ক্রিকেট
অস্ট্রেলিয়ার সেই পুরোনো রূপ যেন ফিরে এলো। টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এরপর ঘুরে দাঁড়ায়
দারুণ শুরুর পরও দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারেননি ব্যাটাররা। ২৫৬ রানের পুঁজি নিয়ে বোলারদের লড়াই করার মতো কিছুই ছিল না বলা যায়। তার
মিরপুরের 'স্লো এন্ড লো উইকেটে' টানা খেলার পর যখন দেশের বাইরে সিরিজ খেলতে যায় টাইগাররা, তখনই টের পাওয়া যায় বাস্তবতা। ভিন্ন ধরনের
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে বোলিংয়ের সময় গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেই চোটের কারণে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে
ইনজুরি আর শেষ মুহূর্তে ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্তের কথা জানানো; দেশের ক্রিকেটে গত কয়েক মাসে বেশ আলোচিত। তামিম ইকবালের পিঠের চোট যেকোনো
সবকিছুই এখন কেমন যেন ছন্নছাড়া। ক্রিকেটাররা গণমাধ্যমবিমুখ বিশ্বকাপের শুরু থেকেই। বাংলাদেশের দর্শকদের আগ্রহও বেশ কম। ভারতের
ঘরের মাঠে সিরিজ মানেই ভেন্যু মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম। বিশেষ করে মিরপুরেই
রান তাড়ায় বিরাট কোহলি সেরাদের সেরা। তাই ২৫৭ রানের লক্ষ্য তার কাছে মামুলিই বটে। কোহলি ঠিক সেটাই করেছেন, যেমনটা তাকে নিয়ে
যা হওয়ার কথা ছিল তা-ই তো হলো। ভারত জিতলো, বাংলাদেশ হারলো। মাঝে কেবল রোমাঞ্চ ছড়ালো তানজিদ হাসান তামিম আর লিটন দাসের ব্যাট। চুপচাপ ফিরে
ব্যাটিংয়ে ভারতের শুরুটা হয় দুর্দান্ত। উদ্বোধনী জুটিতে ৮৮ বলে ৯৩ রান যোগ করেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। ফিফটি করার দুই রান আগে
অথচ শুরুটা কী দারুণই না হয়েছিল বাংলাদেশের! প্রথমেই এমন আফসোস করার কারণ নিশ্চয়ই আপনি এতক্ষণে জেনে গেছেন খেলা দেখলে। যদি না দেখে
এবারের বিশ্বকাপে তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু সেই আশার প্রতিদান মিলছে না কিছুটাও। বাকি ম্যাচগুলোর মতো ভারতের
তানজিদের বিদায়ের পর একপ্রান্তে ব্যাট চালাতে থাকেন লিটন দাস। ধীরে-সুস্থে খেলে ৬২ বলে তুলে নেন অর্ধশতক। কিন্তু অপরপ্রান্তে ব্যাট
শুরুটা হলো ধীরস্থির। রান এলো না প্রথম পাঁচ ওভারে। ধীরে ধীরে বদলে গেলো প্রেক্ষাপট। হাত খুলতেই রান এলো দ্রুত। তানজিদ হাসান তামিম ও
শুরুটা হয় ধীরগতির। এরপর চড়াও হন তানজিদ হাসান তামিম। দারুণ ব্যাট করে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। কিন্তু স্কোর আর খুব
আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু করেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। কিছুক্ষণ পরই চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হয় ভারতীয়
বাংলাদেশের হয়ে টস করতে আসবেন কে? সাকিব আল হাসান নাকি নাজমুল হোসেন শান্ত? এমন একটা অনিশ্চয়তা চলছিল বেশ কদিন ধরে। কারণ সবশেষ
আগ্রাসন যেন বিরাট কোহলির রক্তে বইছে! ব্যাটে তো সেই ছোঁয়া আছেই, ফিল্ডিংয়ের সময়ও তার মানসিকতা একই থাকে। প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে
এক্সপ্রেসওয়েতে গতিসীমা বেঁধে দেওয়া হলেও, কখনো কখনো সেই নিয়ম মেনে চলেন না অনেকেই। তাদেরই একজন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রোহিত
বাংলাদেশের প্রথম স্পোর্টস চ্যানেল টি-স্পোর্টস। দেশের খেলাধুলার পাশাপাশি এই চ্যানেল সার্বক্ষণিকভাবে সম্প্রচার করে চলেছে
পুরোনো সংবাদ গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন