ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় ষষ্ঠ থেকে স্নাতক (পাস) এবং সমমান পর্যায়ের অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় ৩৩ লাখ ও স্নাতক (পাস) এবং সমমান পর্যায়ের প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে যাচ্ছে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
এসব শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপবৃত্তি গ্রহণ করার মাধ্যম হিসেবে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টকেই বেছে নিয়েছেন। তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষপ্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাকাউন্টগুলো প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টে এন্ট্রি করা হয়। পরে জিটুপি পদ্ধতিতে শিক্ষার্থী বা অভিভাবকদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সরাসরি এ অর্থ পাঠানো হচ্ছে।
রোববার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে এ উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যে আমরা উপবৃত্তি দেই সেখানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী নেই। একেবারে সরকার থেকে যাকে দিচ্ছি তার হাতে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে জিটুপি সিস্টেমে। এমনকি সামাজিক নিরাপত্তা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।
গত কয়েক বছর ধরে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের জিটুপি পদ্ধতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক (পাস) ও সমমান স্তরের শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি স্বচ্ছতা, দ্রুততা ও নিরাপত্তার সঙ্গে বিতরণ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা কোনো খরচ ছাড়াই সারাদেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ আউট করতে পারছেন।
২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের অভিযাত্রায় স্মার্ট সিটিজেন গড়ার লক্ষ্যে সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষাকে নিশ্চিত করার উদ্যোগে ডিজিটাল পদ্ধতিতে উপবৃত্তি, টিউশন ফি ও পুরস্কারসহ সব ধরনের ভাতা বিতরণের সিদ্ধান্ত দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে সংশ্লিষ্ট সবার পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়। এ প্রক্রিয়ায় অংশ হতে পেরে বিকাশও অত্যন্ত আনন্দিত।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২৩
আরবি