শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ, জেনেবুঝে বিনিয়োগ করুন- এসব কথা শেয়ারবাজারে সংশ্লিষ্টরা প্রায়ই বলে থাকেন।
শেয়ার কেনার সময় বা বিক্রির সময় মূল্য বাড়তে পারে এবং কমতে পারে।
লাভের সম্ভাবনার পাশাপাশি এখানে আপনাকে নিয়মিত লোকসান গুনতে হতে পারে। তাই আপনাকে বিনিয়োগ শুরু করার আগে পরিকল্পনা করতে হবে যে আপনি কত টাকা বিনিয়োগ করতে চান এবং আপনি কখন বিনিয়োগ ফেরত নিতে চান।
বিনিয়োগ করার আগে আপনাকে জানতে হবে ঝুঁকিগুলো কী কী। জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করলে এখানে বিনিয়োগে লাভের সম্ভাবনা থাকে।
নিচে কিছু উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়া হলো যা, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আপনাকে সাহায্য করবে।
পুঁজিবাজারে লোকসানের অনেক কারণ রয়েছে, তবে এখানে আটটি কারণ তুলে ধরা হলো:
১. বাজার পরিস্থিতির অস্থিরতা
পুঁজিবাজারে প্রতিনিয়ত শেয়ারের দাম ওঠানামা করে। হঠাৎ বাজার পরিস্থিতিতে অস্থিরতার সঙ্গে বিনিয়োগকারী তাল মিলাতে না পারলে তিনি ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন।
২. গবেষণার অভাব
পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণা ছাড়াই অনেকে শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকে, যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন শেয়ার কেনা খারাপ বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত এবং সম্ভাব্য ক্ষতির কারণ হতে পারে।
৩. অতিমূল্যায়িত শেয়ার
অনেকে না বুঝে বাড়তি দামে শেয়ার কিনে থাকেন, বেশি দামে কেনা শেয়ারের দাম শেষ পর্যন্ত কমে গেলে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হতে পারে।
৫. বিনিয়োগের জন্য যথাযথ সময় নয়
ভুল সময়ে বিনিয়োগ আপনার জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। বাজার পরিস্থিতি যখন শীর্ষে থাকে, তখন শেয়ার কেনা এবং বাজার যখন নিম্নমুখী থাকে বা শেয়ারের দাম কম থাকে, তখন অনেকেই অস্থির হয়ে শেয়ার বিক্রি করে দেন।
৬. কোম্পানির সুনির্দিষ্ট সমস্যা না জানা
আর্থিক পরিস্থিতি, কোম্পানির সার্বিক ব্যবস্থাপনা, এবং অন্যান্য কোম্পানির নির্দিষ্ট সমস্যাগুলি একটি শেয়ারের মূল্যকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তাই কোম্পানির খারাপ অবস্থার কারণেও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
৭. অর্থনৈতিক কারণ
অর্থনৈতিক মন্দা, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার, সুদের হারের পরিবর্তন এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক অন্যান্য কারণ শেয়ারের দামকে প্রভাবিত করতে পারে।
৮. বাহ্যিক ঘটনা
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক ঘটনা, বিশ্বব্যাপী মহামারি শেয়ারবাজারকে ব্যাহত করতে পারে এবং বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
লেখা: ফয়সাল আহমেদ
আরএইচ