ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আমি প্রবাসীর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৩ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আমি প্রবাসীর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

ঢাকা: সরকারের আইসিটি বিভাগের সঙ্গে আমি প্রবাসী লিমিটেডের একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বুধবার (২১ জুন) ঢাকার আইসিটি টাওয়ারস্থ বিসিসি মিলনায়তনে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এ সময় তিনি প্রবাসীদের ডাটা ব্যাংক সংরক্ষণের বিষয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানান। এমন স্মার্ট একটি প্রকল্প নিয়ে কাজ করায় তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও আমি প্রবাসী লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে এত বেশি ডাউনলোড ও এত চমৎকার ব্যবহার উপযোগী অ্যাপ এবং আমার মতে ওয়ার্ল্ডের ওয়ান অব দ্য ফাস্টেস্ট গ্রোইং অ্যাপ আমি প্রবাসী অ্যাপ। এ উদ্যোগে আমি এখন পর্যন্ত কোনো ত্রুটি খুঁজে পাইনি।  

তিনি বলেন, আইসিটি ডিভিশনের সঙ্গে আমি প্রবাসীর মেলবন্ধন প্ল্যাটফর্মটিকে সামনে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। ভবিৎষ্যতে প্রবাসীদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ, মার্কেটপ্লেস, রেমিট্যান্স সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে কাজ করা যাবে।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদেশ যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের জন্য আরও পরিষেবা সংযোজন করে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণ করতে আইসিটি বিভাগ আমি প্রবাসীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে উভয় পক্ষের সমান দায়িত্ব ও অংশীদারিত্বের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, প্রবাসীদের জন্য দ্রুত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। আর প্রবাসীদের সব সুবিধা একই প্ল্যাটফর্মে আসতে শুরু করায় অনলাইন সেবা পেতে শুরু করেছে বিদেশগামী কিংবা প্রবাসীরা।

মন্ত্রী তার বক্তব্যে সেবা দেওয়া সহজীকরণের ক্ষেত্রে সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন। এক্ষেত্রে আমি প্রবাসী লিমিটেড একটি উদাহরণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ইতোমধ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের ফলাফলও পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ৫০ লাখ ব্যবহারকারী আমি প্রবাসী অ্যাপ থেকে সেবা পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে অ্যাপটি তৈরিতে সার্ভিস চার্জভিত্তিক মডেল অনুসরণ করায় এতে সরকারের কোনো ব্যয় হয়নি।  

জুনায়েদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ।

আইসিটি বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আতাউর রহমান খান এবং আমি প্রবাসী লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার ও সিইও নামির আহমেদ নুরি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের হয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।

নামির আহমেদ নুরি তার স্বাগত বক্তব্যে আমি প্রবাসী অ্যাপ ও ওয়েব পোর্টালের বিভিন্ন ফিচার এবং তার সাফল্য তুলে ধরেন। আমি প্রবাসী থেকে পাওয়া বিশাল ডেটা কীভাবে বাংলাদেশ সরকারকে অভিবাসন খাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করছে তার বিস্তারিত তথ্য তার আলোচনায় উঠে আসে।  

উল্লেখ্য, বিদেশগামী কর্মীদের সহায়তার জন্য সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশি প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে তৈরি বিশ্বে এমন অ্যাপ এটাই প্রথম।  

অনুষ্ঠানে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের প্রত্যয়ে তারুণ্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এগিয়ে চলা দেশে আমি প্রবাসী লিমিটেড আরও অবদান রাখবে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।