, ড. মোহাম্মদ হারুন রশিদ, ড. সাইমন জাকারিয়া, বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী নিপু শাহাদাত, লেখক ফারহান ইশরাক, মোজাফফর আহমেদ, বাবুল বিশ্বাস, লেখক স্বকৃত নোমান, ইফাত রুপা জামান, প্রবাসী কবি আবু সাইদ শাহীন, অ্যাকটিভিস্ট আনিসুল কবির জাসির, কবি সোহাগ সিদ্দিকী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।