ঢাকা: বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হলো ইউরোপীয় ব্র্যান্ড এসিসির। অর্ধশতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী এসিসি ব্র্যান্ডে প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত শুরু করলো গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স ও টেকনোলজি জায়ান্ট ওয়ালটন।
প্রাথমিকভাবে এসিসি ব্র্যান্ডে ওয়ালটন বাজারে ছাড়লো রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, টেলিভিশন, ওয়াশিং মেশিন ও ইলেকট্রিক ফ্যান। ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড, ডিজাইন, ফিচার ও কোয়ালিটির এসিসির পণ্যে গ্রাহকরা পাচ্ছেন প্রকৃত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড ব্যবহারের সুবিধা ও অভিজ্ঞতা।
এসিসি বিপুল জনপ্রিয় গ্লোবাল ব্র্যান্ড। ১৯৬৮ সাল থেকে ইউরোপে ব্যাপক সুনাম ও ঐতিহ্যের সঙ্গে এসিসি গ্রাহকদের কোয়ালিটি পণ্য দিয়ে আসছে। গত বছর আন্তর্জাতিক বিডিংয়ে বেশকিছু নামকরা বৈশ্বিক কোম্পানিকে হটিয়ে এসিসিসহ অর্ধশতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী ইউরোপীয় তিনটি ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের স্বত্ব লাভ করে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। অন্য ব্র্যান্ড দুটি হলো- জানুসি ইলেকট্রোমেকানিকা (জেম) ও ভার্ডিকটার (ভিওই)। ইউরোপের জনপ্রিয় এ ব্র্যান্ডগুলো সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ইনভার্টার এবং ফিক্সড স্পিড কম্প্রেসর ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট, গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) মেধাসম্পদ (প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও সফটওয়্যার লাইসেন্স), ৫৭টি দেশে ট্রেডমার্কসহ সর্বস্বত্ব লাভ করে ওয়ালটন।
ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড বজায় রেখে বাংলাদেশের ক্রেতাদের সর্বোচ্চ কোয়ালিটির পণ্য দেওয়ার লক্ষ্যে এসিসি ব্র্যান্ডের পণ্য উন্মুক্ত করলো ওয়ালটন। পাশাপাশি ইউরোপীয় এ ব্র্যান্ডগুলোর কম্প্রেসর, ফ্রিজ, টিভি, এসিসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাজারজাতে কাজ করছে ওয়ালটন।
সম্প্রতি রাজধানীর ওয়ালটন করপোরেট অফিসে আয়োজিত গ্র্যান্ড লঞ্চিং প্রোগ্রামে এসিসি ব্র্যান্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) ইভা রিজওয়ানা নিলু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান, ডিএমডি নজরুল ইসলাম সরকার ও এমদাদুল হক সরকার, ওয়ালটন প্লাজার সিইও মোহাম্মদ রায়হান, ওয়ালটন হাই-টেকের ডিএমডি মো. হুমায়ুন কবীর, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. তানভীর রহমান, আমিন খান, ড. মো. সাখাওয়াৎ হোসেন, সোহেল রানা, ফিরোজ আলম, আরিফুল আম্বিয়া, আল ইমরান, তোফায়েল আহমেদ, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিদারুল আলম খান, মো. শাহজাদা সেলিম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসিসি ব্র্যান্ডের পণ্য উৎপাদনে ইউরোপীয় স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা হয়েছে। ডিজাইন ও কনফিগারেশনে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ গুরুত্ব। এসিসির লঞ্চিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য প্রকৃত আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য উন্মুক্ত হলো। ওয়ালটনের সব সেলস আউটলেটে এসিসির পণ্য পাওয়া যাবে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি গ্রাহকরা ইএমআই ও কিস্তি সুবিধায়ও এসিসির পণ্য কিনতে পারবেন।
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে এসিসিসহ অন্যান্য ইউরোপীয় ব্র্যান্ডগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের। দেশীয় বাজারের পাশাপাশি শিগগিরই অন্যান্য দেশের গ্রাহকদের জন্য এসিসির পণ্য উন্মুক্ত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
আরবি