ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

কাজী গিয়াসউদ্দিনের শিল্পকর্ম নিয়ে বেঙ্গল শিল্পালয়ে প্রদর্শনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
কাজী গিয়াসউদ্দিনের শিল্পকর্ম নিয়ে বেঙ্গল শিল্পালয়ে প্রদর্শনী কাজী গিয়াসউদ্দিনের শিল্পকর্ম নিয়ে বেঙ্গল শিল্পালয়ে প্রদর্শনী

ঢাকা: বিশিষ্ট শিল্পী কাজী গিয়াসউদ্দিনের শিল্পকর্ম নিয়ে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন দ্য ওয়ার্ক অব ক্রিয়েশন ২ নামে প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন।

উদ্বোধনী আয়োজনে নিসার হোসেন বলেন, গিয়াস স্যারের কাজের গভীরে তার শৈশবে দেখা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে, যা জাপানে থাকাকালীন অবস্থায় তার শেকড়ের প্রতি ভালবাসার উপলব্ধি।

আয়োজনের সঞ্চালক, বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী বলেন, কাজী গিয়াসের সঙ্গে আমাদের প্রায় ২২ বছরের সম্পর্ক।  আমরা সব সময় তার শিল্পকর্মের সঙ্গে একটি আত্মিক সম্পর্ক অনুভব করি। ২০১৯ সালে নবনির্মিত বেঙ্গল শিল্পালয়ের যাত্রা শুরু হয় তার প্রদর্শনী দিয়ে, আমরা গর্বিত কাজী গিয়াসের এ ষষ্ঠ একক প্রদর্শনী আয়োজন করতে পেরে।

কাজী গিয়াস বলেন, যতদিন ভালো লাগবে ততদিন ছবি এঁকে যাবো। আমি দুঃখ ভোলার জন্য ছবি আঁকি, আনন্দের জন্য ছবি আঁকি। আমি এ প্রদর্শনীর ছবিগুলো অনেক যত্ন করে এঁকেছি। আমার অনুভূতি, উপলব্ধিও এ ছবিতেই প্রকাশিত।

রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, এ বয়সে এসেও কাজী গিয়াস প্রতিনিয়ত নতুন আঙ্গিকে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এ পথচলার সহযাত্রী হতে পেরে আমি ও জাপান সরকার আনন্দিত ও গর্বিত।

পররাষ্ট্র সচীব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমি কোনো আর্টিস্ট বা ক্রিটিক নয় কিন্তু আমি অবশ্যই সব সময় চেষ্টা করি বাংলাদেশি আর্টকে এপ্রিশিয়েট করতে। উনি খুব অল্প আর্টিস্টদের একজন যারা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এতো বড় মাপের স্বীকৃতি পেয়েছেন। শুধুমাত্র ট্যালেন্ট নয়, অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়েই উনি এ পর্যায়ে এসেছেন। তার চিত্রকর্ম সমসাময়িক সময়ে সবার থেকে ব্যতিক্রম, তার সৃষ্টিগুলো যেন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে।

এ সময় প্রদর্শনীর ক্যাটালগের মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে আয়োজন শেষ হয়।

বর্তমান প্রদর্শনীর শিল্পকর্মগুলো কাগজে জলরঙ, তেলরঙ, বোর্ডে তেলরঙ ও কোলাজ মাধ্যমে নির্মিত। জলরঙের শিল্পকর্মগুলো সম্পর্কে শিল্পীর ভাষ্য, জাপানের ঐতিহ্যবাহী নিহঙ্গা রীতি তাকে কিছুটা অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলাদেশের নকশিকাঁথা থেকে পেয়েছেন তেলরঙের চিত্রকর্মের জমিন তৈরির অনুপ্রেরণা।

প্রদর্শনীর চিত্রকর্মগুলোয় রঙের উজ্জ্বলতা, রেখার গাঢ়ত্ব বিশেষভাবে লক্ষণীয়। কাগজ ছিঁড়ে ও জোড়া দিয়ে কম্পোজিশনের মাধ্যমে করেছেন কোলাজ। দেখা মেলে একটি বুননতলের আড়ালে আরও তল, রেখা ও আঙ্গিকের নান্দনিক ছন্দ। চিত্রনির্মাণে তিনি স্থির, একাগ্র, মার্জিত যা প্রাচ্যের সৃজন, মনন ও কর্মের বৈশিষ্ট্য। প্রদর্শনালয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ চিত্রকর্মের সম্পাদনায় হয়ে ওঠা নকশা যেন টুকরো সংলাপের সমন্বয়ে কাজী গিয়াসউদ্দিনের কর্মপ্রক্রিয়ার উপস্থাপন-প্রয়াস।

প্রদর্শনী চলবে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন ৪টা থেকে ৮টা (মঙ্গলবার বাদে) পর্যন্ত। বেঙ্গল শিল্পালয়, বাড়ি ৪২, রোড ২৭, শেখ কামাল সরণি, ধানমন্ডিতে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
এইচএমএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।